সালাতে দ্বিতীয় কিংবা চতুর্থ রাকা'আতে দাঁড়ানোর আগে খানিক সময় বসা সুন্নাত।
এটাকে ফিক্বহী পরিভাষায় 'বিশ্রাম-বৈঠক' বলা হয়। এখানে নির্দিষ্ট কোনো দো'আ নেই। এটির প্রমাণে তিনটি হাদীস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে: মালিক ইবনে হুআইরিস রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর হাদীস।
'তিনি নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাত পড়তে দেখেছেন। যখন তিনি বেজোড় রাকা'আতে থাকতেন (এক বা তিন) তখন সোজা হয়ে বসার আগ পর্যন্ত দাঁড়াতেন না।' (সহীহ বুখারী: ৮২৩)
উল্লেখ্য, মালিক ইবনে হুআইরিসই নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রসিদ্ধ হাদীস- 'তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত পড়তে দেখো, সেভাবেই সালাত পড়ো'- বর্ণনা করেছেন। (সহীহ বুখারী: ৬৩১)
'বিশ্রাম বৈঠক' সুন্নাত কি না এই ব্যাপারে উলামায়ে কিরামের মতানৈক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ বক্তব্য অনুযায়ী এটি সুন্নাত। দলীল মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর হাদীস। তাছাড়া ইমাম নববী, শাওকানী, ইবনে বায ও আলবানী রাহিমাহুল্লাহ সহ উম্মাহ'র বড় বড় উলামায়ে কিরাম এটার সুন্নাত হওয়ার ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন মতামত দিয়েছেন। সৌদি আরবের ইফতা বোর্ড (লাজনা-দায়েমা) এর ফতোয়াও এটাই। (দেখুন: 'ফাতওয়া ওয়া মাক্কালাত মুতানাওয়িআ' (১১/৯৯), ফাতওয়ায়ে লাজনায়ে দায়েমা (৬/৪৪৫-৪৪৬)।
নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, 'এটিই বিশুদ্ধ মত। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীস রয়েছে।' (দেখুন: ইমাম নাওয়াওয়ীর (নববী) আল-মাজমূ' (৩/৪৪১)।
- বই: রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দৈনন্দিন সুন্নাত ও যিকির; সংকলনঃ ড. আবদুল্লাহ ইবনে হামূদ আল-ফুরাইহ; অনুবাদ-সম্পাদনাঃ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া; প্রকাশনায়ঃ কাশফুল প্রকাশনী
এটাকে ফিক্বহী পরিভাষায় 'বিশ্রাম-বৈঠক' বলা হয়। এখানে নির্দিষ্ট কোনো দো'আ নেই। এটির প্রমাণে তিনটি হাদীস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে: মালিক ইবনে হুআইরিস রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর হাদীস।
'তিনি নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাত পড়তে দেখেছেন। যখন তিনি বেজোড় রাকা'আতে থাকতেন (এক বা তিন) তখন সোজা হয়ে বসার আগ পর্যন্ত দাঁড়াতেন না।' (সহীহ বুখারী: ৮২৩)
উল্লেখ্য, মালিক ইবনে হুআইরিসই নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রসিদ্ধ হাদীস- 'তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত পড়তে দেখো, সেভাবেই সালাত পড়ো'- বর্ণনা করেছেন। (সহীহ বুখারী: ৬৩১)
'বিশ্রাম বৈঠক' সুন্নাত কি না এই ব্যাপারে উলামায়ে কিরামের মতানৈক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ বক্তব্য অনুযায়ী এটি সুন্নাত। দলীল মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর হাদীস। তাছাড়া ইমাম নববী, শাওকানী, ইবনে বায ও আলবানী রাহিমাহুল্লাহ সহ উম্মাহ'র বড় বড় উলামায়ে কিরাম এটার সুন্নাত হওয়ার ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন মতামত দিয়েছেন। সৌদি আরবের ইফতা বোর্ড (লাজনা-দায়েমা) এর ফতোয়াও এটাই। (দেখুন: 'ফাতওয়া ওয়া মাক্কালাত মুতানাওয়িআ' (১১/৯৯), ফাতওয়ায়ে লাজনায়ে দায়েমা (৬/৪৪৫-৪৪৬)।
নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, 'এটিই বিশুদ্ধ মত। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীস রয়েছে।' (দেখুন: ইমাম নাওয়াওয়ীর (নববী) আল-মাজমূ' (৩/৪৪১)।
- বই: রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দৈনন্দিন সুন্নাত ও যিকির; সংকলনঃ ড. আবদুল্লাহ ইবনে হামূদ আল-ফুরাইহ; অনুবাদ-সম্পাদনাঃ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া; প্রকাশনায়ঃ কাশফুল প্রকাশনী