রোযা নষ্টকারী কর্মাবলীর মধ্যে জাগ্রত অবস্থায় সকাম যৌন-স্বাদ অনুভূতির সাথে বীর্যপাত অন্যতম; চাহে সে বীর্যপাত (নিজ অথবা স্ত্রীর) হস্তমৈথুন দ্বারা হোক অথবা কোলাকুলি দ্বারা, নচেৎ চুম্বন অথবা প্রচাপন দ্বারা। কারণ, উক্ত প্রকার সকল কর্মই হল এক এক শ্রেণীর যৌনাচার। অথচ মহান আল্লাহ (হাদীসে কুদসীতে) বলেন, ‘‘সে আমার (সন্তুষ্টি লাভের) আশায় নিজের প্রয়োজনীয় পানাহার ও যৌনাচার পরিহার করে।’’[1] আর যে ব্যক্তি যে কোন প্রকারে নিজ যৌন অনুভূতিকে উত্তেজিত করে তৃপ্তির সাথে বীর্যপাত করে, সে আসলেই নিজের যৌন-কামনা চরিতার্থ করে থাকে এবং তার রোযাতে সেই কর্ম বর্জন করে না, যা আল্লাহর উক্ত বাণীতে পানাহারের অনুরূপ।[2]
পরন্তু রোযাদারের জেনে রাখা উচিৎ যে, হস্ত অথবা অন্য কিছু দ্বারা বীর্যপাত ঘটানো যেমন রোযার মাসে হারাম, তেমনি অন্য মাসেও। কিন্তু রমাযানে তা অধিকরূপে হারাম। যেহেতু এ মাসের রয়েছে পৃথক মর্যাদা এবং তাতে হয়েছে রোযা ফরয।[3]
পরন্তু রোযাদারের জেনে রাখা উচিৎ যে, হস্ত অথবা অন্য কিছু দ্বারা বীর্যপাত ঘটানো যেমন রোযার মাসে হারাম, তেমনি অন্য মাসেও। কিন্তু রমাযানে তা অধিকরূপে হারাম। যেহেতু এ মাসের রয়েছে পৃথক মর্যাদা এবং তাতে হয়েছে রোযা ফরয।[3]
[1] (বুখারী ১৮৯৪, মুসলিম ১১৫১নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৮৭)
[3] (ফাইযুর রাহীমির রাহমান, ফী আহকামি অমাওয়াইযি রামাযান ৬১পৃঃ)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী