‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করা বৈধ কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,139
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,876
Credits
24,212
রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার বৈধ। কিন্তু ব্যবহার করার পর যদি গলার সুরমা বা ঔষধের স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে (কিছু উলামার নিকট রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং সে রোযা) কাযা রেখে নেওয়াই হল পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। (ইবনে বায) কারণ, চোখ ও কান খাদ্য ও পানীয় পেটে যাওয়ার পথ নয় এবং সুরমা বা ঔষধ লাগানোর খাওয়া বা পান করাও বলা যায় না; না সাধারণ প্রচলিত কথায় এবং না-ই শরয়ী পরিভাষায়। অবশ্য রোযাদার যদি চোখে বা কানে ঔষধ দিনে ব্যবহার না করে রাতে করে, তাহলে সেটাই হবে পূর্বসাবধানতামূলক কর্ম। (মুমতে ৬/৩৮২, লাদা, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৯)
হযরত আনাস (রঃ) রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। (সহীহ আবূ দাঊদ ২০৮২ নং)

পক্ষান্তরে রোযা থাকা অবস্থায় নাকে ঔষধ ব্যবহার বৈধ নয়। কারণ, নাকের মাধ্যমে পানাহার পেটে পৌঁছে থাকে। আর এ জন্যই মহানবী (সঃ) বলেছেন, “(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।” (আহমাদ ৪/৩৩, আবূ দাঊদ ১৪২, তিরমীযী, নাসাঈ, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩২৮ নং)

বলা বাহুল্য, উক্ত হাদীস এবং অনুরূপ অর্থের অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতেই নাকে ঔষধ ব্যবহার করার পর যদি গলাতে তাঁর স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং রোযা কাযা করতে হবে। ২৮৫ (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ বিসসিয়াম ২৮ পৃঃ)


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 

Share this page