প্রশ্ন: আজ এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখার একটা আমল বলেছেন। যেটা করলে নাকি সাত সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে স্বপ্নে দেখা যাবে। সাত সপ্তাহে না দেখা গেলে বারো সপ্তাহে অবশ্যই দেখা যাবে। (তবে উক্ত আমলটি আমার মনে নেই)।
আমার প্রশ্ন হল, রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখার জন্য এ রকম কোনও আমল কি আছে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্ন মারফতে দেখার জন্য বিশেষ কোন আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নাই। তাই কেউ যদি বিশেষ আমল দ্বারা সাত সপ্তাহে বা বারো সপ্তাহে অথবা এক বছরে বা জীবনে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার নিশ্চয়তা দেয় তাহলে নিশ্চিত সে বিদআতি। কেননা, যে আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয় তা বিদআত ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তবে কেউ যদি তাঁকে স্বপ্ন মারফত দেখার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ:
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখার মনে প্রবল আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা।
২) তাঁকে নিজের জান, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল প্রিয় মানুষের চেয়ে অধিক ভালবাসা।
৩) তাঁর সুন্নাহর আলোকে জীবন ঢেলে সাজানো।
৪) বিদআত পরিত্যাগ করা।
৫) তাঁর জীবনী পাঠ করা। তাঁর শারীরিক গঠন, আকার-আকৃতি ও চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা। যেন শয়তান স্বপ্নে ধোঁকা দিতে না পারে।
৬) সর্বোপরি তাঁকে স্বপ্নে দেখার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুআ করা।
মুমিন ব্যক্তি এভাবে জীবন গঠন করতে পারলে আল্লাহ তাআলা স্বপ্ন মারফতে তাঁর সাথে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাৎ ঘটাতেও পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে, আমরা যদি তাঁর সুন্নাহ ও আদর্শের আলোকে ইবাদত-বন্দেগি, লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যক্তিগত আচরণ, পারিবারিক, সামাজিক কার্যক্রম ইত্যাদি পরিচালনা করতে সক্ষম হই তাহলে ইনশাআল্লাহ আখিরাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভে আমাদের জীবন ধন্য হবে। মিলবে তাঁর সুপারিশ।
পক্ষান্তের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ থেকে দুরে থেকে কেউ যদি তাকে ১০০ বারও স্বপ্নে দেখে তবুও এই স্বপ্ন তার কোন উপকারে আসবে না।যেমন ইমান ও আমল ব্যতিরেকে তাঁকে জীবদ্দশায় দেখেও কেউ মুক্তি পাবে না।
আল্লাহ আমাদেরকে প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ ও সুন্নাহর আলোকে জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। যেন আমরা দুনিয়ায় স্বপ্ন মারফতে তাকে দেখতে না পেলেও আখিরাতে যেন তার সান্নিধ্য ও সুপারিশ লাভ করে আমাদের জীবন ধন্য করতে পারি। আমীন।
উত্তর প্রদানে: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
আমার প্রশ্ন হল, রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখার জন্য এ রকম কোনও আমল কি আছে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্ন মারফতে দেখার জন্য বিশেষ কোন আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নাই। তাই কেউ যদি বিশেষ আমল দ্বারা সাত সপ্তাহে বা বারো সপ্তাহে অথবা এক বছরে বা জীবনে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার নিশ্চয়তা দেয় তাহলে নিশ্চিত সে বিদআতি। কেননা, যে আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয় তা বিদআত ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তবে কেউ যদি তাঁকে স্বপ্ন মারফত দেখার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ:
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখার মনে প্রবল আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা।
২) তাঁকে নিজের জান, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল প্রিয় মানুষের চেয়ে অধিক ভালবাসা।
৩) তাঁর সুন্নাহর আলোকে জীবন ঢেলে সাজানো।
৪) বিদআত পরিত্যাগ করা।
৫) তাঁর জীবনী পাঠ করা। তাঁর শারীরিক গঠন, আকার-আকৃতি ও চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা। যেন শয়তান স্বপ্নে ধোঁকা দিতে না পারে।
৬) সর্বোপরি তাঁকে স্বপ্নে দেখার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুআ করা।
মুমিন ব্যক্তি এভাবে জীবন গঠন করতে পারলে আল্লাহ তাআলা স্বপ্ন মারফতে তাঁর সাথে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাৎ ঘটাতেও পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে, আমরা যদি তাঁর সুন্নাহ ও আদর্শের আলোকে ইবাদত-বন্দেগি, লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যক্তিগত আচরণ, পারিবারিক, সামাজিক কার্যক্রম ইত্যাদি পরিচালনা করতে সক্ষম হই তাহলে ইনশাআল্লাহ আখিরাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভে আমাদের জীবন ধন্য হবে। মিলবে তাঁর সুপারিশ।
পক্ষান্তের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ থেকে দুরে থেকে কেউ যদি তাকে ১০০ বারও স্বপ্নে দেখে তবুও এই স্বপ্ন তার কোন উপকারে আসবে না।যেমন ইমান ও আমল ব্যতিরেকে তাঁকে জীবদ্দশায় দেখেও কেউ মুক্তি পাবে না।
আল্লাহ আমাদেরকে প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ ও সুন্নাহর আলোকে জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। যেন আমরা দুনিয়ায় স্বপ্ন মারফতে তাকে দেখতে না পেলেও আখিরাতে যেন তার সান্নিধ্য ও সুপারিশ লাভ করে আমাদের জীবন ধন্য করতে পারি। আমীন।
উত্তর প্রদানে: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল