• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সাহাবায়ে কেরাম নেতৃত্বকে যেভাবে ভয় পেতেন

আমের বিন সাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমার পিতা সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর একটি ছাগলের পাল ছিল। একবার তার ছেলে ওমর তার নিকট আসলেন। তিনি দূর থেকে ছেলে দেখেই বললেন, আমি আল্লাহর নিকট এ অশ্বারোহীর অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর ছেলে পিতার কাছে এসে বলল, হে পিতা! আপনি এভাবে গ্রাম্য লোকদের মতো ছাগলের পাল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন! অথচ মদীনায় মানুষ নেতৃত্ব নিয়ে ঝগড়া করছে! একথা শুনে তিনি ছেলের বুকে আঘাত করে বলেন, চুপ! আমি রাসূল (ছাঃ) কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ঐ বান্দাকে ভালোবাসেন, যে পরহেযগার (সংযমশীল), অমুখাপেক্ষী (ধনী) ও আত্মগোপনকারী। — সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/৭১-৭২; মুসলিম হা/২৯৬৫

আব্দুর রহমান বিন আযহার (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, একবার ওছমান (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর নাক দিয়ে অনর্গল রক্ত বের হতে থাকে। তিনি স্বীয় গোলাম হুমরানকে ডেকে বললেন, লিখে নাও, আমার পর খলীফা হিসাবে আব্দুর রহমান ইবনু আওফের নাম লিখে নাও। হুমরান তৎক্ষণাৎ তা লিখে নেন। অতঃপর পত্রটি নিয়ে হুমরান আব্দুর রহমান বিন আওফের কাছে গিয়ে বললেন, আপনার জন্য সুসংবাদ! তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কীসের সুসংবাদ? সে বলল, খলীফাতুল মুসলিমীন ওছমান (রাদিআল্লাহু আনহু) তাঁর মৃত্যুর পর আপনাকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করেছেন।

একথা শোনামাত্র আব্দুর রহমান বিন আওফ রাসূল (রাদিআল্লাহু আনহু)-এর কবর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়িয়ে যান এবং দু-হাত তুলে দো‘আ করেন বলেন- হে আল্লাহ, যদি ওছমান তার পরে আমাকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে আপনি তাঁর পূর্বেই আমাকে উঠিয়ে নিন। এরপর মাত্র ছয় মাস তিনি জীবিত ছিলেন! — সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/৬৩-৬৪
 
Last edited:
Top