- Joined
- Mar 15, 2025
- Threads
- 19
- Comments
- 20
- Reactions
- 210
- Thread Author
- #1
১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মানুষ যখন মৃত্যু বরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না। এক. সদাক্বাহ জারিয়া। দুই. এমন জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দু’আ করে। মুসলিম ৪১১৫ : আন্ত১৬৩১, তিরমিযী ১৩৭৬, নাসায়ী ৩৬৫১, আবূ দাউদ ২৮৮০, ৩৫৪০, আহমাদ ৮৬২৭, দারেমী ৫৫৯, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।
সদক্বাহ জারিয়াহর কয়েকটি খাত:
আসুন এ সম্পর্কে আরো কয়েকটি হাদীস দেখি: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ভাল কাজের পথ দেখাবে, সে তার প্রতি আমলকারীর সমান নেকী পাবে।’’ ( সহীহ মুসলিম ৪৭৯৩, তিরমিযী ২৬৭১, আবূ দাউদ ৫১২৯ হাদিসের মান: সহীহ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। (সহীহ মুসলিম--৬৬৯৭,তিরমিযী ২৬৭৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৯, দারিমী ৫১৩। ইবনে মাজাহ-২০৬ মান: সহীহ)
এইবার এমন কিছু ব্যক্তির কথা উল্লেখ করব যারা শতশত বা হাজার বছর আগেই পৃথিবী থেকে চলে গেছেন কিন্তু তাদের ইলমের মাধ্যমে আজও আমাদের মধ্যে বিচরন করছেন।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) (৮০ হিজরি/৬৯৯ খ্রিস্টাব্দ --১৫০ হিজরি / ৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মালিক ইবন আনাস (রহ.)(৯৩ হিজরি / ৭১১ খ্রিস্টাব্দ--১৭৯ হিজরি / ৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইদরিস আশ-শাফেয়ী (রহ.)(১৫০ হিজরি / ৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ--২০৪ হিজরি / ৮২০ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) (১৬৪ হিজরি / ৭৮০ খ্রিস্টাব্দ--২৪১ হিজরি / ৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল আল-বুখারি (রহ.) (১৯৪ হিজরি / ৮১০ খ্রিস্টাব্দ -- ২৫৬ হিজরি / ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (রহ.) (২০৬ হিজরি / ৮২১ খ্রিস্টাব্দ -- ২৬১ হিজরি / ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম আবু দাউদ আস-সিজিস্তানী (রহ.) (২০২ হিজরি / ৮১৭ খ্রিস্টাব্দ --২৭৫ হিজরি / ৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম তিরমিজি (রহ.) (২০৯ হিজরি / ৮২৪ খ্রিস্টাব্দ --২৭৯ হিজরি / ৮৯২ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম নাসাঈ (রহ.) (২১৪ হিজরি / ৮২৯ খ্রিস্টাব্দ--৩০৩ হিজরি / ৯১৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম ইবন মাজাহ (রহ.) (২০৯ হিজরি / ৮২৪ খ্রিস্টাব্দ -- ২৭৩ হিজরি / ৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদের উপর রহম করুন এবং আমাদেরকেও উপকারী ইলম দান করুন আমিন।
পরিশেষে নেককার সন্তান যারা তার জন্য দোয়া করবে।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে তাঁর কোন নেক বান্দার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। এ অবস্থা দেখে সে (নেক বান্দা) বলবে, হে আমার রব! আমার এ মর্যাদা কিভাবে বৃদ্ধি হলো? তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তোমার সন্তান-সন্ততি তোমার জন্য মাগফিরাত কামনা করার কারণে। ( ইবনু মাজাহ ৩৬৬০, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৭৪০, আহমাদ ১০৬১০, সহীহাহ্ ১৫৯৮, সহীহ আল জামি‘ ১৬১৭, মিশকাত-২৩৫৪। মান: সহীহ)
অতএব নিজের সন্তানদের আখিরাতের বিশাল সম্পদে পরিণত করুন। তাদের দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের কাজে নিয়োজিত করুন যেন তারা সৎকর্মশীল হয়।
সুতরাং পৃথীবির ক্ষুদ্র হায়াত কে বর্ধিত করতে নিজের সম্পদ আখিরাতে কল্যাণের আসায় সদক্বাহ জারিয়াহর কাজে ব্যয় করুন। ইলম অর্জনের পিছনে নিজের মহামূল্যবান সময় খরচ করুন এবং তা প্রচার ও প্রসার করুন। এবং নিজের সন্তানদের মহা-সফলতার রাস্তা পরিচালনার মাধ্যমে নিজেও সফলতা অর্জন করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আমাদের প্রতেক কে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
শেষ করবো একটি আশ্চর্যজনক হাদিস দিয়ে।
আবূ কাবশাহ্ আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছেন, [রাসূল (স.) বলেছেন] এমন তিনটি বিষয় আছে যার (সত্যতার) উপর আমি শপথ করতে পারি এবং আমি তোমাদের সম্মুখে অপর একটি হাদীস বর্ণনা করব, তাকেও ভালোভাবে স্মরণ রাখবে। আর যে ব্যাপারে আমি শপথ করছি তা হলোঃ-
