‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর সিয়াম পালনের ১০টি উপকারিতা

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,146
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
প্রশ্ন: অন্য ধর্মের কেউ যদি সিয়াম সম্বন্ধে আমাকে প্রশ্ন করে এই যে, তোমরা এতক্ষণ না খেয়ে থাকো। এতে লাভ কি? আর এর দ্বারা তোমরা কী বুঝাও? না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দাও। তাও একটা নির্ধারিত সময় নয় বরং পুরো না; পুরো একমাস! এর জবাব আমি কিভাবে দিলে সুন্দর হবে জানালে উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ। উত্তর: সিয়াম পালন করা মহান স্রষ্টার নির্দেশ। এটি ইসলামের মৌলিক ৫টি স্তম্ভের একটি। প্রাপ্ত বয়স্ক সক্ষম সকল মুসলিমের জন্য রমাযান মাসে সিয়াম পালন করা অপরিহার্য। এটি এক দিকে যেমন আল্লাহর নির্দেশ অন্য দিকে এতে আমাদের জন্য নানাবিধ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমারা সিয়াম পালন করলে এতে তোমাদের কল্যাণ রয়েছে।” (সূরা বাকারা: ১৮৪) আলেমগণ সিয়ামের কতিপয় কল্যাণকর দিক উল্লেখ করেছেন। যেমন: ● (১) অন্তরে তাকওয়া বা আল্লাহ-ভীতি সৃষ্টি হয়। ● (২) শয়তান ও কু-প্রবৃত্তির ক্ষমতা দুর্বল করা। ● (৩) সিয়াম আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও তার দাসত্ব প্রতিষ্ঠার প্রশিক্ষণ। ● (৪) ঈমান সুদৃঢ় হয়। ● (৫) ধৈর্য, সবর ও দৃঢ় সংকল্পের প্রশিক্ষণ। ● (৬) মানুষকে আখেরাতমুখী করার প্রশিক্ষণ। ● (৭) আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি শুকরিয়া ও সৃষ্টি জীবের সেবা করার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। ● (৮) সিয়াম সমাজ সংস্কারের একটি বিদ্যাপীঠ। কেননা, ব্যক্তির পরিশুদ্ধতায় সমাজ পরিশুদ্ধ হয়। ● (৯) শারীরিক ওজন, রক্তের কলেস্ট্রল, ব্লাড প্রেশার, সুগার, টেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রোজা অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। (১০) সিয়ামের একটি কল্যাণকর দিক হল স্বাস্থ্যের উন্নতি। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে খাবার গ্রহণ, পরিমিত আহার, ঠিক একই সময় পানাহার আবার ঠিক একই সময় বিরতি দেয়া ইত্যাদি পাকস্থলীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্রাম দেয় ফলে পাকস্থলী শক্তিশালী হয়।এভাবে রোজার মাধ্যমে বিভিন্ন দিক দিয়ে শারীরিক শক্তি ও সুস্থতা অর্জিত হয়। এভাবে ইসলাম প্রবর্তিত প্রত্যেকটি ইবাদত-বন্দেগিতে রয়েছে মানুষের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের অসীম কল্যাণ। -------------- উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
 

Share this page