If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
احلمد هلل رب األرض والسموات، منزل اآلايت البينات واملتفضل ابخلريات ودوام الربكات،زكى النفوس وطهرها ابلعبادات والنهي عن احملرمات ، أمحد ريب وأشكره على نعمه السابغات، ماعلمنا منها وما مل نعلم، فال حييط ابلنعم إال هللا الذي بيده احلسنات ، واحلفظ من الشرورواملهلكات ، وأشهد أن ال إله إال هللا وحده ال شريك له ذو امللك وامللكوت والعزة و اجلربوت، وأشهد أن نبينا و سيدان حممدا عبده ورسوله املؤيد للمعجزات، اللهم صلوسل م وابرك علىعبدك ورسولك حممد وعلى آله وصحبه السابقني إىل األعمال الصاحلات.
অতঃপর: আপনারা আপনাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন করুন যিনি আপনাদেরকে সকল নেয়ামত প্রদান করেছেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আর তাকওয়া হল কিয়ামতের দিনের সর্বোত্তম পাথেয়।
হে মুসলমানগণ! আপনারা জেনে রাখুন যে, সময়ের মধ্যে সর্বোত্তম সময়, দিনের মধ্যে সর্বোত্তম দিন এবং মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হল; যে সময়, দিন এবং মাসকে আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য সময়, দিন ও মাসের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। আর উক্ত সময়, দিন ও মাসে আল্লাহ তায়ালা যে আমলগুলো প্রবর্তন করেছেন। তাই সর্বোত্তম আমল। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুসলিমদেরকে ঐ মর্যাদাপূর্ণ সময়, দিন ও মাস সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং আমাদের জন্য উক্ত দিনসমূহে নেক আমল প্রবর্তন করেছেন। আর উক্ত দিনসহ অন্যান্য দিনগুলোতে অসৎ আমল থেকে সতর্ক করেছেন; যেন আমরা নেককাজে প্রচেষ্টা করি এবং হারাম ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের আমলনামাকে হেফাযত করি। আমাদের রবের জন্যই যাবতীয় প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আদায় করছি; কেননা তিনি আমাদের জন্য উপকারী বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাদের জন্য ক্ষতিকর বিষয় থেকে সতর্ক করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন: আমি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে রাসূল পাঠিয়েছি যিনি তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন। আর তা শিক্ষা দেন যা তোমরা জানতে না। - সূরা আল-বাকারা: ১৫১।
মহান আল্লাহ বলেন: অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ কর তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না। - সূরা আল-বাকারা: ২৩৯।
তিনি মানবকূলের নেতা মুহম্মাদ সাঃ কে উদ্দেশ্য করে বলেন : আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমত নাযিল করেছেন এবং আপনি যা জানতেন না তা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন, আপনার প্রতি আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে। - সূরা আন-নিসা: ১১৩।
তিনি বলেন: আর যা তোমাদের পিতৃপুরুষগণ ও তোমরা জানতে না তাও তোমাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। - সূরা আল-আন'আম: ৯১।
সুতরাং অনুগ্রহ আগমন করে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তার সমাপ্তিও ঘটে তাঁর পক্ষ থেকে । মহান আল্লাহ বলেন: আর এই যে, সবার শেষ গন্তব্য তো আপনার রবের কাছে। - সূরা আন-নাজম: ৪২।
আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা ও শুকরিয়া। আর যারা আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তাদের অবস্থা হল যে তারা দুনিয়ার চাকচিক্য এবং তার অস্থায়ী ভোগসমাগ্রীর শোভায় মুগ্ধ হয়। যেমনটি আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেন: আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তারা দুনিয়ার জীবন নিয়ে উৎফুল্লতায় আছে, অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন খুবই নগণ্য। - সূরা আর-রা'দ: ২৬।
আল্লাহ তায়ালা ঐসব কাফেরদের ব্যাপারে বলেন: এটা এ জন্য যে, তোমরা যমীনে অযথা উল্লাস করতে এবং এজন্য যে, তোমরা অহংকার করতে।* তোমরা জাহান্নামের বিভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য। অতএব কতই না নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল! - সূরা গাফির: ৭৫-৭৬।
তিনি এদের সম্পর্কে আরো বলেন: কখনো না, বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাস। সূরা আল-কিয়ামাহ : ২০।
