Doing Automated Jobs
প্রশ্ন :-রাসুল (صلى الله عليه و سلم) নারী আসক্ত ছিলেন তাই ১১টি বিয়ে করেছেন। ৪টি বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্তু কেন তিনি ১১টি বিয়ে করলেন?
উত্তর :- আলহামদুলিল্লাহ্।
এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয়-
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে -
‘‘স্ত্রী লোকের মধ্যের যাকে তোমাদের ভালো লাগে তাকে বিয়ে করতে পারো - দুই,তিন বা চার, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা সমব্যবহার করতে পারবেনা তাহলে একজনকেই......’’। সুরা নিসা-৪, আয়াত-৩
কিন্তু এরপরে অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে -
‘‘এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয় আর তাও নয় তাদের স্থলে অন্য স্ত্রীদের তুমি বদলে নিতে পারো, যদিওবা তাদের সৌন্দর্য তোমাকে তাজ্জব বানিয়ে দেয়-তোমার ডান হাত যাদেরকে ধরে রেখেছে তাদের ব্যতীত।’’ সুরা আহযাব-৩৩, আয়াত-৫২
সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা-
আপনি যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখেন তারঁ ১১টি বিবাহ বিশেষ করে সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা কখোই দৈহিক চাহিদার জন্য নয়-
✔ প্রথম বিয়ে তিনি করেছিলেন বিবি খাদিজা η-কে যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা এবং পরপর দুবার বিধবা ও রাসুল (ﷺ) ছিলেন ২৫ বছর বয়সী। ভাবুন যদি তিনি (নাউজুবিল্লাহ) নারী আসক্তই হতেন তবে এমন একজন বয়স্কা মহিলাকে কেন তিনি বিবাহ করলেন যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা ও পরপর দুবার বিধবা? তিনি বেচেঁ থাকা অবস্থায় রাসুল (ﷺ) দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তার বয়স যখন ৫০ তখন বিবি খাদীজা ইন্তেকাল করেন।
✔ তারঁ ৫৩ থেকে ৫৬ বয়সের মধ্যেই তিনি বাকী বিয়ে গুলো করেছিলেন ।যদি রাসুল(ﷺ) নারী আসক্ত হতেন তবে তিনি যুবক বয়সেই বিয়ে করতেন।
✔ বর্তমান বিজ্ঞান বলে মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌনস্পৃহা কমতে থাকে।
✔ তার মাত্র দুজন স্ত্রী ছিলেন যারাঁ ছিলেন ৩৬ বছরের নীচে বাকী সবাই ছিলেন ৩৬-৫০ বছর বয়স্কা।
বিয়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্য-
প্রতিটি বিয়ের ঘটনা উপলব্ধি করলে বোঝা য়ায় প্রতিটিই ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিদ্যমান। উদাহরন স্বরুপ উল্লেখ করা যায়
✔ বিবি জোয়াইরিরা বনু মুসাতালিক গোত্রের যাদের সাথে মুসলিমদের শত্রুতা ছিল। বিয়ের পর যখন আত্নীয়তার বন্ধনে তারাঁ আবদ্ধ হলেন তখন গোত্র সকলেই শত্রুতা ভুলে গিয়ে বন্ধু ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, বন্দীদের মুক্তি দিয়ে আবদ্ধ হলেন সুসম্পর্কে।
✔ নাযদ গোত্রের মেয়ে বিবি মায়মুনাকে যখন তিনি বিয়ে করলেন তারা মীনার মুসলিম শাসনকে স্বীকারোত্তী দিলো এবং তারা মোহাম্মদ (ﷺ)-কে নেতা বলে স্বীকার করলো। পূর্বে তারা ৭০ জন মুসলিম হত্যা করেছিলেন অন্যায়ভাবে।
✔ তিনি উম্মে হাবীবাকে বিয়ে করেন যিনি মক্কার নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা ছিলেন যা মক্কা জয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল।
✔ বিবি সাফিয়া ছিলেন ইহুদী গোত্র প্রধানের কন্যা। বিবাহের ফলে ইহুদীরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
অতএব আপনি যদি ভালো করে পর্যবেক্ষন করেন তবে আপনার নিকট প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সুষ্পষ্ট হয়ে যাবে তারঁ প্রতিটি বিয়ে ছিল সমাজে শান্তি স্থাপন ও পারস্পরিক সৌহাদ্য ভিত্তি স্থাপনের নিমিত্তে।
