If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
রাফেযী: শব্দটির অর্থ অস্বীকারকারী। যারা আবু বকর ও উমার এর খিলাফতকে অস্বীকার করে তারাই রাফেদ্বী বা রাফেযী। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ্ অধিকাংশ ব্যবহারের ভিত্তিতে বর্তমান শিয়াদের ওপর রাফেযী শব্দটি ব্যবহার করেন। যদিও রাফেযীরা শিয়াদের একটি ফিরকা বা উপদল। ইমাম আবুল হাসান আল-আশ'আরী তার মাকালাতুল ইসলামিয়্যীন গ্রন্থে শিয়াদেরকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন: এক. আল-গালিয়াহ বা চরমপন্থী, সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়, দুই. আর- রাওয়াফিদ্ধ বা রাফেদ্বী গোষ্ঠী, তিন. যায়েদী শিয়া গোষ্ঠী।
বলা হয়ে থাকে, প্রথমে এ ফির্কার সকলকে শিয়া বলা হতো, শিয়া শব্দের অর্থ দল। শিয়া আলী বা আলীর দল। তারপর প্রথম তাদের মধ্য থেকে রাফেদ্বী বা রাফেযীরা বের হয়, যখন তাদের মধ্যে এক গোষ্ঠী আবু বকর ও ‘উমার এর খিলাফতকে অস্বীকার করতে শুরু করে। কারও কারও মতে, তাদেরকে রাফেদ্বী বা রাফেযী তখন বলা হয়েছিল যখন তারা যায়েদ ইবন আলী ইবনুল হুসাইনের কথা মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল, যখন তিনি আবু বকর ও ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ঘোষণা প্রদান করলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘রাফাদ্বতুমূনী' তোমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করলে? আর তাই তখন থেকে সেসব (আবু বকর ও ‘উমারকে) অস্বীকারকারী গোষ্ঠী রাফেদ্বী নামে খ্যাত হলো। বস্তুত এ রাফেদ্বী (রাফেযী)রা শিয়াদের মধ্যকার চরমপন্থী একটি গোষ্ঠী। এদেরও আবার অনেকগুলো ফির্কা বা উপদল রয়েছে, আল-জারূদিয়্যাহ, আল-ইমামিয়্যাহ, (আল- ইসনা আশারিয়্যাহ) আল-কাইসানিয়্যাহ, আল-হাশেমিয়্যাহ, আল-গুরাবিয়্যাহ।
তারা মনে করে থাকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিলাফতের ব্যাপারে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুর নাম স্পষ্ট কর বলে গেছেন। তারা আবু বকর ও ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে সম্পর্কচ্যুতি ঘোষণা করে। নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পরে আলীকে খেলাফত না দেয়ায় অধিকাংশ সাহাবী পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এটাও বিশ্বাস করে থাকে। আরও বিশ্বাস করে যে, আলীকে খেলাফত না দেয়ায় উম্মত মুরতাদ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই তাদের ইমামদের মা'সুম বা নিরপরাধ হওয়ার দাবি করে, ইত্যাদি তাদের যাবতীয় কুফরী ও শির্কী আকীদাহ বিশ্বাস।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, আশ'আরী, মাকালাতুল ইসলামিয়্যীন, পৃ. ১৬; আল-আসফারায়ীনী, আত-তাবসীর ফিদ-দীন, পৃ. ১৬; মালাত্বী, আত-তাম্বীহ ওয়ার রাদ্দ, পৃ. ১৫৬; রাযী, ই'তিক্বাদু ফিরাকিল মুসলিমীনা ওয়াল মুশরিকীন, পৃ. ৭৭; সাকসাকী, আল-বুরহান ফী মারিফাতি আক্কায়িদি আহলিল আদইয়ান, পৃ. ৬৫৷
বলা হয়ে থাকে, প্রথমে এ ফির্কার সকলকে শিয়া বলা হতো, শিয়া শব্দের অর্থ দল। শিয়া আলী বা আলীর দল। তারপর প্রথম তাদের মধ্য থেকে রাফেদ্বী বা রাফেযীরা বের হয়, যখন তাদের মধ্যে এক গোষ্ঠী আবু বকর ও ‘উমার এর খিলাফতকে অস্বীকার করতে শুরু করে। কারও কারও মতে, তাদেরকে রাফেদ্বী বা রাফেযী তখন বলা হয়েছিল যখন তারা যায়েদ ইবন আলী ইবনুল হুসাইনের কথা মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল, যখন তিনি আবু বকর ও ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ঘোষণা প্রদান করলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘রাফাদ্বতুমূনী' তোমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করলে? আর তাই তখন থেকে সেসব (আবু বকর ও ‘উমারকে) অস্বীকারকারী গোষ্ঠী রাফেদ্বী নামে খ্যাত হলো। বস্তুত এ রাফেদ্বী (রাফেযী)রা শিয়াদের মধ্যকার চরমপন্থী একটি গোষ্ঠী। এদেরও আবার অনেকগুলো ফির্কা বা উপদল রয়েছে, আল-জারূদিয়্যাহ, আল-ইমামিয়্যাহ, (আল- ইসনা আশারিয়্যাহ) আল-কাইসানিয়্যাহ, আল-হাশেমিয়্যাহ, আল-গুরাবিয়্যাহ।
তারা মনে করে থাকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিলাফতের ব্যাপারে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুর নাম স্পষ্ট কর বলে গেছেন। তারা আবু বকর ও ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে সম্পর্কচ্যুতি ঘোষণা করে। নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পরে আলীকে খেলাফত না দেয়ায় অধিকাংশ সাহাবী পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এটাও বিশ্বাস করে থাকে। আরও বিশ্বাস করে যে, আলীকে খেলাফত না দেয়ায় উম্মত মুরতাদ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই তাদের ইমামদের মা'সুম বা নিরপরাধ হওয়ার দাবি করে, ইত্যাদি তাদের যাবতীয় কুফরী ও শির্কী আকীদাহ বিশ্বাস।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, আশ'আরী, মাকালাতুল ইসলামিয়্যীন, পৃ. ১৬; আল-আসফারায়ীনী, আত-তাবসীর ফিদ-দীন, পৃ. ১৬; মালাত্বী, আত-তাম্বীহ ওয়ার রাদ্দ, পৃ. ১৫৬; রাযী, ই'তিক্বাদু ফিরাকিল মুসলিমীনা ওয়াল মুশরিকীন, পৃ. ৭৭; সাকসাকী, আল-বুরহান ফী মারিফাতি আক্কায়িদি আহলিল আদইয়ান, পৃ. ৬৫৷