Abdul fattah
Well-known member
- Joined
- Mar 16, 2023
- Threads
- 64
- Comments
- 66
- Solutions
- 1
- Reactions
- 512
- Thread Author
- #1
যায়েদ ইবন খালিদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বৃষ্টি হওয়ার পর হুদায়বিয়াতে আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেন, “তোমরা কি জানো তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই উত্তম জানেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (রব) বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে কেউ আমার প্রতি মুমিন হয়ে গেল এবং কেউ কাফির। যে বলেছে, আল্লাহর করুণা ও রহমতে আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি, সে হলো আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী। আর যে বলেছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী হয়েছে এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়েছে”।
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং ৪; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭১।
হাদীসে উল্লিখিত النوء শব্দটির ব্যাখ্যায় ইবন সালাহ বলেন, “এটি মূলত নক্ষত্র অর্থে নয়; কেননা এটিناء ينوء এর মাসদার। অর্থ পড়ে যাওয়া, অদৃশ্য হওয়া। কেউ কেউ বলেছেন, উদিত হওয়া”। অতঃপর তিনি বলেন, “স্বয়ং নক্ষত্রকেنوء বলে, ফায়েলকে মাসদার হিসেবে ব্যবহার করে। আবু ইসহাক যাজ্জাজ তার কিছু ‘আমালী’ তে বলেছেন, পশ্চিমে পড়ে যাওয়া তারকাকেالأنواء বলে, আর পূর্বে উদিত হওয়া তারকাকেالبوارح বলে। সিয়ানাতু সহীহ মুসলিম, পৃ. ২৪৬-২৪৭।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কি জানো তোমাদের রব কী বলেছেন? তিনি বলেছেন, আমি যখন আমার বান্দার উপর অনুগ্রহ করি, তখনই তাদের একদল তা অস্বীকার করে এবং বলতে থাকে নক্ষত্র ও নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের কাজ হয়”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২।
সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে,
“আল্লাহ তা‘আলা আসমান থেকে কোনো বরকত (বৃষ্টি) অবতীর্ণ করলে, একদল লোক প্রত্যুষে তা অস্বীকার করে, বৃষ্টিপাত করান আল্লাহ তা‘আলা আর তারা বলতে থাকে যে, অমুক অমুক নক্ষত্র”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একবার বৃষ্টিপাত হলে, তিনি বললেন, “লোকদের কেউবা কৃতজ্ঞ রয়েছে আর কেউবা অকৃতজ্ঞ। একদল বলে, এটি আল্লাহর রহমত, অপর দল বলে অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে তা প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ নাযিল করেন, “আমি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের শপথ করছি”। [সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ, আয়াত: ৭৫], তিনি আয়াত পর্যন্ত পড়েন, “আর মিথ্যাচারকেই তোমরা তোমাদের জীবনের সম্বল করে নিয়েছ?”। [সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ, আয়াত: ৮২]।
সহীহ, মুসলিম, হাদীস নং ৭৩।
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الجُهَنِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلاَةَ الصُّبْحِ بِالحُدَيْبِيَةِ عَلَى إِثْرِ سَمَاءٍ كَانَتْ مِنَ اللَّيْلَةِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ، فَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ، فَذَلِكَ مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ بِالكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ: بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا، فَذَلِكَ كَافِرٌ بِي وَمُؤْمِنٌ بِالكَوْكَبِ».
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং ৪; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭১।
হাদীসে উল্লিখিত النوء শব্দটির ব্যাখ্যায় ইবন সালাহ বলেন, “এটি মূলত নক্ষত্র অর্থে নয়; কেননা এটিناء ينوء এর মাসদার। অর্থ পড়ে যাওয়া, অদৃশ্য হওয়া। কেউ কেউ বলেছেন, উদিত হওয়া”। অতঃপর তিনি বলেন, “স্বয়ং নক্ষত্রকেنوء বলে, ফায়েলকে মাসদার হিসেবে ব্যবহার করে। আবু ইসহাক যাজ্জাজ তার কিছু ‘আমালী’ তে বলেছেন, পশ্চিমে পড়ে যাওয়া তারকাকেالأنواء বলে, আর পূর্বে উদিত হওয়া তারকাকেالبوارح বলে। সিয়ানাতু সহীহ মুসলিম, পৃ. ২৪৬-২৪৭।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:«أَلَمْ تَرَوْا إِلَى مَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ قَالَ: مَا أَنْعَمْتُ عَلَى عِبَادِي مِنْ نِعْمَةٍ إِلَّا أَصْبَحَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ بِهَا كَافِرِينَ. يَقُولُونَ الْكَوَاكِبُ وَبِالْكَوَاكِبِ»
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কি জানো তোমাদের রব কী বলেছেন? তিনি বলেছেন, আমি যখন আমার বান্দার উপর অনুগ্রহ করি, তখনই তাদের একদল তা অস্বীকার করে এবং বলতে থাকে নক্ষত্র ও নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের কাজ হয়”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২।
সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে,
«مَا أَنْزَلَ اللهُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ بَرَكَةٍ إِلَّا أَصْبَحَ فَرِيقٌ مِنَ النَّاسِ بِهَا كَافِرِينَ، يُنْزِلُ اللهُ الْغَيْثَ فَيَقُولُونَ: الْكَوْكَبُ كَذَا وَكَذَا».
“আল্লাহ তা‘আলা আসমান থেকে কোনো বরকত (বৃষ্টি) অবতীর্ণ করলে, একদল লোক প্রত্যুষে তা অস্বীকার করে, বৃষ্টিপাত করান আল্লাহ তা‘আলা আর তারা বলতে থাকে যে, অমুক অমুক নক্ষত্র”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২।
عَنْ ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: مُطِرَ النَّاسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَصْبَحَ مِنَ النَّاسِ شَاكِرٌ وَمِنْهُمْ كَافِرٌ، قَالُوا: هَذِهِ رَحْمَةُ اللهِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَقَدْ صَدَقَ نَوْءُ كَذَا وَكَذَا " قَالَ: فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: ﴿فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ٧٥﴾ [الواقعة: ٧٥]، حَتَّى بَلَغَ: ﴿وَتَجۡعَلُونَ رِزۡقَكُمۡ أَنَّكُمۡ تُكَذِّبُونَ٨٢﴾ [الواقعة: ٨٢].
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একবার বৃষ্টিপাত হলে, তিনি বললেন, “লোকদের কেউবা কৃতজ্ঞ রয়েছে আর কেউবা অকৃতজ্ঞ। একদল বলে, এটি আল্লাহর রহমত, অপর দল বলে অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে তা প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ নাযিল করেন, “আমি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের শপথ করছি”। [সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ, আয়াত: ৭৫], তিনি আয়াত পর্যন্ত পড়েন, “আর মিথ্যাচারকেই তোমরা তোমাদের জীবনের সম্বল করে নিয়েছ?”। [সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ, আয়াত: ৮২]।
সহীহ, মুসলিম, হাদীস নং ৭৩।