মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দান-সদকা করা হলে কবরে তার সওয়াব পৌঁছে। চাই মৃতের সন্তান, পিতা-মাতা অথবা অন্য কোন মুসলাম দান করুক না কেন। যদিও কতিপয় আলেমের মত হল, দান-সদকা শুধু সন্তানের পক্ষ থেকে হলে পিতা-মাতা কবরে সওয়াবের অধিকারী হবেন।
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করল যে,আমার মা হঠাৎ মৃত্যু বরণ করেছে। আমার ধারণা মৃত্যুর আগে কথা বলতে পারলে তিনি দান করতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-সদকা করি তবে কি তিনি সওয়াব পাবেন? তিনি বলেন: হ্যাঁ।[1]
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম কে বললেন:
"আমার আব্বা মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু কোন ওসীয়ত করে যান নি। আমি তার পক্ষ থেকে দান করলে তার কি গুনাহ মোচন হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। "[2]
এমন জিনিস দান করা উত্তম যা দীর্ঘ দিন এবং স্থায়ীভাবে মানুষের উপকারে আসে: হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
ইবনে আব্বাস রা. বর্ণিত। তিনি বলেন,এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান করি তবে কি তাঁর উপকারে আসবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। তখন লোকটি বলল: আমার একটি ফলের বাগান আছে (খেজুর, আঙ্গুর ইত্যাদি)। আমি আপনাকে স্বাক্ষী রেখে বলছি, ঐ বাগানটি আমি আমার মায়ের পক্ষ থেকে দান করে দিলাম। [3]
উপকারী এবং স্থায়ী দান কয়েক প্রকার:
১) পানির ব্যবস্থা করা ২) এতিমের প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা ৩) অসহায় মানুষের বাসস্থান তৈরি করা ৪) গরীব তালিবে ইলমকে সাহায্য-সহযোগিতা করা ৫) দাতব্য চিকিৎসালয় বা হাসপাতাল নির্মান ৬) মসজিদ নির্মান ইত্যাদি।
[1] সহীহ বুখারী,অনুচ্ছেদ: হঠাৎ মৃত্যু। হাদীস নং ১৩৮৮,মাকতাবা শামেলা
[2] সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: দানের সোওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছা প্রসঙ্গে
[3] সুনান আবু দাউদ, অনুচ্ছেদ: কোন ব্যক্তি যদি ওসীয়ত ছাড়াই মৃত্যু বরণ করে। তিরমিযী, মুসনাদ আহমাদ। আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটি সহীহ বলেছেন। দেখুন: সহীহ ও যঈফ আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮৮২, মাকতাবা শামেলা।
عَنْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - أَنَّ رَجُلاً قَالَ لِلنَّبِىِّ - صلى الله عليه وسلم إِنَّ أُمِّى افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا ، وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ ، فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করল যে,আমার মা হঠাৎ মৃত্যু বরণ করেছে। আমার ধারণা মৃত্যুর আগে কথা বলতে পারলে তিনি দান করতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-সদকা করি তবে কি তিনি সওয়াব পাবেন? তিনি বলেন: হ্যাঁ।[1]
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম কে বললেন:
أِنَّ أَبِى مَاتَ وَتَرَكَ مَالاً وَلَمْ يُوصِ فَهَلْ يُكَفِّرُ عَنْهُ أَنْ أَتَصَدَّقَ عَنْهُ قَالَ « نَعَمْ»
"আমার আব্বা মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু কোন ওসীয়ত করে যান নি। আমি তার পক্ষ থেকে দান করলে তার কি গুনাহ মোচন হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। "[2]
এমন জিনিস দান করা উত্তম যা দীর্ঘ দিন এবং স্থায়ীভাবে মানুষের উপকারে আসে: হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّى تُوُفِّيَتْ أَفَيَنْفَعُهَا إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا فَقَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ لِى مَخْرَفًا وَإِنِّى أُشْهِدُكَ أَنِّى قَدْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا
ইবনে আব্বাস রা. বর্ণিত। তিনি বলেন,এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান করি তবে কি তাঁর উপকারে আসবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। তখন লোকটি বলল: আমার একটি ফলের বাগান আছে (খেজুর, আঙ্গুর ইত্যাদি)। আমি আপনাকে স্বাক্ষী রেখে বলছি, ঐ বাগানটি আমি আমার মায়ের পক্ষ থেকে দান করে দিলাম। [3]
উপকারী এবং স্থায়ী দান কয়েক প্রকার:
১) পানির ব্যবস্থা করা ২) এতিমের প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা ৩) অসহায় মানুষের বাসস্থান তৈরি করা ৪) গরীব তালিবে ইলমকে সাহায্য-সহযোগিতা করা ৫) দাতব্য চিকিৎসালয় বা হাসপাতাল নির্মান ৬) মসজিদ নির্মান ইত্যাদি।
আরও জানতে ডাউনলোড করুন - মৃত্যু ও কবর সম্পর্কে করণীয় ও বর্জনীয়
[1] সহীহ বুখারী,অনুচ্ছেদ: হঠাৎ মৃত্যু। হাদীস নং ১৩৮৮,মাকতাবা শামেলা
[2] সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: দানের সোওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছা প্রসঙ্গে
[3] সুনান আবু দাউদ, অনুচ্ছেদ: কোন ব্যক্তি যদি ওসীয়ত ছাড়াই মৃত্যু বরণ করে। তিরমিযী, মুসনাদ আহমাদ। আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটি সহীহ বলেছেন। দেখুন: সহীহ ও যঈফ আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮৮২, মাকতাবা শামেলা।