যদি আখিরাতের উপর দুনিয়াকে অগ্রাধিকার দানকারীরা তাদের দুনিয়া নিয়েই খুশি থাকে, আখেরাতকে ভুলে যায় তাহলে তারা যেন আ'দ, সামূদ ও রাসূলদের বিরুদ্ধাচারণকারী অতীত জাতির পরিণতি নিয়ে চিন্তা করে যে, তাদের সুখ-সম্ভোগ ও বিলাসিতা কিভাবে নিঃশেষ হয়েছে এবং শুধু পরিতাপ, করুণ পরিণতি, অপরাধ ও পাপগুলোই অবশিষ্ট রয়ে চতুস্পদ গেছে!! মহান আল্লাহ বলেন: যারা কুফরী করেছে তারা ভোগ বিলাস করে এবং খায় যেমন জন্তুরা খায়; আর জাহান্নামই তাদের নিবাস। - সূরা মুহাম্মাদ: ১২।
তিনি আরো বলেন: হে জিন ও মানুষের দল, তোমাদের মধ্য থেকে কি তোমাদের নিকট রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করত এবং তোমাদের এই দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমাদেরকে সতর্ক করত? তারা বলবে, 'আমরা আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম।' আর দুনিয়ার জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে এবং তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, তারা ছিল কাফির।* তা এই কারণে যে, তোমার রব যুলুমের কারণে জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না তার অধিবাসীরা গাফিল থাকা অবস্থায়। - সূরা আল-আন'আম: ১৩০-১৩১।
এটি তাই, যা দুনিয়ার প্রকৃত অবস্থা এবং যারা দুনিয়াদারিতাকে নিজেদের লক্ষ্য বানিয়েছে, আখিরাত বাদে এতেই সন্তুষ্ট হয়েছে ও এর চাকচিক্যে মোহগ্রস্ত থেকেছে ইত্যাদি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বলেছেন। তিনি বলেন: নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না এবং দুনিয়ার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট আছে ও তা নিয়ে পরিতৃপ্ত রয়েছে। আর যারা আমার নিদর্শনাবলী হতে গাফেল।* তাদেরই আবাস জাহান্নাম; তাদের কৃতকর্মের জন্য। - সূরা ইউনুস: ৭-৮।
অতএব যখন আপনাদের নিকট নিষ্ফল আনন্দ ও ব্যর্থ উল্লাস যা দুনিয়াপ্রীতিতে উৎফুল্ল হওয়া ও আখিরাতকে ভুলে থাকা- সুস্পষ্ট হল, তখন আপনারা সুখ, সফলতা ও কল্যাণের আনন্দের দিকে ধাবিত হোন। আর এটাই প্রকৃত আনন্দ যার দিকে আপনাদের রব আহ্বান করে বলেছেন: তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের কাছ থেকে এসেছে উপদেশ ও অন্তরসমূহে যা আছে তার আরোগ্য এবং মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত। * বলুন, এটা আল্লাহর অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়; কাজেই এতে তারা যেন আনন্দিত হয়। তারা যা পুঞ্জীভূত করে তার চেয়ে এটা উত্তম।- সূরা ইউনুস: ৫৭-৫৮।
মহান আল্লাহ শ্রেষ্ঠ মাস দিয়ে আপনাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তিনি এ মাসে আপনাদের জন্য এমন ইবাদত ও বরকতকে একত্রিত করেছেন যা অন্য মাসে সমন্বিত হয় না, অন্য সময়ের প্রতিদানের চেয়ে এ মাসে প্রতিদানকে দ্বিগুণ করেছেন এবং এ মৌসুমে ইবাদত পালনের প্রতিবন্ধকতাসমূহ থেকে মুসলিমদেরকে হেফাযত করেছেন ও উম্মতে মুহাম্মদী হতে শয়তানকে বিদূরীত করেছেন যেন সে তাদের কল্যাণের পথে প্রতিবন্ধক হতে না পারে। যেমন নবী সাঃ বলেছেন: (রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শৃংখলিত করে দেয়া হয় শয়তানকে।) সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত।
এ মুবারক রমযান মাসে সালাতের কল্যাণ ও তার জ্যোতি রয়েছে এবং যে ব্যক্তি রমযান মাসকে যাকাত আদায়ের সময় ধার্য্য করে এবং অনুগ্রহ করতে ভালবাসে; তার জন্য যাকাত প্রদানের সুযোগ রয়েছে। কাজেই সুসংসবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য যিনি যথাপোযুক্ত ব্যক্তিকে যাকাত প্রদান করেছেন এবং দুর্ভোগ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে যাকাতের সম্পদকে নিজ সম্পদের সাথে মিশ্রিত করে তাকে বিনষ্ট করেছে। ফলে এর বরকত নিঃশেষ হয়ে যায় এবং এটি তার কবরে শাস্তির কারণ হয়; সম্পদটি একটি সাপের আকৃতি ধারণ করে তার গালের দুই পার্শ্ব কামড়ে ধরে বিষ ঢেলে দিবে। আর রমযানে ওয়াজীব ও মুস্তাহাব দান রয়েছে যা দাতাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে এবং তাকে ছায়া প্রদান করবে সেদিন যেদিন মানুষ তার দান-সাদাকার ছায়ায় অবস্থান করবে।
এ মাসে রয়েছে নাজাতদানকারী বিভিন্ন যিকির-আযকার। এতে রয়েছে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত যা দ্বারা আল্লাহ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন ও গোনাহ মোচন করেন এবং অন্তরসমূহকে শ্রেষ্ঠ গুণাবলীর উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।
এ মাসে রয়েছে ছোট হজ তথা উমরা, এর সওয়াব নবী সাঃ-এর সাথে হজ সম্পাদনের ন্যায় অথবা একটি হজের সমান। এতে রয়েছে নানাবিধ সৎকাজ এবং অভাবগ্রস্ত, পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি ইহসান। হাদিসে এসেছে: “দান-সদকা অপমৃত্যু রোধ করে, বালা-মসিবত দূর করে।”
