যা থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য তাতে রোযা নষ্ট নয়
থুথু ও গয়ের থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য। কারণ, তা মুখে বা গলার গোড়ায় জমা হয়ে নিচে এমনিতেই চলে যায়। অতএব এতে রোযা নষ্ট হবে না এবং বারবার থুথু ফেলারও দরকার হবে না।
অবশ্য যে কফ, গয়ের, খাঁকার বা শ্লেমা বেশী মোটা এবং যা কখনো মানুষের বুক (শবাসযন্ত্র) থেকে, আবার কখনো মাথা (Sinuses) থেকে বের হয়ে আসে, তা গলা ঝেড়ে বের করে বাইরে ফেলা ওয়াজেব এবং তা গিলে ফেলা বৈধ নয়। যেহেতু তা ঘৃণিত; সম্ভবতঃ তাতে শরীর থেকে বেরিয়ে আসা কোন রোগজীবাণুও থাকতে পারে। সুতরাং তা গিলে ফেলাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হতে পারে। তবে যদি কেউ ফেলতে না পেরে গিলেই ফেলে, তাহলে তাতে রোযা নষ্ট হবে না।
পক্ষান্তরে মুখের ভিতরকার স্বাভাবিক লালা গিলাতে কোন ক্ষতি নেই। রোযাতেও কোন প্রভাব পড়ে না।[1] এই লালা বের করে ফেলা জরুরী নয়; এমনকি ফজরের আযানের সামান্য পূর্বে পানি পান করার পরেও নয়। কারণ, আমাদের জানা মতে সাহাবাবর্গ কর্তৃক এমন কোন নির্দেশ বর্ণিত হয় নি, যাতে বুঝা যায় যে, রোযাদার ফজর উদয় (সেহরীর সময় শেষ) হওয়ার একটু পূর্বে পানি পান করলে ততক্ষণ পর্যন্ত থুথু ফেলতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত জিব থেকে পানির স্বাদ দূরীভূত না হয়েছে। বরং এতটুকু অবশ্যই ক্ষমার্হ। তবে হ্যাঁ, যদি কোন খাবারের স্বাদ; যেমন খেজুর, চা বা অনুরূপ কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের মিষ্টতা জিবে অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তা অবশ্যই থুথু ফেলার সাথে (বা পানি দ্বারা কুল্লি করে) দূর করা জরুরী এবং সেহরীর সময় শেষ হয়ে গেছে জানার পর তা গিলা বৈধ নয়।
দাঁতে লেগে থাকা মাংস বা অন্য কোন খাবার ফজর উদয় হওয়ার পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে, অথবা তা অতি সামান্য হওয়ার ফলে মুখে বুঝতে পারা এবং বের করে ফেলা সম্ভব না হলে তা মুখের স্বাভাবিক লালার মতই। তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু বেশী হলে এবং তা বের করে ফেলা সম্ভব হলে, বের করে দিলে আর কোন ক্ষতি হবে না। পরন্তু তা ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।[2]
থুথু ও গয়ের থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য। কারণ, তা মুখে বা গলার গোড়ায় জমা হয়ে নিচে এমনিতেই চলে যায়। অতএব এতে রোযা নষ্ট হবে না এবং বারবার থুথু ফেলারও দরকার হবে না।
অবশ্য যে কফ, গয়ের, খাঁকার বা শ্লেমা বেশী মোটা এবং যা কখনো মানুষের বুক (শবাসযন্ত্র) থেকে, আবার কখনো মাথা (Sinuses) থেকে বের হয়ে আসে, তা গলা ঝেড়ে বের করে বাইরে ফেলা ওয়াজেব এবং তা গিলে ফেলা বৈধ নয়। যেহেতু তা ঘৃণিত; সম্ভবতঃ তাতে শরীর থেকে বেরিয়ে আসা কোন রোগজীবাণুও থাকতে পারে। সুতরাং তা গিলে ফেলাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হতে পারে। তবে যদি কেউ ফেলতে না পেরে গিলেই ফেলে, তাহলে তাতে রোযা নষ্ট হবে না।
পক্ষান্তরে মুখের ভিতরকার স্বাভাবিক লালা গিলাতে কোন ক্ষতি নেই। রোযাতেও কোন প্রভাব পড়ে না।[1] এই লালা বের করে ফেলা জরুরী নয়; এমনকি ফজরের আযানের সামান্য পূর্বে পানি পান করার পরেও নয়। কারণ, আমাদের জানা মতে সাহাবাবর্গ কর্তৃক এমন কোন নির্দেশ বর্ণিত হয় নি, যাতে বুঝা যায় যে, রোযাদার ফজর উদয় (সেহরীর সময় শেষ) হওয়ার একটু পূর্বে পানি পান করলে ততক্ষণ পর্যন্ত থুথু ফেলতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত জিব থেকে পানির স্বাদ দূরীভূত না হয়েছে। বরং এতটুকু অবশ্যই ক্ষমার্হ। তবে হ্যাঁ, যদি কোন খাবারের স্বাদ; যেমন খেজুর, চা বা অনুরূপ কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের মিষ্টতা জিবে অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তা অবশ্যই থুথু ফেলার সাথে (বা পানি দ্বারা কুল্লি করে) দূর করা জরুরী এবং সেহরীর সময় শেষ হয়ে গেছে জানার পর তা গিলা বৈধ নয়।
দাঁতে লেগে থাকা মাংস বা অন্য কোন খাবার ফজর উদয় হওয়ার পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে, অথবা তা অতি সামান্য হওয়ার ফলে মুখে বুঝতে পারা এবং বের করে ফেলা সম্ভব না হলে তা মুখের স্বাভাবিক লালার মতই। তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু বেশী হলে এবং তা বের করে ফেলা সম্ভব হলে, বের করে দিলে আর কোন ক্ষতি হবে না। পরন্তু তা ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।[2]
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী