যখন কোনো ব্যক্তি শপথ ভঙ্গ করবে এবং তা আদায় করবে না, তখন তিনটি শর্ত ছাড়া তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে না। আর সেগুলো হলো:
প্রথম শর্তঃ শপথটি বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। তা এভাবে যে, শপথকারী তা ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের দৃঢ় সংকল্প করবে। আর আল্লাহর সত্তাগত নাম, অথবা তাঁর গুণবাচক নামসমূহের কোনো একটি নাম কিংবা সিফাতসমূহের কোনো একটি সিফাতের নামে শপথ না হলে, সেটি শপথ বলে গণ্য হবে না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু তোমরা দৃঢ়ভাবে যে সমস্ত শপথ করো, সেগুলো ভঙ্গ করার কারণে তিনি তোমাদেরকে পাঁকড়াও করবেন"।[সূরা মায়িদা: ৮৯]
অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে, সংঘটিত শপথ হলেই কেবল কাফফারা আবশ্যক হবে। পক্ষান্তরে যার যবান দ্বারা উদ্দেশ্যবিহীন শপথ উচ্চারিত হবে, তা শপথ বলে গণ্য হবে না। আর এরূপ শপথের কোনো কাফফারা নেই।
দ্বিতীয় শর্ত: শপথকারী স্বেচ্ছায় শপথ করবে। অতএব, যে ব্যক্তি বাধ্য হয়ে শপথ করে, তার শপথটি সংঘটিত শপথ হিসেবে গণ্য হবে না এবং তাতে তার উপর কোনো কাফফারা নেই। কেননা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
"আমার উম্মত হতে ভুল, ভুলে যাওয়া এবং যে জিনিসে বাধ্য করা হয়, তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে"। (অর্থাৎ এ তিন অবস্থায় কোনো ভুল হলে তার জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই)। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. ২০৪৫]
তৃতীয় শর্ত: শপথ ভঙ্গ করবে এমন কাজ করার মাধ্যমে, যা সে পরিত্যাগ করার ব্যাপারে শপথ করেছিল। অথবা এমন কাজ না করার মাধ্যমে, যা করার ব্যাপারে শপথ করেছিল। আর এ সময় শপথের করা তার স্মরণে থাকতে হবে এবং নিজ ইচ্ছায় শপথ ভাঙ্গতে হবে। পক্ষান্তরে ভুলে শপথ ভেঙ্গে ফেললে কিংবা তাকে শপথ ভাঙ্গতে বাধ্য করা হলে, উপর্যুক্ত হাদীসের আলোকে তার উপর কোনো কাফফারা নেই।
প্রথম শর্তঃ শপথটি বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। তা এভাবে যে, শপথকারী তা ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের দৃঢ় সংকল্প করবে। আর আল্লাহর সত্তাগত নাম, অথবা তাঁর গুণবাচক নামসমূহের কোনো একটি নাম কিংবা সিফাতসমূহের কোনো একটি সিফাতের নামে শপথ না হলে, সেটি শপথ বলে গণ্য হবে না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু তোমরা দৃঢ়ভাবে যে সমস্ত শপথ করো, সেগুলো ভঙ্গ করার কারণে তিনি তোমাদেরকে পাঁকড়াও করবেন"।[সূরা মায়িদা: ৮৯]
অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে, সংঘটিত শপথ হলেই কেবল কাফফারা আবশ্যক হবে। পক্ষান্তরে যার যবান দ্বারা উদ্দেশ্যবিহীন শপথ উচ্চারিত হবে, তা শপথ বলে গণ্য হবে না। আর এরূপ শপথের কোনো কাফফারা নেই।
দ্বিতীয় শর্ত: শপথকারী স্বেচ্ছায় শপথ করবে। অতএব, যে ব্যক্তি বাধ্য হয়ে শপথ করে, তার শপথটি সংঘটিত শপথ হিসেবে গণ্য হবে না এবং তাতে তার উপর কোনো কাফফারা নেই। কেননা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
"আমার উম্মত হতে ভুল, ভুলে যাওয়া এবং যে জিনিসে বাধ্য করা হয়, তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে"। (অর্থাৎ এ তিন অবস্থায় কোনো ভুল হলে তার জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই)। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. ২০৪৫]
তৃতীয় শর্ত: শপথ ভঙ্গ করবে এমন কাজ করার মাধ্যমে, যা সে পরিত্যাগ করার ব্যাপারে শপথ করেছিল। অথবা এমন কাজ না করার মাধ্যমে, যা করার ব্যাপারে শপথ করেছিল। আর এ সময় শপথের করা তার স্মরণে থাকতে হবে এবং নিজ ইচ্ছায় শপথ ভাঙ্গতে হবে। পক্ষান্তরে ভুলে শপথ ভেঙ্গে ফেললে কিংবা তাকে শপথ ভাঙ্গতে বাধ্য করা হলে, উপর্যুক্ত হাদীসের আলোকে তার উপর কোনো কাফফারা নেই।
সূত্র: আল ফিকহুল মুয়াসসার
দ্বাদশ অধ্যায়: শপথ ও মানত; আত তাওহীদ প্রকাশনী
দ্বাদশ অধ্যায়: শপথ ও মানত; আত তাওহীদ প্রকাশনী