• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সিয়াম রোযা অবস্থায় দুআ

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,263
Credits
6,307
রোযাদারের উচিৎ, ইফতার করার আগে পর্যন্ত রোযা থাকা অবস্থায় বেশী বেশী করে দুআ করা। কারণ, রোযা থাকা অবস্থায় রোযাদারের দুআ আল্লাহর নিকট মঞ্জুর হয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তিন ব্যক্তির দুআ অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দুআ, রোযাদারের দুআ এবং মুসাফিরের দুআ।’’[1]

পক্ষান্তরে ইফতার করার সময় দুআ কবুল হওয়ার কথা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ ব্যাপারে যা কিছু বর্ণনা করা হয়, তা যয়ীফ। অনুরূপ ইফতারের সময় একাকী বা জামাআতী হাত তুলে দুআও বিধেয় নয়। কারণ, সুন্নাহ (মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বা তাঁর সাহাবাগণের তরীকায়) এ আমলের বর্ণনা মিলে না। অতএব রোযাদার সতর্ক হন।

এ স্থলে পানাহার করার সময় যে সব দুআ সাধারণভাবে পঠনীয় তা নিম্নরূপঃ-

১। পানাহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা। কারণ, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তা বলতে আদেশ করেছেন।[2] আর তিনি এ কথাও জানিয়েছেন যে, তা না বললে শয়তান ভোজনকারীর সাথে ভোজনে অংশ গ্রহণ করে থাকে।[3] একদা একটি বালিকা এবং একজন বেদুঈন ‘বিসমিল্লাহ’ না বলেই খেতে শুরু করতে চাইলে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাদের হাত ধরে ফেললেন এবং বললেন যে, শয়তান তাদেরকে এভাবে খেতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং তাদের হাতের সাথে শয়তানের হাত তাঁর হাতে ধরা আছে। আসলে শয়তান তাদের সাথে খেতে চাচ্ছিল।[4]

২। খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে গেলে এবং খেতে খেতে মনে পড়লে বলতে হয়,

بِسْمِ اللهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ​

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লা-হি আউওয়ালাহু অ আ-খিরাহ।

অর্থ- শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নাম নিয়ে খাচ্ছি।[5]

৩। খাওয়া শেষ হলে ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলতে হয়। যেহেতু কিছু খাওয়া অথবা পান করার পরে বান্দা আল্লাহর প্রশংসা করুক এটা তিনি পছন্দ করেন।[6]

আর ইফতার করার সময় যে দুআ প্রমাণিত, তা ইফতার করার পর পঠনীয়। ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ইফতার করলে এই দুআ বলতেন,

ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَثَبَتَ ألأَجْرُ إِنْ شَاءَ الله.​

উচ্চারণঃ- যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুক্বু অষাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লাহ।

অর্থ- পিপাসা দূরীভূত হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল এবং ইনশা-আল্লাহ সওয়াব সাব্যস্ত হল।[7]

ইফতারের সময় এই দুআয় সবচেয়ে সহীহরূপে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া ইফতারের অন্যান্য (লাকা সুমতু, ইত্যাদি) দুআ বিশুদ্ধরূপে প্রমাণিত নয়।


রোযার অন্যান্য আদব

‘ভোগে কেবল দুর্ভোগ সার, বাড়ে দুখের বোঝা,
ত্যাগ শিখ্ তুই সংযম শিখ্, সেই তো আসল রোযা।
এই রোযার শেষে ঈদ আসিবে, রইবে না বিষাদ।।’

-কাজী নজরুল


[1] (বাইহাকী ৩/৩৪৫, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৭৯৭নং)
[2] (বুখারী ৫৩৭৬, মুসলিম ২০২২নং)
[3] (মুসলিম ২০১৭, আবূ দাঊদ ৩৭৬৬নং)
[4] (মুসলিম ২০১৭, আবূ দাঊদ ৩৭৬৬নং)
[5] (আবূ দাঊদ ৩৭৬৭, তিরমিযী ১৮৫৮, ইবনে মাজাহ ৩২৬৪, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ১৯৬৫নং)
[6] (মুসলিম ২৭৩৪, আহমাদ, মুসনাদ ৩/১০০, ১১৭, তিরমিযী ১৮১৬নং)
[7] (আবূ দাঊদ ২৩৫৭,সহীহ আবূ দাঊদ ২০৬৬নং)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top