If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রশ্ন: আমি রমযানে একদিন ইচ্ছাকৃতভাবে সাওম ভঙ্গ করেছিলাম এবং ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াতে চেয়েছি। এখন প্রশ্ন হলো যে, মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত না কি আমি প্রতিদিন চার বা তিনজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারি? আমার জন্য কি পরিবারের সদস্যদেরকে (যেমন, আমার বাবা, মা ও ভাইদের) খাওয়ানো (ফিদইয়াহ দান) জায়েয, যদি তারা মিসকীন হয়ে থাকে?
উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
“সহবাস বা মিলন ছাড়া অন্য কোনো কারণে যদি রমযানের সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে, তবে সঠিক মতটি হলো এর কোনো কাফফারা নেই। তবে এই ক্ষেত্রে ওয়াজিব হলো তাওবা করা এবং সেই দিনের সাওম কাযা করা, যদি সাওম শুরু করার পর তা ভাঙ্গা হয়। আর যদি সহবাস/মিলন এর কারণে সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হচ্ছে, তাওবা করা, সে দিনের সাওম কাযা করা এবং কাফফারা আদায় করা- আর তা হলো একজন মুমিন দাস (শরী‘আত অনুমোদিত যুদ্ধলব্ধ) মুক্ত করা। তবে, যে তা পেল না, সে দুই মাস বিরতিহীনভাবে সিয়াম পালন করবে; আর যদি সে তাও না পারে, তবে সে ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াবে (সংখ্যা ষাট ই হতে হবে)।
যদি সে পূর্বে উল্লিখিত দাসমুক্তি ও সিয়াম পালনে অক্ষমতার কারণে মিসকীন খাওয়ায় তবে তাঁর জন্য মিসকীনদের একসাথে খাওয়ানো জায়েয (বৈধ) এবং সাধ্যমত থেকে থেকে কয়েকবারে খাওয়ানোও জায়েয (বৈধ), তবে মিসকীনদের এই সংখ্যা (ষাট) অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে।
এই কাফফারা এর খাবার বংশমূল যেমন, বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী এদের প্রদান করা জায়েয নয়। একইভাবে যার বংশধর শাখা যেমন ছেলেমেয়ে, তাদের ছেলেদের ও মেয়েদের, তঁদেরও প্রদান করা জায়েয নয়।
আল্লাহই তাওফীক দাতা। আল্লাহ আমদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগনের ওপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।” সমাপ্ত।
[গবেষণ ও ফাতাওয়া ইস্যুকারী আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ]
আশ-শাইখ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল আযীয বিন বায, শাইখ আবদুল্লাহ ইবন গুদাইইয়ান, শাইখ সালিহ আল ফাওযান, শাইখ আবদুল আযীয আল শাইখ, শাইখ বকর আবু যাইদ। ফাতওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, দ্বিতীয় গ্রুপ (৯/২২১)]
উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
“সহবাস বা মিলন ছাড়া অন্য কোনো কারণে যদি রমযানের সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে, তবে সঠিক মতটি হলো এর কোনো কাফফারা নেই। তবে এই ক্ষেত্রে ওয়াজিব হলো তাওবা করা এবং সেই দিনের সাওম কাযা করা, যদি সাওম শুরু করার পর তা ভাঙ্গা হয়। আর যদি সহবাস/মিলন এর কারণে সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হচ্ছে, তাওবা করা, সে দিনের সাওম কাযা করা এবং কাফফারা আদায় করা- আর তা হলো একজন মুমিন দাস (শরী‘আত অনুমোদিত যুদ্ধলব্ধ) মুক্ত করা। তবে, যে তা পেল না, সে দুই মাস বিরতিহীনভাবে সিয়াম পালন করবে; আর যদি সে তাও না পারে, তবে সে ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াবে (সংখ্যা ষাট ই হতে হবে)।
যদি সে পূর্বে উল্লিখিত দাসমুক্তি ও সিয়াম পালনে অক্ষমতার কারণে মিসকীন খাওয়ায় তবে তাঁর জন্য মিসকীনদের একসাথে খাওয়ানো জায়েয (বৈধ) এবং সাধ্যমত থেকে থেকে কয়েকবারে খাওয়ানোও জায়েয (বৈধ), তবে মিসকীনদের এই সংখ্যা (ষাট) অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে।
এই কাফফারা এর খাবার বংশমূল যেমন, বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী এদের প্রদান করা জায়েয নয়। একইভাবে যার বংশধর শাখা যেমন ছেলেমেয়ে, তাদের ছেলেদের ও মেয়েদের, তঁদেরও প্রদান করা জায়েয নয়।
আল্লাহই তাওফীক দাতা। আল্লাহ আমদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগনের ওপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।” সমাপ্ত।
[গবেষণ ও ফাতাওয়া ইস্যুকারী আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ]
আশ-শাইখ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল আযীয বিন বায, শাইখ আবদুল্লাহ ইবন গুদাইইয়ান, শাইখ সালিহ আল ফাওযান, শাইখ আবদুল আযীয আল শাইখ, শাইখ বকর আবু যাইদ। ফাতওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, দ্বিতীয় গ্রুপ (৯/২২১)]
Islam QA - ফাতওয়া নং ১৩২২৭৩
ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, দ্বিতীয় ভাগ (৯/২২১)
ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, দ্বিতীয় ভাগ (৯/২২১)