- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 888
- Comments
- 1,042
- Reactions
- 9,955
- Thread Author
- #1
যেসব জিনিসে আল্লাহ বরকত প্রদান করেছেন তা দুই প্রকার :
প্রথম প্রকার – সত্ত্বাগত বরকত, যা আল্লাহ তা'আলা জাত ও সত্ত্বাসমূহে রেখেছেন :
এ বরকত নবী ও রাসূলগণের দেহকেন্দ্রিক। সুতরাং তাদের জাতির যে কে ইচ্ছা করেছে তাঁদের দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছে। যেমন : তাঁদের দেহ বিশেষ স্পর্শ করে বা তাঁদের শরীরের ঘাম বা চুলের মাধ্যমে, কেননা আল্লাহ তাদের শরীরকে বরকতপূর্ণ করেছেন। তাই যারা তাঁদের দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছেন তারা তা পেয়েছেন। আমাদের নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন এক বরকতপূর্ণ দেহের অধিকারী তাই সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চুল দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছিলেন। যেমন: আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসে আছে।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন (হজ্বে জামরায়ে) আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করেন ও কুরবানী করেন, তারপর মাথা মুণ্ডন করেন, প্রথমে তাঁর মাথার ডান দিক মুণ্ডনকারীকে দিয়ে মুণ্ডন করালেন, তারপর আবূ তালহা আনসারীকে ডেকে চুলগুলো প্রদান করলেন, অতঃপর তাকে মাথার বাম পার্শ্ব বাড়িয়ে দিয়ে বললেন মুণ্ডন কর; সুতরাং তিনি তা মুণ্ডন করলে বাকী চুলও আবূ তালহাকে প্রদান করে বললেন, তুমি এগুলো লোকদের মাঝে বন্টন করে দাও। — মুসলিম, হা. ১৩০৫
অন্য হাদীসে এসেছে –
যখন নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওজু করতেন তখন মনে হত সাহাবায়ে কেরাম তার ওজুর পানির জন্য লড়াই শুরু করে দিবেন। — বুখারী, হা. ১৮৯
এ হলো জাত-সত্ত্বাগত বরকত যা একান্তই নবী ও রাসূলগণের সাথে খাসবছিল।
দ্বিতীয় প্রকার – রূপক বা অপ্রকাশ্য বিষয় ভিত্তিক বরকত :
(ক) মুসলমানদের বরকত :
প্রত্যেক মুসলিমই বরকতপূর্ণ। তার মধ্যে সে ইসলাম ঈমান, তাকওয়া ও রাসূল এর অনুসরণ রয়েছে তার বরকত। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
নিশ্চয়ই কোন কোন গাছের যেমন বরকত রয়েছে তেমনি রয়েছে মুসলিমের বরকত। — বুখারী, হা. ৫৪৪৪
মুসলিমের এ বরকত হলো আমলের বরকত। অতএব মুসলিম যত বেশি কুরআন হাদীসুকে আঁকড়ে ধরবে ও রাসূল -কে অনুসরণ করবে সে তত বেশি বরকতপূর্ণ হবে। আলেম-উলামা, ইমাম ও মোত্তাকী-পরহেযগার দ্বারা বরকত গ্রহণের অর্থ হলো তাদের ইলম গ্রহণ, তাদের তাকওয়া- পরহেযগারী ও সৎ আমলের অনুসরণের মাধ্যমে বরকত গ্রহণ। তাদেরকে স্পর্শ করে বা তাদের থুথু-ঘাম ইত্যাদি গ্রহণ করে বরকত গ্রহণ জায়েয নয়, কেননা সাহাবায়ে কেরাম নবী এর পর তাঁর উম্মতের শ্রেষ্ঠতম মহা মানব আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে এভাবে বরকত গ্রহণ করেননি।