সুত্রঃ ড. জাকির নায়েক এর প্রশ্ন - উত্তর পর্ব সমগ্র
উত্তর :- আলহামদুলিল্লাহ্।
এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয়-
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে -
‘‘স্ত্রী লোকের মধ্যের যাকে তোমাদের ভালো লাগে তাকে বিয়ে করতে পারো - দুই,তিন বা চার, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা সমব্যবহার করতে পারবেনা তাহলে একজনকেই......’’। সুরা নিসা-৪, আয়াত-৩
কিন্তু এরপরে অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে -
‘‘এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয় আর তাও নয় তাদের স্থলে অন্য স্ত্রীদের তুমি বদলে নিতে পারো, যদিওবা তাদের সৌন্দর্য তোমাকে তাজ্জব বানিয়ে দেয়-তোমার ডান হাত যাদেরকে ধরে রেখেছে তাদের ব্যতীত।’’ সুরা আহযাব-৩৩, আয়াত-৫২
সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা-
আপনি যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখেন তারঁ ১১টি বিবাহ বিশেষ করে সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা কখোই দৈহিক চাহিদার জন্য নয়-
✔ প্রথম বিয়ে তিনি করেছিলেন বিবি খাদিজা η-কে যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা এবং পরপর দুবার বিধবা ও রাসুল (ﷺ) ছিলেন ২৫ বছর বয়সী। ভাবুন যদি তিনি (নাউজুবিল্লাহ) নারী আসক্তই হতেন তবে এমন একজন বয়স্কা মহিলাকে কেন তিনি বিবাহ করলেন যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা ও পরপর দুবার বিধবা? তিনি বেচেঁ থাকা অবস্থায় রাসুল (ﷺ) দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তার বয়স যখন ৫০ তখন বিবি খাদীজা ইন্তেকাল করেন।
✔ তারঁ ৫৩ থেকে ৫৬ বয়সের মধ্যেই তিনি বাকী বিয়ে গুলো করেছিলেন ।যদি রাসুল(ﷺ) নারী আসক্ত হতেন তবে তিনি যুবক বয়সেই বিয়ে করতেন।
✔ বর্তমান বিজ্ঞান বলে মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌনস্পৃহা কমতে থাকে।
✔ তার মাত্র দুজন স্ত্রী ছিলেন যারাঁ ছিলেন ৩৬ বছরের নীচে বাকী সবাই ছিলেন ৩৬-৫০ বছর বয়স্কা।
বিয়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্য-
প্রতিটি বিয়ের ঘটনা উপলব্ধি করলে বোঝা য়ায় প্রতিটিই ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিদ্যমান। উদাহরন স্বরুপ উল্লেখ করা যায়
✔ বিবি জোয়াইরিরা বনু মুসাতালিক গোত্রের যাদের সাথে মুসলিমদের শত্রুতা ছিল। বিয়ের পর যখন আত্নীয়তার বন্ধনে তারাঁ আবদ্ধ হলেন তখন গোত্র সকলেই শত্রুতা ভুলে গিয়ে বন্ধু ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, বন্দীদের মুক্তি দিয়ে আবদ্ধ হলেন সুসম্পর্কে।
✔ নাযদ গোত্রের মেয়ে বিবি মায়মুনাকে যখন তিনি বিয়ে করলেন তারা মীনার মুসলিম শাসনকে স্বীকারোত্তী দিলো এবং তারা মোহাম্মদ (ﷺ)-কে নেতা বলে স্বীকার করলো। পূর্বে তারা ৭০ জন মুসলিম হত্যা করেছিলেন অন্যায়ভাবে।
✔ তিনি উম্মে হাবীবাকে বিয়ে করেন যিনি মক্কার নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা ছিলেন যা মক্কা জয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল।
✔ বিবি সাফিয়া ছিলেন ইহুদী গোত্র প্রধানের কন্যা। বিবাহের ফলে ইহুদীরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
অতএব আপনি যদি ভালো করে পর্যবেক্ষন করেন তবে আপনার নিকট প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সুষ্পষ্ট হয়ে যাবে তারঁ প্রতিটি বিয়ে ছিল সমাজে শান্তি স্থাপন ও পারস্পরিক সৌহাদ্য ভিত্তি স্থাপনের নিমিত্তে।
সুত্রঃ ড. জাকির নায়েক এর প্রশ্ন - উত্তর পর্ব সমগ্র