সিয়াম পালনে রয়েছে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ। সিয়ামে রয়েছে সব রকমের সৎকাজ সাধন ও অসৎকাজের বর্জন। আর সালাতের সাথে সিয়ামের সমন্বয় ব্যতীত অন্তরের পরিশুদ্ধতা অর্জিত হয় না। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ্ তোমাদের সবাইকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। - সূরা আল-বাকারা: ১৪৮।
দ্বিতীয় খুতবা :
অতঃপর: আপনারা আপনাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন করুন, তিনি আপনাদেরকে প্রতিদান বাড়িয়ে দিবেন ও কবরের আযাব থেকে রেহাই দিবেন। বস্তুত যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে সেই সফল হয়েছে, আর যে প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে সেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন: অতএব তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহর দিকেই তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।- সূরা আল-মায়েদা: ৪৮।
হে মানবসকল! যা গত হয়েছে ও নিঃশেষ হয়েছে তা সুদূরপরাহত, যদিও গত দিনটি নিকটবর্তী মনে হয়। পক্ষান্তরে নিকটবর্তী তাই যা আগমণ করবে। কাজেই আপনার যে দিনগুলো গত হয়ে গেছে তা কখনো ফিরে আসবে না, আর যা ভবিষ্যতে আসবে তা অচিরেই পাবেন। মহান আল্লাহ বলেন: হে মানুষ! তুমি তোমার রবের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাত লাভ করবে। - সূরা আল-ইনশিকাক: ০৬।
তিনি বলেন: নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম দেখতে পাবে এবং কাফির বলবে, হায়! আমি যদি মাটি হতাম।- সূরা আন-নাবা : ৪০।
যদি বিষয়টি তেমনই হয় যেমনটি আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন, তাহলে আপনার চিরস্থায়ী জীবনের জন্য সৎকর্ম করা উচিত এমন দিন আসার পূর্বে: "যাতে কাউকেও বলতে না হয়, হায় আফসোস! আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করেছি তার জন্য! আর আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।* অথবা কেউ যেন না বলে, হায়! আল্লাহ আমাকে হিদায়াত করলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।* অথবা শাস্তি দেখতে পেলে যেন কাউকেও বলতে না হয়, হায়! যদি একবার আমি ফিরে যেতে পারতাম তবে আমি মুহসিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। - সূরা আয-যুমার: ৫৬-৫৮।
সুতরাং আপনারা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি সৎআমল করুন; কেননা তা আর ফিরে আসবে না। ইবনু আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত, নবী সাঃ বলেছেন: এমন দু'টি নিয়ামত আছে যে ব্যাপারে বেশিরভাগ লোক ধোঁকায় নিপতিত : সুস্বাস্থ্য ও অবসর। - সহীহ বুখারী।
দুআ:
হে আল্লাহর বান্দাগণ! নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দোয়া-ইস্তেগফার করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর উপর সালাত পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।
হে আল্লাহ! আপনি ইসলাম ও মুসলিমদের শক্তিশালী করুন এবং শিরক, মুশরিক, কাফের এবং নাস্তিকদের অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ও মুসলিমদের মৃত ব্যক্তিদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের ও মুসলিমদের অসুস্থ্য ব্যক্তিদের রোগমুক্তি দান করুন। আমাদের ও মুসলিমদের কর্মগুলোকে সহজ করে দিন, মুসলিমদের উপর থেকে বিপদাপদ ও বালা মসিবত দূরীভূত করে দিন। আমাদের দেশ ও সৈন্যদেরকে হেফাযত করুন -হে বিশ্বপালনকর্তা। হে আল্লাহ! আপনি দুই হারামের সেবককে আপনার পছন্দনীয় ও সন্তোষজনক কর্ম সম্পাদনের তাওফীক দান করুন এবং তাকে যাবতীয় কল্যাণে সহায়তা করুন। হে আল্লাহ! তার নায়েব ও মন্ত্রীপরিষদের প্রধানকে আপনার পছন্দনীয় ও সন্তোষজনক কর্ম সম্পাদনের তাওফীক দান করুন এবং তাকে যাবতীয় কল্যাণে সহায়তা করুন।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়- স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। হে আল্লাহর বান্দাগণ! নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দোয়া-ইস্তেগফার করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর উপর সালাত পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।
মসজিদে নববীর জুমার খুতবার বঙ্গানুবাদ
খতীব: সম্মানিত শায়খ ড. আলী বিন আব্দুর রহমান আল-হুযাইফী
খুতবা প্রদানের তারিখ: ০৯/০৯/১৪৪৪ হিজরী
খতীব: সম্মানিত শায়খ ড. আলী বিন আব্দুর রহমান আল-হুযাইফী
খুতবা প্রদানের তারিখ: ০৯/০৯/১৪৪৪ হিজরী