সাহাবী সাঈদ ইবনুল আসের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আমর ইবনে সাঈদ মদিনায় একজন আহ্বানকারীকে নির্দেশ দিলেন, সে যেন জনসমক্ষে ঘোষণা দেয় যে, তাঁর পিতা সাঈদ ইবনুল আসের নিকট কারো কোনো প্রকার ঋণ বা পাওনা থাকলে, সে যেন তা গ্রহণ করার জন্য তার পুত্র আমরের নিকট আগমন করে।
তখন এক যুবক একটি চামড়া খণ্ড নিয়ে আসে, তাতে লেখা রয়েছে, সে বিশ হাজার প্রাপ্য।
আমর বলল, কিভাবে সে আমার পিতার নিকট থেকে এ পরিমাণ সম্পদের দাবিদার?
যুবকটি বলল, একবার তোমার পিতা কাজ সমাপনান্তে তার কার্যালয় থেকে বের হলেন। আমি তাকে অনুসরণ করে তার পিছু পিছু চলতে লাগলাম। তিনি আমাকে দেখে বলে উঠলেন, তোমার কি কিছু প্রয়োজন?
আমি উত্তর দিলাম, না, আমি এ সময়ে আপনার সাথে থাকতে চাচ্ছি।
তিনি বললেন, তোমার সাথে তো আল্লাহ রয়েছেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র, তুমি একটি দোয়াত ও চর্মখণ্ড নিয়ে এস। আমি তা নিয়ে উপস্থিত হলাম। তিনি তাতে আমার জন্য বিশ হাজারের কথা লিখলেন এবং বললেন, আমাদের শস্য উৎপাদন হলে সেখান থেকে তোমাকে প্রদান করব।
আমর তাকে সে সম্পদ প্রদান করে দিলেন; বরং তার চেয়েও বেশি দিলেন।
মানুষজন তখন বলতে লাগল, যে ব্যক্তি আমর ইবনে সাঈদের ন্যায় কাউকে রেখে যায়, তার কোনো মৃত্যু নেই।
সাঈদ ইবনুল আস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার পুত্র আমরকে বলতেন, ‘হে বৎস, কেউ কিছু চাওয়ার আগেই তাকে দান করতে শুরু কর। আর যদি তোমার নিকট কোনো ব্যক্তি আগমন করে, তুমি হয়তো দেখবে, তার মুখমণ্ডল লজ্জার কারণে রক্তিম হয়ে আছে। অথবা এমন সংশয়ী হবে যে, সে জানে না তুমি তাকে দেবে নাকি ফিরিয়ে দেবে। আল্লাহর শপথ! তুমি যদি তাকে তোমার সকল সম্পদ দান করে দাও, তাহলেও তার প্রতিদান দিতে পারবে না।’
– সাহাবীদের আলোকিত জীবন (৩য় খন্ড), ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা, সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বি. দ্র : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স সালাফী প্রকাশনী নয়। সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি। কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে সম্মানিত সালাফী আলেমদের শরণাপন্ন হোন।
তখন এক যুবক একটি চামড়া খণ্ড নিয়ে আসে, তাতে লেখা রয়েছে, সে বিশ হাজার প্রাপ্য।
আমর বলল, কিভাবে সে আমার পিতার নিকট থেকে এ পরিমাণ সম্পদের দাবিদার?
যুবকটি বলল, একবার তোমার পিতা কাজ সমাপনান্তে তার কার্যালয় থেকে বের হলেন। আমি তাকে অনুসরণ করে তার পিছু পিছু চলতে লাগলাম। তিনি আমাকে দেখে বলে উঠলেন, তোমার কি কিছু প্রয়োজন?
আমি উত্তর দিলাম, না, আমি এ সময়ে আপনার সাথে থাকতে চাচ্ছি।
তিনি বললেন, তোমার সাথে তো আল্লাহ রয়েছেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র, তুমি একটি দোয়াত ও চর্মখণ্ড নিয়ে এস। আমি তা নিয়ে উপস্থিত হলাম। তিনি তাতে আমার জন্য বিশ হাজারের কথা লিখলেন এবং বললেন, আমাদের শস্য উৎপাদন হলে সেখান থেকে তোমাকে প্রদান করব।
আমর তাকে সে সম্পদ প্রদান করে দিলেন; বরং তার চেয়েও বেশি দিলেন।
মানুষজন তখন বলতে লাগল, যে ব্যক্তি আমর ইবনে সাঈদের ন্যায় কাউকে রেখে যায়, তার কোনো মৃত্যু নেই।
সাঈদ ইবনুল আস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার পুত্র আমরকে বলতেন, ‘হে বৎস, কেউ কিছু চাওয়ার আগেই তাকে দান করতে শুরু কর। আর যদি তোমার নিকট কোনো ব্যক্তি আগমন করে, তুমি হয়তো দেখবে, তার মুখমণ্ডল লজ্জার কারণে রক্তিম হয়ে আছে। অথবা এমন সংশয়ী হবে যে, সে জানে না তুমি তাকে দেবে নাকি ফিরিয়ে দেবে। আল্লাহর শপথ! তুমি যদি তাকে তোমার সকল সম্পদ দান করে দাও, তাহলেও তার প্রতিদান দিতে পারবে না।’
– সাহাবীদের আলোকিত জীবন (৩য় খন্ড), ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা, সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
বি. দ্র : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স সালাফী প্রকাশনী নয়। সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি। কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে সম্মানিত সালাফী আলেমদের শরণাপন্ন হোন।
Last edited: