যাবে না। ভ্রু প্লাক করা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ভ্রুরুর দু’পাশের লোম উপড়ে ফেলা শরী‘আতের দৃষ্টিতে জঘন্য পাপ। আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,
‘আল্লাহ লা‘নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুরুর লোম উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহ্র সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে’ (বুখারী, হা/৪৮৮৬; সহীহ মুসলিম, হা/২১২৫)।
এমনকি স্বামী আদেশ করলেও তা করা যাবে না। কেননা যা হারাম তা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়।
নবী করীম (ﷺ) বলেন,
‘আল্লাহ্র নাফরমানীর কাজে কোন আনুগত্য নেই। আনুগণ্য করতে হয় কেবল ন্যায়সঙ্গত কাজে’ (বুখারী, হা/৭২৫৭)। এ ব্যাপারে আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
‘ভ্রুদ্বয়ের লোম উপড়ে ফেলা বা চিকন করা কোনটাই বৈধ নয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫১; ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৯৬)।
শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ভ্রুর লোম নির্মূল করা ও ছোট করা উভয়ই অভিশপ্ত’ (ফাতাওয়া উলামাউল বালাদিল হারাম, পৃ. ৫৭৭ ও ১১৪২)।
لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوْتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ
‘আল্লাহ লা‘নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রুরুর লোম উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহ্র সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে’ (বুখারী, হা/৪৮৮৬; সহীহ মুসলিম, হা/২১২৫)।
এমনকি স্বামী আদেশ করলেও তা করা যাবে না। কেননা যা হারাম তা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়।
নবী করীম (ﷺ) বলেন,
لَا طَاعَةَ فِيْ مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوْفِ
‘আল্লাহ্র নাফরমানীর কাজে কোন আনুগত্য নেই। আনুগণ্য করতে হয় কেবল ন্যায়সঙ্গত কাজে’ (বুখারী, হা/৭২৫৭)। এ ব্যাপারে আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
لا يجوزُ أخذُ شَعرِ الحاجِبَينِ، ولا التَّخفيفُ منهما
‘ভ্রুদ্বয়ের লোম উপড়ে ফেলা বা চিকন করা কোনটাই বৈধ নয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫১; ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৯৬)।
শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ভ্রুর লোম নির্মূল করা ও ছোট করা উভয়ই অভিশপ্ত’ (ফাতাওয়া উলামাউল বালাদিল হারাম, পৃ. ৫৭৭ ও ১১৪২)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: