If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
বিখ্যাত সাহাবী ইবন আব্বাস (রাদি) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেন এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সবকিছু লেখার আদেশ দেন।১
অধিকাংশ মানুষের আকীদাহ হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর নূর সৃষ্টি করেন। উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে তাদের এ আকীদাহ বাতিল প্রমাণ হয়। তাদের এ আকীদাহর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। মুসান্নাফ আবদুর রাযযাকে এ সংক্রান্ত বর্ণিত হাদীসটির সনদ অগ্রহণযোগ্য। ‘সিলসিলাতু্যু যঈফাহ' গ্রন্থে ঐ হাদীস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
যারা মনে করেন, সর্বপ্রথম সৃষ্টি আরশ, উল্লিখিত হাদীস তাদের এ মতকে নাকচ করে। আরশ সর্বপ্রথম সৃষ্টি হওয়ার পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোনো প্রমাণ নেই। এটি ইমাম ইবন তাইমিয়াহ প্রমুখদের বিভিন্ন হাদীসের আলোকে ইজতিহাদি-গবেষণালব্ধ মত। আর স্বীকৃত মূলনীতি হচ্ছে, ব্যক্তির ইজতিহাদ ও গবেষণার ওপর স্পষ্ট দলিল প্রাধান্য পাবে। তাই ‘সর্বপ্রথম সৃষ্টি কলম’ এ মতটি প্রণিধানযোগ্য; কেননা, এ মতের পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান।
আরশ সৃষ্টির পর সর্বপ্রথম কলমকে সৃষ্টি করা হয়েছে-এ তাবীল-ব্যাখ্যা বাতিল। কেননা এমন তাবীল-ব্যাখ্যা তখন গ্রহণযোগ্য হতে পারে, যখন আরশ সর্বপ্রথম সৃষ্টি হওয়ার পক্ষে অকাট্য প্রমাণ বিদ্যমান থাকবে। অথচ এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। তাই এ তাবীল-ব্যাখ্যা সঠিক ও সিদ্ধ নয়।
‘সৃষ্টবস্তু অনাদি’ এ মতও উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে অগ্রহণযোগ্য প্রমাণ হয়। এ মতের অনুসারীরা বলেন, ‘আমরা যে-ই সৃষ্টির কথা উল্লেখ করি না কেন, তার পূর্বে অন্য সৃষ্টি বিদ্যমান ছিল। এভাবে ধারাবাহিকভাবে এক সৃষ্টির পূর্বের আরেকটি সৃষ্টির কথা উল্লেখ করতে গেলে সৃষ্টির কোনো সূচনাকাল নির্ধারণ করা যায় না। তাই বলা যাবে না, অমুক জিনিস সর্বপ্রথম সৃষ্টি।' উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে এ মত বাতিল প্রমাণ হয় এবং নির্ধারিত হয়ে যায় যে, সর্বপ্রথম সৃষ্টি কলম। অতএব, অকাট্যভাবে প্রমাণ হয়, কলমের পূর্বে কোনোকিছু সৃষ্টি করা হয়নি।২
১. তিরমিযি, ২১৫৫; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ১৩৩
২. নাযমুল ফারাইদ মিম্মা ফী সিলসিলাতাইল আলবানী মিনাল ফাওয়াইদ, ১/২৪-২৫
إِنَّ أَوَّلَ شَيْءٍ خَلَقَ اللَّهُ جَلَّ ثَنَاؤُهُ الْقَلَمُ وَأَمَرَهُ أَنْ يُكْتَبَ كُلَّ شَيْءٍ يَكُونُ
আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেন এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সবকিছু লেখার আদেশ দেন।১
অধিকাংশ মানুষের আকীদাহ হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর নূর সৃষ্টি করেন। উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে তাদের এ আকীদাহ বাতিল প্রমাণ হয়। তাদের এ আকীদাহর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। মুসান্নাফ আবদুর রাযযাকে এ সংক্রান্ত বর্ণিত হাদীসটির সনদ অগ্রহণযোগ্য। ‘সিলসিলাতু্যু যঈফাহ' গ্রন্থে ঐ হাদীস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
যারা মনে করেন, সর্বপ্রথম সৃষ্টি আরশ, উল্লিখিত হাদীস তাদের এ মতকে নাকচ করে। আরশ সর্বপ্রথম সৃষ্টি হওয়ার পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোনো প্রমাণ নেই। এটি ইমাম ইবন তাইমিয়াহ প্রমুখদের বিভিন্ন হাদীসের আলোকে ইজতিহাদি-গবেষণালব্ধ মত। আর স্বীকৃত মূলনীতি হচ্ছে, ব্যক্তির ইজতিহাদ ও গবেষণার ওপর স্পষ্ট দলিল প্রাধান্য পাবে। তাই ‘সর্বপ্রথম সৃষ্টি কলম’ এ মতটি প্রণিধানযোগ্য; কেননা, এ মতের পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান।
আরশ সৃষ্টির পর সর্বপ্রথম কলমকে সৃষ্টি করা হয়েছে-এ তাবীল-ব্যাখ্যা বাতিল। কেননা এমন তাবীল-ব্যাখ্যা তখন গ্রহণযোগ্য হতে পারে, যখন আরশ সর্বপ্রথম সৃষ্টি হওয়ার পক্ষে অকাট্য প্রমাণ বিদ্যমান থাকবে। অথচ এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। তাই এ তাবীল-ব্যাখ্যা সঠিক ও সিদ্ধ নয়।
‘সৃষ্টবস্তু অনাদি’ এ মতও উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে অগ্রহণযোগ্য প্রমাণ হয়। এ মতের অনুসারীরা বলেন, ‘আমরা যে-ই সৃষ্টির কথা উল্লেখ করি না কেন, তার পূর্বে অন্য সৃষ্টি বিদ্যমান ছিল। এভাবে ধারাবাহিকভাবে এক সৃষ্টির পূর্বের আরেকটি সৃষ্টির কথা উল্লেখ করতে গেলে সৃষ্টির কোনো সূচনাকাল নির্ধারণ করা যায় না। তাই বলা যাবে না, অমুক জিনিস সর্বপ্রথম সৃষ্টি।' উল্লিখিত হাদীসের মাধ্যমে এ মত বাতিল প্রমাণ হয় এবং নির্ধারিত হয়ে যায় যে, সর্বপ্রথম সৃষ্টি কলম। অতএব, অকাট্যভাবে প্রমাণ হয়, কলমের পূর্বে কোনোকিছু সৃষ্টি করা হয়নি।২
আরও পড়ুন - ফাতাওয়ায়ে আলবানী
১. তিরমিযি, ২১৫৫; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ১৩৩
২. নাযমুল ফারাইদ মিম্মা ফী সিলসিলাতাইল আলবানী মিনাল ফাওয়াইদ, ১/২৪-২৫
Attachments