(খ) কোন কোন শহরের বরকত, যেমন বায়তুল্লাহিল হারাম, মসজিদে আকসার পার্শ্বদেশ :
الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ
যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি।
এগুলো বরকতপূর্ণ এর মধ্যে রয়েছে বহু কল্যাণ। অতএব যে তা চায় সে নেয়, সেখানে আল্লাহর ইবাদত ও অনুসরণ করে তা অর্জন করে। অনুরূপ কাবার হাজারে আসওয়াদ (কাল পাথর) যে তা আল্লাহর ইবাদত স্বরূপ স্পর্শ বা চুম্বন দিবে সে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণের বরকত অর্জন করবে।
উমার (রাদিআল্লাহু আনহু) একবার এ কাল পাথর চুম্বন দেয়ার সময় বলেছিলেন,
আমি জানি তুমি একটি পাথর মাত্র, কোন ক্ষতি করতে পার না ও কোন উপকারও করতে পার না, অতএব আমি যদি নবী কে তোমাকে চুম্বন দিতে না দেখতাম আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না। — বুখারী, হা. ১৫৯৭; মুসলিম, হা. ১২৭০
(গ) কোন কোন সময় কালের বরকত :
যেমন রমযান মাস, জিল হজ্বের প্রথম দশ দিন, এতে রয়েছে বরকত; সুতরাং যে ব্যক্তি এ সময়ে আল্লাহর ইবাদত করবে, এতে পরিশ্রম করবে, অবশ্যই সে মহা সওয়াব অর্জন করবে, যা সে অন্য কোন সময় অর্জন
করতে পারবে না।
(ঘ) কোন কোন গাছের বরকত যেমন খেজুর গাছ :
নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, নিশ্চয়ই কোন গাছ রয়েছে, যার বরকত মুসলমানের বরকতের মতো। — বুখারী, হা. ৫৪৪৪
খেজুর গাছের বরকত মানুষ সাধারণত তার ফল, ডাল ও কাণ্ড ইত্যাদিতে বহু ফায়দা পেয়ে থাকে।
— তাওহীদুল ইবাদাহ, ষষ্ঠ অধ্যায়; দারুল কারার পাবলিকেশন
প্রথম প্রকার – সত্ত্বাগত বরকত, যা আল্লাহ তা'আলা জাত ও সত্ত্বাসমূহে রেখেছেন :
এ বরকত নবী ও রাসূলগণের দেহকেন্দ্রিক। সুতরাং তাদের জাতির যে কে ইচ্ছা করেছে তাঁদের দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছে। যেমন : তাঁদের দেহ বিশেষ স্পর্শ করে বা তাঁদের শরীরের ঘাম বা চুলের মাধ্যমে, কেননা আল্লাহ তাদের শরীরকে বরকতপূর্ণ করেছেন। তাই যারা তাঁদের দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছেন তারা তা পেয়েছেন। আমাদের নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন এক বরকতপূর্ণ দেহের অধিকারী তাই সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চুল দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছিলেন। যেমন: আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসে আছে।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন (হজ্বে জামরায়ে) আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করেন ও কুরবানী করেন, তারপর মাথা মুণ্ডন করেন, প্রথমে তাঁর মাথার ডান দিক মুণ্ডনকারীকে দিয়ে মুণ্ডন করালেন, তারপর আবূ তালহা আনসারীকে ডেকে চুলগুলো প্রদান করলেন, অতঃপর তাকে মাথার বাম পার্শ্ব বাড়িয়ে দিয়ে বললেন মুণ্ডন কর; সুতরাং তিনি তা মুণ্ডন করলে বাকী চুলও আবূ তালহাকে প্রদান করে বললেন, তুমি এগুলো লোকদের মাঝে বন্টন করে দাও। — মুসলিম, হা. ১৩০৫
