• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সিয়াম রোযা অবস্থায় কুল্লি করা ও নাকে পানি নেওয়া

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,263
Credits
6,307
রোযাদারের ঠোঁট শুকিয়ে গেলে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নেওয়া এবং মুখ বা জিভ শুকিয়ে গেলে কুল্লি করা বৈধ। অবশ্য গড়গড়া করা বৈধ নয়। আর এ ক্ষেত্রে মুখ থেকে পানি বের করে দেওয়ার পর ভিতরে পানির যে আর্দ্রতা বা স্বাদ থেকে যাবে, তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কেননা, তা থেকে বাঁচা সম্ভব নয়।[1]

অতি প্রয়োজনে গড়গড়ার ওষুধ ব্যবহার করা বৈধ। তবে শর্ত হল, যেন কোন প্রকারে পানি বা ওষুধ গলার নিচে নেমে না যায়। (নচেৎ, তাতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।) তাই পূর্বসতর্কতামূলক আমল হল, তা দিনে ব্যবহার না করে রাতে করা।[2]

নাকে পানি টেনে নিয়ে নাক ঝাড়াও রোযাদারের জন্য বৈধ। অবশ্য তাতে অতিরঞ্জন করা যাবে না। কারণ, তাতে গলার নিচে পানি নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।’’[3]

অবশ্য ওযূ ইত্যাদি করার সময় কুল্লি করতে গিয়ে বা নাকি পানি নিতে গিয়ে সাবধানতা সত্ত্বেও যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার নিচে চলে যায়, তাহলে তাতে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননা, তা ইচ্ছা করে গিলা হয় না। আর মহান আল্লাহ বলেন,

(وَلَكِنْ مَّا تَعَمَّدَتْ قُلُوْبُكُمْ)

অর্থাৎ, (কোন ব্যাপারে তোমরা ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই; কিন্তু ইচ্ছাকৃত করলে অপরাধ আছে। (কুরআনুল কারীম ৩৩/৫)[4]


[1] (ইতহাফু আহলিল ইসলাম বিআহকামিস সিয়াম, জারুল্লাহ আলি জারুল্লাহঃ ২৪পৃঃ, মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম, মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-মুনাজ্জিদ ৫৩নং)
[2] (ফাসিঃ জিরাইসী ২১পৃঃ)
[3] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/৩৩, আবূ দাঊদ ১৪২, সহীহ তিরমিযী, আলবানী ৬৩১, সহীহ নাসাঈ, আলবানী ৮৫, ইবনে মাজাহ ৪০৭নং)
[4] (ইবনে উষাইমীন, ফাসিঃ মুসনিদ ৩৮পৃঃ)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top