আলী বিন আবু খালেদ বলেন, আমি এক শায়খের সাথে আহমাদ বিন হাম্বলের নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললাম, ‘এই শায়খ আমার প্রতিবেশী। আমি এঁকে এক ব্যক্তির কাছে যেতে নিষেধ করলাম। এখন ইনি তার ব্যাপারে আপনার অভিমত শুনতে চান। বেঁটে হারেষ, অর্থাৎ হারেষ আল-মুহাসেবী। আপনি আমাকে তার সাথে বহু বৎসর যাবৎ দেখেছেন। আপনি আমাকে বলেছেন, “তার কাছে বসো না, তার সাথে কথাও বলো না।” সুতরাং আমি [তখন থেকে] এ যাবৎ তার সাথে কথা বলি না। কিন্তু এই শায়খ তার কাছে বসেন। আপনি এঁকে কি বলবেন?’
এ কথা বলার পর দেখলাম, আহমাদের রঙ লাল হয়ে গেল। তাঁর রগ ফুলে উঠল এবং চোখ দুটি ডাগর হয়ে গেল! আমি ইতিপূর্বে তাঁকে এ রকম কখনো দেখি নি। অতঃপর তিনি বিচলিত হয়ে বললেন, “ওর কথা? আল্লাহ তাকে এ করেছেন, ও করেছেন। এ কথা কেবল সেই জানে যে ওকে চেনে ও জানে। ওহ, ওহ, ওহ! ওকে যে চেনে ও জানে সে ছাড়া ওর ব্যাপার কেউ জানে না।মুগাযেলী, ইয়াকূব ও অমুক ওর কাছে বসেছে। ফলে ও তাদেরকে জাহমের মতে [জাহমী করে] গড়ে তুলেছে। ওরই কারণে তারা সর্বনাশগ্রস্ত হয়েছে।”
এরপর শায়খ তাঁকে বললেন, ‘হে আবূ আব্দুল্লাহ! তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি শান্ত ও বিনয়ী। তিনি এই করেছেন তিনি ঐ করেছেন, বিভিন্ন [সুনামমূলক কীর্তি] কাহিনী রয়েছে তাঁর।’
এ কথা শুনে তিনি রেগে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, “ওর বিনয় ও নম্রতা তোমাকে যেন ধোঁকা না দেয়।” তিনি আরো বললেন, “তুমি ওর মাথা অবনত দেখে ধোঁকা খেয়ো না। ও লোকটি খারাপ লোক। ওকে যে চেনে সে ছাড়া আর কেউ জানে না। ওর সাথে কথা বলো না। ওর কোন মান নেই। যেই আল্লাহ রসূল (ﷺ) এর হাদীস বর্ণনা করবে, সে বিদ'আতী হলেও তুমি তার মজলিসে বসবে?
না। তার কোন সম্মান নেই, কোন তা'যীম নেই।” আর বলতে থাকলেন, “এটাই তো, এটাই তো।”
– ত্বাবাকাতুল হানাবেলাহ ১/২৩৩-২৩৪, ৩২৫
এ কথা বলার পর দেখলাম, আহমাদের রঙ লাল হয়ে গেল। তাঁর রগ ফুলে উঠল এবং চোখ দুটি ডাগর হয়ে গেল! আমি ইতিপূর্বে তাঁকে এ রকম কখনো দেখি নি। অতঃপর তিনি বিচলিত হয়ে বললেন, “ওর কথা? আল্লাহ তাকে এ করেছেন, ও করেছেন। এ কথা কেবল সেই জানে যে ওকে চেনে ও জানে। ওহ, ওহ, ওহ! ওকে যে চেনে ও জানে সে ছাড়া ওর ব্যাপার কেউ জানে না।মুগাযেলী, ইয়াকূব ও অমুক ওর কাছে বসেছে। ফলে ও তাদেরকে জাহমের মতে [জাহমী করে] গড়ে তুলেছে। ওরই কারণে তারা সর্বনাশগ্রস্ত হয়েছে।”
এরপর শায়খ তাঁকে বললেন, ‘হে আবূ আব্দুল্লাহ! তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি শান্ত ও বিনয়ী। তিনি এই করেছেন তিনি ঐ করেছেন, বিভিন্ন [সুনামমূলক কীর্তি] কাহিনী রয়েছে তাঁর।’
এ কথা শুনে তিনি রেগে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, “ওর বিনয় ও নম্রতা তোমাকে যেন ধোঁকা না দেয়।” তিনি আরো বললেন, “তুমি ওর মাথা অবনত দেখে ধোঁকা খেয়ো না। ও লোকটি খারাপ লোক। ওকে যে চেনে সে ছাড়া আর কেউ জানে না। ওর সাথে কথা বলো না। ওর কোন মান নেই। যেই আল্লাহ রসূল (ﷺ) এর হাদীস বর্ণনা করবে, সে বিদ'আতী হলেও তুমি তার মজলিসে বসবে?
না। তার কোন সম্মান নেই, কোন তা'যীম নেই।” আর বলতে থাকলেন, “এটাই তো, এটাই তো।”
– ত্বাবাকাতুল হানাবেলাহ ১/২৩৩-২৩৪, ৩২৫