সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সিয়াম রমযানের সিয়ামের কাযা প্রসঙ্গে

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
816
Comments
960
Reactions
9,039
Credits
4,120
কোন ধরনের ওযর (অযুহাত) ব্যতীত যে সিয়াম ভঙ্গ করে ফেলে। অধিকাংশ আলিম বলেছেন: যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রমযানের সিয়াম ভঙ্গ করবে তার কাযা আদায় ওয়াজিব, চাই তা ওযরের কারণে হোক কিংবা ওযর ব্যতীত হোক।

তবে আলিমগণ মতভেদ করেছেন, যে ব্যক্তি পানাহার করে তার উপর স্ত্রী সহবাসের মতই কাযা এবং কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। এমত পোষণ করেছেন: ইবনুল মুবারক, সাওরী, ইসহাক, আবূ হানীফা এবং মালিক।
আর ইমাম শাফিঈ এবং ইমাম আহমাদ বলেছেন। তাকে শুধু কাযা আদায় করতে হবে, কাফফারা নয়।

ইমাম ইবনে হাযম বলেছেন (আল মুহাল্লা (৬/১৮০)- মাসআলাহ (৭৩৫) : কোন ওযর ব্যতীত স্বেচ্ছায় সিয়াম ভঙ্গ করলে কাযা আদায়ের প্রসঙ্গটি শরিয়তসিদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে তার মূলনীতি হল: যে সকল ইবাদত সময়ের
সাথে নির্ধারিত এবং তার প্রথম ও শেষ সময় নির্দিষ্ট সেগুলো স্বেচ্ছায় ওযর ব্যতীত ছেড়ে দেওয়া হলে তার কাযা আদায় শরিয়তসিদ্ধ হবে না যতক্ষণ না এ ব্যাপারে কুরআন হাদীস থেকে কোন দলীল পাওয়া যায়।
অতএব রমযানের সিয়ামের পরিবর্তে রমাদ্বান মাসের বাহিরে অন্য কোন সিয়াম ওয়াজিব করার অর্থ এমন একটি জিনিস শরিয়তে ওয়াজিব করা, যার আদেশ আল্লাহ তা'আলা দেন নি।

আমার বক্তব্য (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ'র লেখক): ইবনে হাযমের মাযহাব এক্ষেত্রে শক্তিশালী। এর সমর্থনে আরো বলা যায় যে, রমাদ্বান মাসে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়ায়
রসূল (স:) যে ব্যক্তিকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকে কাযা আদায়ের নির্দেশ দেননি। ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:

যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে কোন ওজর এবং অবকাশ ব্যতীত একটি সিয়াম ভঙ্গ করল, সে সারা বছর সিয়াম পালন করলেও তা আদায় হবে না" [ইবনে আবী শায়বাহ, হা. ৯৭৮৪; সহীহ]। আবূ হুরাইরা (রা:) থেকেও এরূপ
বর্ণিত আছে।

সূত্র: সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ৪র্থ খন্ড (ওয়াহিদীয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী)
 
COMMENTS ARE BELOW
Top