যাকাতুল ফিতর সকল মুসলিমের উপর ফরয। কেননা ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
অপর ভাষ্যে রয়েছে,
এছাড়া আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
এসব হাদীস দ্বারা স্পষ্টতই প্রমাণিত যে, যাকাতুল ফিতর প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।
ইবনুল মুনযির বলেন, “যেসকল বিদ্বানদের নিকট থেকে আমরা জ্ঞান পেয়েছি, তাদের প্রত্যেকেই সাদাকাতুল ফিতর ফরয হওয়ার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন”। - [আল-ইজমা‘, পৃ. ৪৯]
«فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى العَبْدِ وَالحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالكَبِيرِ مِنَ المُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلَاةِ».
“মুসলিমদের মধ্য হতে গোলাম, স্বাধীন, পুরুষ, নারী, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্কের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা‘ পরিমাণ ফরয করেছেন এবং লোকজন ঈদের সালাতের জন্য বের হওয়ার পূর্বেই তা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন”। - [সহীহ বুখারী, হা/১৫০৩, সহীহ মুসলিম, হা/৯৮৪, নাসা’ঈ, হা/২৫০৪]অপর ভাষ্যে রয়েছে,
«فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَةَ الْفِطْرِ عَلَى الذَّكَرِ وَالْأُنْثَى، وَالْحُرِّ وَالْمَمْلُوكِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ»، قَالَ: «فَعَدَلَ النَّاسُ إِلَى نِصْفِ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ».
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রত্যেক) পুরুষ, নারী, স্বাধীন এবং গোলাম ব্যক্তির উপর এক “সা” করে খেজুর বা এক “সা” করে যব সাদাকাতুল ফিতর হিসাবে ফরয করেছেন”। রাবী বলেন, “তারপর লোকেরা অর্ধ “সা” গমকে তার সমান সাব্যস্ত করেছে”। - [নাসা’ঈ, হা/২৫০১। শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]এছাড়া আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
«كُنَّا نُخْرِجُ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ، عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ، وَكَبِيرٍ، حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ، صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ».
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় আমরা ছোট, বড়, স্বাধীন, কৃতদাস প্রত্যেকের পক্ষ হতে এক সা‘ খাদ্য অথবা এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ যব অথবা এক সা‘ খেজুর অথবা এক সা‘ কিসমিস দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করতাম।” - [সহীহ মুসলিম, হা/২১৭৪]‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
«فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصَّائِمِ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ، وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ، مَنْ أَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ، فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ، وَمَنْ أَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنَ الصَّدَقَاتِ».
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন সিয়াম পালনকারীর বেহুদা কথাবার্তা ও অশ্লীলতার কাফফারা হিসাবে এবং মিসকীনদের খাদ্যের জন্য। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পূর্বে (মিসকীনদের নিকট) পৌঁছে দিবে, তা যাকাতুল ফিতর হিসাবে কবুল করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর (মিসকীনদের নিকট) পৌঁছে দিবে, তা সাদাকাহ হিসাবে গণ্য হবে”। - [আবূ দাঊদ, হা/১৬০৯, ইবন মাজাহ, হা/১৮২৭। শাইখ আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]এসব হাদীস দ্বারা স্পষ্টতই প্রমাণিত যে, যাকাতুল ফিতর প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।
ইবনুল মুনযির বলেন, “যেসকল বিদ্বানদের নিকট থেকে আমরা জ্ঞান পেয়েছি, তাদের প্রত্যেকেই সাদাকাতুল ফিতর ফরয হওয়ার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন”। - [আল-ইজমা‘, পৃ. ৪৯]
- লেখক: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী