- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 669
- Comments
- 813
- Reactions
- 7,120
- Thread Author
- #1
হাদীস : ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বারে ছিলেন- আপনি রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বলেন, ‘দু’ রাকা‘আত দু' রাকা'আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারও ভোর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন সে আরও এক রাকা'আত আদায় করে নিবে। আর এটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিতর করে দেবে।”
নাফি' (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনে ‘উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, “তোমরা বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় করো। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নির্দেশ দিয়েছেন।”
হাদীসের তাখরীজ :
সহীহ বুখারী, ৪৭২; সহীহ মুসলিম, ৭৪৯; মুয়াত্তা মালিক, ১৩; সুনান আবু দাউদ, ১৩২৬; সুনান তিরমীযি, ৪৩৭; সুনান নাসায়ী, ১৬৯৪; সুনান দারেমি, ১৫৫২
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] রাতের সালাতের ক্ষেত্রে সুন্নাহ হচ্ছে দু' রাকা'আত দু' রাকা'আত করে আদায় করা; একসাথে চার রাকা'আত নয়।
[দুই] রাতের সালাতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন।
[তিন] ইশার পর থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত রাতের সালাত আদায় করা যাবে।
[চার] বিতরের মাধ্যমে রাতের সালাত শেষ করা উত্তম।
[পাঁচ] রাতের সালাত দু' রাকা'আত দু' রাকা'আত করে আদায় করে এক রাকা'আতের মাধ্যমে বিতর শেষ করা যাবে।
[ছয়] এক রাকা'আত বিতরের সালাত হিসেবে আদায় করা সুন্নাহ সম্মত।
[সাত] রাতের সালাত দীর্ঘায়িত করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ থেকে বুঝা যায়।
[আট] সালাতুল লাইল বা রাতের সালাত রাতের শেষাংশে আদায় করতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
[নয়] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর উদিত হয়ে গেলে বা ফজর উদিত হওয়ার আশঙ্কা করলে এক রাকাআতের মাধ্যমে বিতর করতে অনুমোদন দিয়েছেন।
[দশ] রাতের সালাত আট রাকা'আতের বেশি হলে সুন্নাহ পরিপন্থি হবে বা বিদ'আত হবে এ বক্তব্য হাদীস দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।
[এপারো] বিতর মূলত রাতের সালাতকে বিজোড় করার অপর নাম।
[বারো] রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কখনো কল্যাণ ও ফযীলতের কাজে নির্দেশ দিয়ে থাকেন, এ নির্দেশ অপরিহার্যতা বুঝায় না।
[তেরো] বিতর সালাত সন্ধ্যারাতের চেয়ে শেষরাতে আদায় করা উত্তম।
[চোদ্দো] বিতরের সালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ বা ওয়াজিব তবে ফরয নয়।
[পনেরো] বিতরের সালাত আদায় করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাগ্রামের নির্দেশ। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, পঞ্চম হাদীস; ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ; মাকতাবাত আল মুফলিহুন
নাফি' (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনে ‘উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, “তোমরা বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় করো। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নির্দেশ দিয়েছেন।”
হাদীসের তাখরীজ :
সহীহ বুখারী, ৪৭২; সহীহ মুসলিম, ৭৪৯; মুয়াত্তা মালিক, ১৩; সুনান আবু দাউদ, ১৩২৬; সুনান তিরমীযি, ৪৩৭; সুনান নাসায়ী, ১৬৯৪; সুনান দারেমি, ১৫৫২
হাদীসের শিক্ষাসমূহ :
[এক] রাতের সালাতের ক্ষেত্রে সুন্নাহ হচ্ছে দু' রাকা'আত দু' রাকা'আত করে আদায় করা; একসাথে চার রাকা'আত নয়।
[দুই] রাতের সালাতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন।
[তিন] ইশার পর থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত রাতের সালাত আদায় করা যাবে।
[চার] বিতরের মাধ্যমে রাতের সালাত শেষ করা উত্তম।
[পাঁচ] রাতের সালাত দু' রাকা'আত দু' রাকা'আত করে আদায় করে এক রাকা'আতের মাধ্যমে বিতর শেষ করা যাবে।
[ছয়] এক রাকা'আত বিতরের সালাত হিসেবে আদায় করা সুন্নাহ সম্মত।
[সাত] রাতের সালাত দীর্ঘায়িত করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ থেকে বুঝা যায়।
[আট] সালাতুল লাইল বা রাতের সালাত রাতের শেষাংশে আদায় করতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
[নয়] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর উদিত হয়ে গেলে বা ফজর উদিত হওয়ার আশঙ্কা করলে এক রাকাআতের মাধ্যমে বিতর করতে অনুমোদন দিয়েছেন।
[দশ] রাতের সালাত আট রাকা'আতের বেশি হলে সুন্নাহ পরিপন্থি হবে বা বিদ'আত হবে এ বক্তব্য হাদীস দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।
[এপারো] বিতর মূলত রাতের সালাতকে বিজোড় করার অপর নাম।
[বারো] রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কখনো কল্যাণ ও ফযীলতের কাজে নির্দেশ দিয়ে থাকেন, এ নির্দেশ অপরিহার্যতা বুঝায় না।
[তেরো] বিতর সালাত সন্ধ্যারাতের চেয়ে শেষরাতে আদায় করা উত্তম।
[চোদ্দো] বিতরের সালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ বা ওয়াজিব তবে ফরয নয়।
[পনেরো] বিতরের সালাত আদায় করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাগ্রামের নির্দেশ। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
— স্বর্ণালি সনদে বর্ণিত চল্লিশ হাদীস, পঞ্চম হাদীস; ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ; মাকতাবাত আল মুফলিহুন