Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,141
- Comments
- 1,333
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,661
- Thread Author
- #1
লজ্জাশীলতার চারিত্রিক ভিত্তি অন্তরের জীবনের উপরই নির্ভরশীল। তাই অন্তরাত্মা মরে গেলেই লজ্জা কমে যায়। কাজেই অন্তর যতই সজীব হবে, লজ্জা ততই বেশি হবে। জুনাইদ [রহিমাহুল্লাহ] বলেন, লজ্জাশীলতা হলো নিয়ামত ও ত্রুটি উভয়টির অবলোকন। এ দুয়ের মাঝে যে অবস্থা সৃষ্টি হয় তার নামই লজ্জাশীলতা। এর মূল কথা হলো, তা এমন এক চরিত্র যা অপকর্ম পরিত্যাগে উৎসাহিত এবং অধিকারীর অধিকার আদায়ে ত্রুটি করতে নিষেধ করে।
ফুযাইল ইবনু ইয়ায [রহিমাহুল্লাহ] বলেন, দুর্ভাগ্যের পাঁচটি আলামত-
১. অন্তরের কাঠিন্য; ২. চোখের জমাটবদ্ধতা; ৩. লজ্জার ঘাটতি; ৪. দুনিয়ার লোভ; ৫. দীর্ঘ আশা।
ইয়াহয়া ইবনু মুআয [রহিমাহুল্লাহ] বলেন, যে ব্যক্তি আনুগত্যের ক্ষেত্রে আল্লাহকে লজ্জা পায় সে ব্যক্তি গুনাহের সময়ও আল্লাহকে লজ্জা পায়।
উক্ত কথাটির ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। যার অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের সময় তাঁকে লজ্জা পায় তথা লজ্জায় তার মাথা তাঁর সামনে নিচু হয়ে থাকে তখন আল্লাহ তার পাপের সময় তার দিকে দৃষ্টি দিতে লজ্জা পায়। কারণ, সে আল্লাহর নিকট সম্মানিত। তাই আল্লাহ তাঁর বন্ধুর এমন কিছু দেখতে লজ্জা পায় যা তাকে তাঁর নিকট অসম্মানিত করে। মানুষের বাস্তব জীবনে এর দৃষ্টান্ত রয়েছে। যেমন- কোনো ব্যক্তি যদি তার বিশেষ নিকটতম ব্যক্তি তথা তার সাথী, সন্তান বা প্রিয় কাউকে তার সাথে খিয়ানত করতে দেখে তখন সে তা দেখে খুবই লজ্জিত হয়। যেন সে মনে করে সে এ জন্য নিজেই দোষী। এ হলো সর্বোচ্চ বদান্যতা।
তবে প্রতিপালক তার গোলাম থেকে লজ্জা পাওয়ার ধরন আরেকটি। যা সাধারণ মানুষের বুঝে ধরবে না। কারণ, এটি হলো দানশীলতা, বদান্যতা, মহত্ত্ব ও করুণার লজ্জা। কারণ, তিনি বদান্য লজ্জাশীল। তাঁর কোনো বান্দা তাঁর নিকট হাত উঁচু করলে তিনি তা খালি ফেরত দিতে চান না। তেমনিভাবে তিনি ইসলামের উপরই বার্ধক্যে পৌঁছেছে এমন কাউকেও শাস্তি দিতে লজ্জা পান।
— অন্তরের মহৌষধ, আত তাওহীদ প্রকাশনী
ফুযাইল ইবনু ইয়ায [রহিমাহুল্লাহ] বলেন, দুর্ভাগ্যের পাঁচটি আলামত-
১. অন্তরের কাঠিন্য; ২. চোখের জমাটবদ্ধতা; ৩. লজ্জার ঘাটতি; ৪. দুনিয়ার লোভ; ৫. দীর্ঘ আশা।
ইয়াহয়া ইবনু মুআয [রহিমাহুল্লাহ] বলেন, যে ব্যক্তি আনুগত্যের ক্ষেত্রে আল্লাহকে লজ্জা পায় সে ব্যক্তি গুনাহের সময়ও আল্লাহকে লজ্জা পায়।
উক্ত কথাটির ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। যার অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের সময় তাঁকে লজ্জা পায় তথা লজ্জায় তার মাথা তাঁর সামনে নিচু হয়ে থাকে তখন আল্লাহ তার পাপের সময় তার দিকে দৃষ্টি দিতে লজ্জা পায়। কারণ, সে আল্লাহর নিকট সম্মানিত। তাই আল্লাহ তাঁর বন্ধুর এমন কিছু দেখতে লজ্জা পায় যা তাকে তাঁর নিকট অসম্মানিত করে। মানুষের বাস্তব জীবনে এর দৃষ্টান্ত রয়েছে। যেমন- কোনো ব্যক্তি যদি তার বিশেষ নিকটতম ব্যক্তি তথা তার সাথী, সন্তান বা প্রিয় কাউকে তার সাথে খিয়ানত করতে দেখে তখন সে তা দেখে খুবই লজ্জিত হয়। যেন সে মনে করে সে এ জন্য নিজেই দোষী। এ হলো সর্বোচ্চ বদান্যতা।
তবে প্রতিপালক তার গোলাম থেকে লজ্জা পাওয়ার ধরন আরেকটি। যা সাধারণ মানুষের বুঝে ধরবে না। কারণ, এটি হলো দানশীলতা, বদান্যতা, মহত্ত্ব ও করুণার লজ্জা। কারণ, তিনি বদান্য লজ্জাশীল। তাঁর কোনো বান্দা তাঁর নিকট হাত উঁচু করলে তিনি তা খালি ফেরত দিতে চান না। তেমনিভাবে তিনি ইসলামের উপরই বার্ধক্যে পৌঁছেছে এমন কাউকেও শাস্তি দিতে লজ্জা পান।
— অন্তরের মহৌষধ, আত তাওহীদ প্রকাশনী