অন্য হাদীসে এসেছে –
যখন নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওজু করতেন তখন মনে হত সাহাবায়ে কেরাম তার ওজুর পানির জন্য লড়াই শুরু করে দিবেন। — বুখারী, হা. ১৮৯
এ হলো জাত-সত্ত্বাগত বরকত যা একান্তই নবী ও রাসূলগণের সাথে খাসবছিল।
দ্বিতীয় প্রকার – রূপক বা অপ্রকাশ্য বিষয় ভিত্তিক বরকত :
(ক) মুসলমানদের বরকত :
প্রত্যেক মুসলিমই বরকতপূর্ণ। তার মধ্যে সে ইসলাম ঈমান, তাকওয়া ও রাসূল এর অনুসরণ রয়েছে তার বরকত। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
নিশ্চয়ই কোন কোন গাছের যেমন বরকত রয়েছে তেমনি রয়েছে মুসলিমের বরকত। — বুখারী, হা. ৫৪৪৪
মুসলিমের এ বরকত হলো আমলের বরকত। অতএব মুসলিম যত বেশি কুরআন হাদীসুকে আঁকড়ে ধরবে ও রাসূল -কে অনুসরণ করবে সে তত বেশি বরকতপূর্ণ হবে। আলেম-উলামা, ইমাম ও মোত্তাকী-পরহেযগার দ্বারা বরকত গ্রহণের অর্থ হলো তাদের ইলম গ্রহণ, তাদের তাকওয়া- পরহেযগারী ও সৎ আমলের অনুসরণের মাধ্যমে বরকত গ্রহণ। তাদেরকে স্পর্শ করে বা তাদের থুথু-ঘাম ইত্যাদি গ্রহণ করে বরকত গ্রহণ জায়েয নয়, কেননা সাহাবায়ে কেরাম নবী এর পর তাঁর উম্মতের শ্রেষ্ঠতম মহা মানব আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে এভাবে বরকত গ্রহণ করেননি।
(খ) কোন কোন শহরের বরকত, যেমন বায়তুল্লাহিল হারাম, মসজিদে আকসার পার্শ্বদেশ :
الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ
যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি।
এগুলো বরকতপূর্ণ এর মধ্যে রয়েছে বহু কল্যাণ। অতএব যে তা চায় সে নেয়, সেখানে আল্লাহর ইবাদত ও অনুসরণ করে তা অর্জন করে। অনুরূপ কাবার হাজারে আসওয়াদ (কাল পাথর) যে তা আল্লাহর ইবাদত স্বরূপ স্পর্শ বা চুম্বন দিবে সে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণের বরকত অর্জন করবে।
উমার (রাদিআল্লাহু আনহু) একবার এ কাল পাথর চুম্বন দেয়ার সময় বলেছিলেন,
আমি জানি তুমি একটি পাথর মাত্র, কোন ক্ষতি করতে পার না ও কোন উপকারও করতে পার না, অতএব আমি যদি নবী কে তোমাকে চুম্বন দিতে না দেখতাম আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না। — বুখারী, হা. ১৫৯৭; মুসলিম, হা. ১২৭০
(গ) কোন কোন সময় কালের বরকত :
যেমন রমযান মাস, জিল হজ্বের প্রথম দশ দিন, এতে রয়েছে বরকত; সুতরাং যে ব্যক্তি এ সময়ে আল্লাহর ইবাদত করবে, এতে পরিশ্রম করবে, অবশ্যই সে মহা সওয়াব অর্জন করবে, যা সে অন্য কোন সময় অর্জন
করতে পারবে না।
(ঘ) কোন কোন গাছের বরকত যেমন খেজুর গাছ :
নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, নিশ্চয়ই কোন গাছ রয়েছে, যার বরকত মুসলমানের বরকতের মতো। — বুখারী, হা. ৫৪৪৪
খেজুর গাছের বরকত মানুষ সাধারণত তার ফল, ডাল ও কাণ্ড ইত্যাদিতে বহু ফায়দা পেয়ে থাকে।
— তাওহীদুল ইবাদাহ, ষষ্ঠ অধ্যায়; দারুল কারার পাবলিকেশন
Last edited: