সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে স্বদেশবাসীর বিরুদ্ধাচরণ করা নাজায়েয

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,146
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
প্রশ্ন: আমাদের দেশে একদল দ্বীনদার ভাই আছেন তারা কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। যেমন রমজান মাসের সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে তারা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত সিয়াম পালন করেন না। কখনও কখনও আমরা তাদের একদিন বা দুইদিন আগে রমজানের সিয়াম পালন শুরু করি। তারাও ঈদুল ফিতরের একদিন বা দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। আমরা যদি তাদেরকে ঈদের দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি তারা এই বলে জবাব দেন যে, আমরা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত ঈদ করব না এবং রোজা রাখা শুরু করব না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখে সিয়াম পালন কর এবং তা (নতুন চাঁদ) দেখে রোজা ছাড়।” তারা যন্ত্রের সাহায্যে নতুন চাঁদ দেখার পদ্ধতি মানেন না। উল্লেখ্য দুই ঈদের নামাযের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। তারা তাদের নতুন চাঁদ দেখার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে ঈদ উদযাপনের পরে ঈদ উদযাপন করেন। অনুরূপভাবে তারা ঈদুল আযহার সময় পশু কোরবানী ও আরাফার সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও আমাদের বি করেন। তারা ঈদুল আযহার দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করেন। অর্থাৎ সমস্ত মুসলিম কোরবানী করার পরে তারা পশু কোরবানী করেন। তারা যা করছেন তা কি সঠিক? আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন


উত্তরঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তাদের উপর ওয়াজিব হল সাধারণ মানুষের সাথে সিয়াম পালন করা, তাদের সাথেঈদ উদযাপন করা এবং তাদের সাথে দুই ঈদের নামায আদায় করা। এর দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী:


صوموالرؤيتهوأفطروالرؤيتهفإنغمعليكمفأكملواالعدة متفقعليه


“তোমরাতা (নতুনচাঁদ) দেখেসিয়াম পালনকর, তা (নতুনচাঁদ) দেখেরোজা ছাড় (ঈদ উদযাপন কর)। আরযদিআকাশমেঘাচ্ছন্নথাকে তবে(রোজার) সংখ্যা (৩০দিন) পূর্ণকর।”[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম] এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো- চাঁদ দেখা সাব্যস্ত হলে সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের আদেশ দেয়া। সেটা খালি চোখেও হতে পারে অথবা দৃষ্টিশক্তিকে সাহায্যকারী কোন যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও হতে পারে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:


" الصوم يوم تصومون والإفطار يوم تفطرون والأضحى يوم تضحون "
أخرجه أبو داوود (2324) والترمذي (697) ، وصححه الألباني في صحيح الترمذي ( 561 )


“রোজা হলসেদিনযেদিনতোমরাসকলেরোজা পালনকর। ঈদ হলসেদিনযেদিনতোমরাসকলেঈদ উদযাপন কর। ঈদুল আযহা হলো সেদিনযেদিনতোমরাসকলেপশুকোরবানীকর।’’[হাদিসটি আবু দাউদ (২৩২৪) ও তিরমিযী (৬৯৭) বর্ণনা করেছেন; আলবানী সহীহুত তিরমিযী’ (৫৬১) গ্রন্থে হাদিসটিকেসহিহহিসেবেচিহ্নিতকরেছেন।


আল্লাহই তাওফিক দাতা।আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবীগণের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।


সুত্রঃislamqa
 
Top