• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

আদব ও শিষ্টাচার যমযমের পানি পানের আদব জানতে চাই

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
155
Comments
234
Solutions
1
Reactions
1,566
Credits
1,460
উত্তর: যমযমের পানি পানের সময় ১. বিসমিল্লাহ বলবে, ২. ডান হাতে পান করবে, ৩. তিন নিঃশ্বাসে পান করবে. ৪. দো‘আ পাঠ করবে।

উল্লেখ্য যে, যমযম পানি কেবলামুখী হয়ে পান করার ছহীহ দলীল নেই। বরং যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪; আহমাদ হা/৭৭৯৫-৯৬; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭; ছহীহাহ হা/১৭৬)।

তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জের সময় (ভিড়ের মধ্যে) যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪২৬৮)

এবং আলী (রাঃ) কূফার মসজিদের আঙিনায় ওযূ করার পর অতিরিক্ত পানি দাঁড়িয়ে পান করেন ও বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখেছি

(বুখারী হা/৫৬১৬; মিশকাত হা/৪২৬৯)

মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি সম্পর্কে ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পান করা যে জায়েয, সেটা বুঝানোর জন্যই রাসূল (ছাঃ) এরূপ করেছেন (ফাৎহুল বারী হা/২৬১৫-১৬-এর আলোচনা)।


ইমাম নববীও একই মন্তব্য করেছেন (শরহ নববী হা/২০২৭-এর আলোচনা)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, হজ্জের সময় ভিড়ের কারণে বসার সুযোগ না থাকায় তিনি দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন এবং এটাই ছিল তাঁর শেষ আমল (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/২১০)।


উল্লেখ্য যে, যমযমের পানি পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/৩০৬২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৫০২)।এজন্য যেকোন রোগ থেকে সুস্থতা কামনা করে দো‘আ পাঠ করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৬/১৪৪)।


ছাহাবায়ে কেরাম যমযমের পানি পাত্রে রাখতেন। কেউ অসুস্থ হ’লে তার শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হ’ত এবং তাদেরকে পান করানো হ’ত (ছহীহাহ হা/৮৮৩)।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় তা (যমযমের পানি) বরকতপূর্ণ, পরিতৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগের প্রতিষেধক (ছহীহুল জামে‘ হা/২৪৩৫)

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হ’ল যমযমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তিময় খাদ্য এবং ব্যাধির আরোগ্য (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩২২)।

তিনি অন্যত্র বলেন, যমযমের পানি যে যেই উদ্দেশ্যে পান করবে তার সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে, তুমি যদি সুস্থতার জন্য পান কর তাহ’লে আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করবেন। তুমি ক্ষুধা নিবারণের জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা নিবারণ করবেন, তুমি পিপাসা দূর করার জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন (ছহীহুত তারগীব হা/১১৬৪)।

তবে যমযমের পানি পান করার সময় পঠিতব্য দো‘আর ব্যাপারে ইবনু আববাস থেকে যে আছারবর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (যঈফুত তারগীব হা/৭৫০)।

▪️প্রশ্নোত্তর পর্ব মাসিক আত-তাহরীক।
▪️ডিসেম্বর ২০২৩ সংখ্যা।
 
Top