Doing Automated Jobs
উত্তর: রামযানে কবরের আযাব মাফ থাকে-এ কথা সঠিক নয়।
এই মর্মে কোনো হাদিস অথবা কোনো দলিল আসেনি। একটি হাদিস থেকে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ কেউ একটা বিষয় উৎঘাটন করেছেন। সেটি হচ্ছে এই— রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন রহমতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
রাসুল (সা.)-এর হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কবরের আজাব তো মূলত জাহান্নাম থেকে আসে, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, কবরের আজাবগুলো বন্ধ হয়ে থাকে। এটা একদল ওলামায়ে কেরামের উৎঘাটন। এই উৎঘাটনটুকু যথাযথ নয়।
কারণ হচ্ছে, কবরের আজাব জাহান্নাম থেকে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে হচ্ছে, এই সম্পর্কে রাসুল (সা.)-এর হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে, জাহান্নাম থেকে কবরের আজাব হয়, কিন্তু অন্য স্থান থেকে, অন্য কোনো উৎস থেকে কবরের আজাব হয় না, এই মর্মে রাসুল (সা.)-এর কোনো বক্তব্য প্রমাণিত হয়নি। বরং রাসুল (সা.)-এর সহিহ বুখারীর যে হাদিসটি রয়েছে, সেখান থেকে বোঝা যায় যে, কবরের আজাব শুধু জাহান্নাম থেকে হয় না, বিভিন্ন অপরাধের কারণেও কবরের আজাব হতে পারে। যেটি আল্লাহর নবী (সা.) হাদিসের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। তাই কবরের আজাব রমজান মাসে বন্ধ থাকে এই বক্তব্য যথাযথ নয়, সঠিকও নয়।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যদি ধরে নেওয়া হয় যে, রমজান মাসে কবরের আজাব বন্ধ থাকবে, এর অর্থ হচ্ছে শুধু রমজান মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। রমজান মাসের পরে আবার কবরের আজাব শুরু হবে। যে-ই কবরের আজাবের জন্য উপযুক্ত, তাঁর আজাব বজায় রাখা হবে। শুধু রমজান মাসকে বিশেষ গুরুত্বের কারণে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা হয়তো তাঁদের শাস্তি লাঘব করবেন, এটা হতে পারে।
এই মর্মে কোনো হাদিস অথবা কোনো দলিল আসেনি। একটি হাদিস থেকে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ কেউ একটা বিষয় উৎঘাটন করেছেন। সেটি হচ্ছে এই— রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন রহমতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
রাসুল (সা.)-এর হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কবরের আজাব তো মূলত জাহান্নাম থেকে আসে, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, কবরের আজাবগুলো বন্ধ হয়ে থাকে। এটা একদল ওলামায়ে কেরামের উৎঘাটন। এই উৎঘাটনটুকু যথাযথ নয়।
কারণ হচ্ছে, কবরের আজাব জাহান্নাম থেকে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে হচ্ছে, এই সম্পর্কে রাসুল (সা.)-এর হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে, জাহান্নাম থেকে কবরের আজাব হয়, কিন্তু অন্য স্থান থেকে, অন্য কোনো উৎস থেকে কবরের আজাব হয় না, এই মর্মে রাসুল (সা.)-এর কোনো বক্তব্য প্রমাণিত হয়নি। বরং রাসুল (সা.)-এর সহিহ বুখারীর যে হাদিসটি রয়েছে, সেখান থেকে বোঝা যায় যে, কবরের আজাব শুধু জাহান্নাম থেকে হয় না, বিভিন্ন অপরাধের কারণেও কবরের আজাব হতে পারে। যেটি আল্লাহর নবী (সা.) হাদিসের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। তাই কবরের আজাব রমজান মাসে বন্ধ থাকে এই বক্তব্য যথাযথ নয়, সঠিকও নয়।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যদি ধরে নেওয়া হয় যে, রমজান মাসে কবরের আজাব বন্ধ থাকবে, এর অর্থ হচ্ছে শুধু রমজান মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। রমজান মাসের পরে আবার কবরের আজাব শুরু হবে। যে-ই কবরের আজাবের জন্য উপযুক্ত, তাঁর আজাব বজায় রাখা হবে। শুধু রমজান মাসকে বিশেষ গুরুত্বের কারণে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা হয়তো তাঁদের শাস্তি লাঘব করবেন, এটা হতে পারে।