If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেসব আমল বেশি বেশি সম্পাদন করতেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যিকির-আযকার করা।
আল্লাহর কাছে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার যিকির করা। এটি সবচেয়ে হালকা ও সহজ ইবাদত; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ ব্যাপারে অসচেতন। আল্লাহর রাস্তায় স্বর্ণ-রৌপ্য দান করার চেয়ে বরং আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার চেয়ে যিকির-আযকার অধিক উত্তম। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে অধিক উত্তম আমল প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের রবের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক হতে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান-খয়রাত করার চেয়েও বেশি ভালো এবং তোমাদের শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে তোমাদের সংহার করা ও তোমাদেরকে তাদের সংহার করার চাইতেও ভালো? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তাআলার যিকির।’ মুআয ইবন জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার যিকিরের তুলনায় অগ্রগণ্য কোনো জিনিস নেই।’[1]
এছাড়া যিকির-আযকারের নানাবিধ উপকার রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ইমাম ইবন কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ-এর ‘আল-ওয়াবিলুস সাইয়িব’ গ্রন্থটি পড়া যেতে পারে।[2] যিকির-আযকার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আমল হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আমলটি অত্যধিক করতেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন আবী আওফা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যধিক পরিমাণে যিকির-আযকার করতেন এবং অনর্থক কাজ একেবারেই করতেন না। আর সালাত দীর্ঘ করতেন এবং খুতবা সংক্ষেপ করতেন। তিনি বিধবা ও গরীবদের সঙ্গে চলাফেরায় সংকোচবোধ করতেন না; যাতে তিনি তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।’[3]
তিনি একাই অধিক পরিমাণ যিকির-আযকার করতেন না; বরং তিনি তাঁর উম্মাহকে বেশি বেশি যিকির করার প্রতি উৎসাহও প্রদান করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন বুসর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য ইসলামের বিধিবিধানগুলো অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি আমলের কথা জানান, যা আমি শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি।’ তিনি বললেন, ‘সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তাআলার যিকিরে সিক্ত থাকে।’[4]
যদি কারো পক্ষে কিয়ামুল লাইল করা সম্ভব না-হয়, দান-সদকা করতে কৃপণতা আসে বা জিহাদ করতে ভীরুতা কাজ করে, তাহলে এসবের পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যিকির-আযকার করার পরামর্শ দিয়েছেন। ইবন আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে-ব্যক্তি ধন ব্যয় করতে কার্পণ্য করে, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ভয় করে এবং রাত্রি জেগে ইবাদত করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে, তার উচিত বেশি বেশি যিকির করা।[5]
[1] সুনানুত তিরমিযী, ৩৩৭৭; সুনান ইবন মাজাহ, ১৮২৫; সহীহুল জামি, ২৬২৯; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[2] গ্রন্থটি আমার অনুবাদে ‘যিকরুল্লাহ : মুমিন হৃদয়ের প্রাণ’ শিরোনামে প্রকাশিত।
[3] সুনানুন নাসায়ী, ১৪১৪; সুনানুদ দারিমী, ৭৪; সহীহুল জামি, ৫০০৫; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[4] সুনানুত তিরমিযী, ৩৩৭৫; সুনান ইবন মাজাহ, ৩৭৯৩; সহীহুত তারগীব, ১৪৯১; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[5] তাবারানী, ৪৯০৪; শুআবুল ঈমান, ৫০৫; সহীহুত তারগীব, ১৪৯৬; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ লি-গাইরিহ বলেছেন
আল্লাহর কাছে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার যিকির করা। এটি সবচেয়ে হালকা ও সহজ ইবাদত; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ ব্যাপারে অসচেতন। আল্লাহর রাস্তায় স্বর্ণ-রৌপ্য দান করার চেয়ে বরং আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার চেয়ে যিকির-আযকার অধিক উত্তম। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে অধিক উত্তম আমল প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের রবের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক হতে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান-খয়রাত করার চেয়েও বেশি ভালো এবং তোমাদের শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে তোমাদের সংহার করা ও তোমাদেরকে তাদের সংহার করার চাইতেও ভালো? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তাআলার যিকির।’ মুআয ইবন জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার যিকিরের তুলনায় অগ্রগণ্য কোনো জিনিস নেই।’[1]
এছাড়া যিকির-আযকারের নানাবিধ উপকার রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ইমাম ইবন কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ-এর ‘আল-ওয়াবিলুস সাইয়িব’ গ্রন্থটি পড়া যেতে পারে।[2] যিকির-আযকার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আমল হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আমলটি অত্যধিক করতেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন আবী আওফা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যধিক পরিমাণে যিকির-আযকার করতেন এবং অনর্থক কাজ একেবারেই করতেন না। আর সালাত দীর্ঘ করতেন এবং খুতবা সংক্ষেপ করতেন। তিনি বিধবা ও গরীবদের সঙ্গে চলাফেরায় সংকোচবোধ করতেন না; যাতে তিনি তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।’[3]
তিনি একাই অধিক পরিমাণ যিকির-আযকার করতেন না; বরং তিনি তাঁর উম্মাহকে বেশি বেশি যিকির করার প্রতি উৎসাহও প্রদান করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন বুসর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য ইসলামের বিধিবিধানগুলো অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি আমলের কথা জানান, যা আমি শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি।’ তিনি বললেন, ‘সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তাআলার যিকিরে সিক্ত থাকে।’[4]
যদি কারো পক্ষে কিয়ামুল লাইল করা সম্ভব না-হয়, দান-সদকা করতে কৃপণতা আসে বা জিহাদ করতে ভীরুতা কাজ করে, তাহলে এসবের পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যিকির-আযকার করার পরামর্শ দিয়েছেন। ইবন আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে-ব্যক্তি ধন ব্যয় করতে কার্পণ্য করে, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ভয় করে এবং রাত্রি জেগে ইবাদত করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে, তার উচিত বেশি বেশি যিকির করা।[5]
[1] সুনানুত তিরমিযী, ৩৩৭৭; সুনান ইবন মাজাহ, ১৮২৫; সহীহুল জামি, ২৬২৯; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[2] গ্রন্থটি আমার অনুবাদে ‘যিকরুল্লাহ : মুমিন হৃদয়ের প্রাণ’ শিরোনামে প্রকাশিত।
[3] সুনানুন নাসায়ী, ১৪১৪; সুনানুদ দারিমী, ৭৪; সহীহুল জামি, ৫০০৫; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[4] সুনানুত তিরমিযী, ৩৩৭৫; সুনান ইবন মাজাহ, ৩৭৯৩; সহীহুত তারগীব, ১৪৯১; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[5] তাবারানী, ৪৯০৪; শুআবুল ঈমান, ৫০৫; সহীহুত তারগীব, ১৪৯৬; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ লি-গাইরিহ বলেছেন