সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
FORUM BOT

প্রশ্নোত্তর রসায়ন শাস্ত্র (Chemistry) কি জাদুবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত?!

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
প্রশ্নঃ আমি কিছু সংখ্যক বইপত্রে পড়েছি যে, রসায়ন শাস্ত্র হল এক প্রকার জাদুবিদ্যা; সুতরাং এই কথাটা কি সঠিক? জেনে রাখা দরকার যে, বিষয়টি আমি ইবনুল কায়্যিম র. –এর ‘বুতলানুল কীমীয়ায়ে মিন আরবা‘ঈনা ওয়াজহা’ ( بطلان الكيمياء من أربعين وجها ) [ চল্লিশ কারণে রসায়ন শাস্ত্রের অসারতা ] –নামক বই থেকে শুনেছি; সুতরাং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকার পদার্থ ও উপাদান নিয়ে গবেষণার জন্য যে রাসায়নিক পরীক্ষা চলে, তা জাদু হওয়ার বিবেচনায় হারাম হবে কিনা? অথচ আমি নিজেও তার কিছু বিষয় অনুশীলন করেছি, কিন্তু আমি জিনের হস্তক্ষেপ অথবা জাদুকরের লেখা বা দাগের অস্তিত্ব ইত্যাদির মত জাদুর অস্তিত্ব বিদ্যমানের কোন প্রকার চিহ্ন দেখতে পাই নি; সুতরাং এই বিষয়টি জানিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন, আল্লাহও আপনাদেরকে উপকৃত করবেন।


الحمد لله, و الصلاة و السلام على من لا نبي بعده ... و بعد :


(সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আর স্বলাত ও সালাম ঐ নবীর প্রতি, যাঁর পরে আর কোন নবী নেই); অতঃপর:


উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্‌।


যেই রসায়ন শাস্ত্র ছাত্রগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়ন করে, তা ঐ জাতীয় রসায়ন বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত নয়, যা আলেমগণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, জাদু বলেছেন, জনগণকে তা থেকে সতর্ক করেছেন এবং তার অসারতার ব্যাপারে দলিল-প্রমাণ উল্লেখ করেছেন, আর তারা বর্ণনা করেছেন যে, এটা এক ধরনের প্রতারণা ও প্রবঞ্চনা। উদাহরণস্বরূপ (শরী‘আতনিষিদ্ধ) রসায়নবিদ জাদুকর লোকেরা বলে যে, তারা লোহাকে স্বর্ণ বানিয়ে দেবে এবং তামাকে রৌপ্য বানিয়ে দেবে; আর তারা এসবের দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে এবং তাদের সম্পদকে অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে।


পক্ষান্তরে এ যুগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে যে রসায়ন শাস্ত্র পড়ানো হয়, তা হল পদার্থকে তার বিভিন্ন উপাদানে বিশ্লেষণ করা, যার সমন্বয়ে তা গঠিত, অথবা উপাদানসমূহকে এমন পদার্থে রূপান্তরিত করা, যার থেকে তা গঠিত হয়, ঐ উপাদানসমূহ শিল্প ও ব্যবহারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্যকে এমনভাবে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়, যার মাঝে প্রকৃত বিষয়টি বিদ্যমান থাকে;


কিন্তু তথাকথিত রাসায়নিক বিদ্যার ব্যাপারটি তার বিপরীত; কারণ, তা হল এক ধরনের প্রতারণা ও প্রবঞ্চনা; সুতরাং বর্তমানে প্রচলিত রসায়ন শাস্ত্র ঐ জাদুর শ্রেণীভুক্ত নয়, যা হারাম করার ব্যাপারে ও যার থেকে সতর্ক করে আল-কুরআন ও সুন্নাহ’র মধ্যে নস তথা বক্তব্যসমূহ বর্ণিত হয়েছে। আর আল্লাহ হলেন তাওফীক দাতা।


و صلى الله على نبينا محمد و على آله و صحبه و سلم .


(আল্লাহরহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর)।


সুত্রঃ স্থায়ী পরিষদ, শিক্ষা-গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক; স্থায়ী পরিষদের ফতোয়া (فتاوى اللجنة الدائمة): ১ / ৪৪৭, ফতোয়া নং- ১১১৩৭
 
Top