সর্বোত্তম যিকির হলো আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করা। কুরআনের তিলাওয়াত সালাফের রাতের ঘুমকে হারাম করে দিতো। তাদের চোখ থেকে অশ্রুনদী বইয়ে দিতো। (‘তারা রাতে কম ঘুমাতো। নিশীথের শেষ প্রহরে তারা ইস্তেগফার করতো’ (সূরা যারিয়াত: ১৮) সালাফে সালিহীন রাতের বেলা কুরআনে কারীমের তিলাওয়াতের সঙ্গে অন্যান্য যিকির করতেন। আল্লাহর যিকিরের সঙ্গে রাত কাটানোর ফজীলত বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আফসোস আজ আমরা এক্ষেত্রে অমার্জনীয় শিথীলতা দেখাচ্ছি। আল্লাহর গুটিকয়েক কিছু বান্দা বাদ দিয়ে অধিকাংশ মানুষই গাফেল। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
আতা বিন সায়েব থেকে হাম্মাদ বিন যায়দ বর্ণনা করেন, আবু আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা কুরআন এমন এক সম্প্রদায় থেকে গ্রহণ করেছি যারা আমাদেরকে বলেছেন, তারা কুরআনের দশটি আয়াত শেখার পরে সেটার ভেতরে যা কিছু আছে সবকিছু না জেনে সামনের দশটি আয়াত শিখতেন না। এভাবে কুরআন পড়া ও কুরআন অনুযায়ী আমল করা দু’টিই আমরা একসঙ্গে শিখেছি। আমাদের পরে এই কুরআন বহন করবে এমন এক সম্প্রদায়, যারা পানি গেলার মতো এই কুরআনকে গিলবে। অথচ কুরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না’। ( দেখুন- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৪/২৬৯)