‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

মানহাজ শাসককে নসীহতের বিভিন্ন সুরত

Joynal Bin Tofajjal

Student Of Knowledge

Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Threads
344
Comments
479
Reactions
5,067
Credits
3,447
শাসককে নসীহত করার দুটি অবস্থা হতে পারে:

ক. একান্তে নসীহত করার সুযোগ থাকলে

একান্ত নসীহত করা, যা উপরিউক্ত হাদীসসমূহ থেকে আমরা জেনেছি। আর এটাই শরীআত সম্মত পদ্ধতি। [ইবনুন নাহহাস, তামবীহুল গাফিলীন, পৃ. ৬৪; শাওকানি, আস-সাইল (৪/৫৫৬); সা‘দি, আর-রিয়াদুন নাদিরাহ: ৫০]

তাকে একান্তে নসীহত করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে নসীহত করা। এটা নিষিদ্ধ; এটিই মুসলিমদের মাঝে প্রথম ফিতনা যা বাগীরা এনেছিল। তাদের এ প্রকাশ্য বিরোধিতার কারণে বহু সাহাবিকে মারা পড়তে হয়।

তাকে একান্তে নসীহত করার পর মানুষদেরকে বলে বেড়ানো। এটিও হারাম; কারণ তা ইয়াদ ইবন গানাম এর হাদীসের বিপরীত। সালাফরা শাসকদের সঙ্গে তা করতেন না। এর মাধ্যমে সে রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, যা ইখলাসের দুর্বলতার প্রমাণ। এর মাধ্যমে ফিতনা ও বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করা হয়। এর মাধ্যমে শাসককে অপমান করা হয়, যা হাদীসে নিষিদ্ধ।

তার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন বৈঠকে, ওয়াজের স্থানে, খুতবায়, দারসে কেবল তার বিরুদ্ধে বলা। এটা একেবারেই হারাম। কারণ এটিই গীবত, যা ইসলামি শরীআতে হারাম। এর মাধ্যমে ফিতনা ও সমস্যা আরো প্রকট হয়। এটি উপরিউক্ত ইয়াদ ইবন গানাম-এর হাদীসের বিপরীত। এটি সালাফদের আদর্শের বিপরীত। এর মাধ্যমে শাসককে অপমান করা হয়। এর মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

খ. একান্তে নসীহত করার সুযোগ না থাকলে,

যদি তিনি এ ব্যাপারে বলার বেশি উপযোগী, না বলা হলে আল্লাহর হক নষ্ট হবে, তাহলে প্রকাশ্যে বলা অনুমোদিত, যেমনটি আবু সাঈদ আল-খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু মারওয়ানের সামনে সালাত দেরি করে পড়ার কারণে বলেছিলেন। দেখুন, বুখারি, আল-জামিউস সহীহ, হাদীস নং ৯৫৬। অনুরূপ বলেছিলেন, হিশাম রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।

এখানে অবশ্যই জানা দরকার যে, যিনি বলছেন তিনি এমন পর্যায়ের লোক, যার প্রকাশ্যে বলার মতো যোগ্যতা আছে। তার কথার প্রভাব পড়বে আর শাসক তা মানতে বাধ্য হবেন।

যদি তিনি এ পর্যায়ের লোক নন, যার কথা শাসক শুনবেন, তাহলে তিনি কি নিজেকে প্রকাশ্যে বলার মাধ্যমে বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন? বস্তুত তখন সামর্থ্যের নীতি চলে আসবে, তার মধ্যকার তৃতীয়টি অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু তিনি তখন প্রকাশ্যে বলে নিজের ওপর বিপদ ডেকে আনবেন না। সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, একলোক ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি আমার শাসককে সৎকাজের আদেশ করব? তিনি বললেন, যদি তোমার জানের ভয় থাকে তবে শাসককে ক্ষেপিয়ে দিবে না, যদি করার কিছু থাকে তো তার ও তোমার মাঝে।’ [ইবন আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ (১৫/৭৪)]

যদি আপনি শাসকের কাছে যাওয়ার মতো লোক না হন, তবে যারা যায় তাদের কাছে বলতে পারবেন, নতুবা সবর করবেন ও অন্তরে সে অবস্থার পরিবর্তন কামনা করবেন।



এটা সালাফগণের মানহাজ নয়!
অনুবাদ: হাবিব বিন তোফাজ্জল
সম্পাদনা: শাইখ ড.আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া​
 

Share this page