(ক) দান-খয়রাতের কারণে কোন বান্দার সম্পদে হ্রাস হয় না, (খ) যে নির্যাতিত বান্দা নির্যাতনের শিকার হয়ে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, (গ) আর যে বান্দা ভিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে, আল্লাহ তা’আলা তার অভাব ও নিঃস্বতার দরজা খুলে দেন। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন : আমি যে হাদীসটি তোমাদেরকে বলব, তাকে খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করো। তা হলো প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবন হলো চার শ্রেণির লোকের জন্য। যথা-
১. এমন বান্দা- আল্লাহ যাকে সম্পদ ও বিদ্যা উভয়টি দান করেছেন, তবে সে তা খরচ করতে আপন প্রভুকে ভয় করে (হারাম পথে ব্যয় করে না); আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সম্পদের হক মোতাবেক ’আমল করে (খরচ করে)। এ ব্যক্তির মর্যাদা সর্বোত্তম।
২. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ বিদ্যা দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দান করেননি। তবে সে এ সত্য এবং সঠিক নিয়্যাতে বলে, যদি আমার ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুকের মতো পুণ্যের পথে খরচ করতাম। এ দু’ ব্যক্তির সাওয়াব একই সমান।
৩. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যা দান করেননি। তার বিদ্যা না থাকার কারণে সে নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে, এতে সে আল্লাহকে ভয় করে না। আত্মীয়স্বজনদের সাথে আর্থিক সদাচরণ করে না এবং নিজ সম্পদ হক পথে খরচ করে না। এ ব্যক্তি হলো সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পর্যায়ের।
৪. এমন বান্দা- যার কাছে সম্পদও নেই বিদ্যাও নেই। সে আকাঙ্ক্ষা করে বলে, যদি আমার কাছে সম্পদ থাকত, তাহলে আমি তা অমুক ব্যক্তির মতো খরচ করতাম। এ বান্দাও তার এ মন্দ নিয়্যাতের কারণে গুনাহের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির সমান। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা। করেছেন এবং তিনি বলেছেন : এ হাদীসটি সহীহ] তিরমিযী ২৩২৫, ইবনু মাজাহ ৪২২৮, সহীহুল জামি ৩০২৪, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৬, আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৮২৯৮। মিসকাতুল মাসাবিহ -৫২৮৭, হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
রাজিব রেজা
অনার্স ফাইনাল ইয়ার (অধ্যয়নরত)
নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, নেত্রকোনা।
সদক্বাহ জারিয়াহর কয়েকটি খাত:
- মসজিদ নির্মাণ বা মেরামত করা।
- কূপ বা টিউবওয়েল স্থাপন করা (পানির ব্যবস্থা)।
- ইসলামী বই, কুরআন মাজীদ দান করা।
- বৃক্ষরোপণ করা।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) গঠন বা সহায়তা করা।
- অসহায় মানুষদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
- গরিব বা এতিমদের জন্য বাড়ি বানানো।
- হাসপাতাল বা ফ্রি চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা বা সহায়তা।
- জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া (ইলমি কাজ)।
- ইসলাম প্রচারে সহযোগিতা করা (দাওয়াহ কাজ)।
- সফটওয়্যার/অ্যাপ/ওয়েবসাইট তৈরি যা ইসলামি জ্ঞান ছড়ায়।
- কোনো দরকারি স্থায়ী সম্পদ দান করা (যেমন: হুইলচেয়ার, লাইব্রেরি বই)।
- ইমাম বা শিক্ষকের জন্য ঘর বা সাপোর্ট প্রদান।
- ফুটপাত বা রাস্তা মেরামত বা রাস্তার পাশে ছায়া দেওয়া গাছ লাগানো।
- এই সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করলে মৃত্যুর পরও এর সওয়াব চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আসুন এ সম্পর্কে আরো কয়েকটি হাদীস দেখি: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ভাল কাজের পথ দেখাবে, সে তার প্রতি আমলকারীর সমান নেকী পাবে।’’ ( সহীহ মুসলিম ৪৭৯৩, তিরমিযী ২৬৭১, আবূ দাউদ ৫১২৯ হাদিসের মান: সহীহ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। (সহীহ মুসলিম--৬৬৯৭,তিরমিযী ২৬৭৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৯, দারিমী ৫১৩। ইবনে মাজাহ-২০৬ মান: সহীহ)
এইবার এমন কিছু ব্যক্তির কথা উল্লেখ করব যারা শতশত বা হাজার বছর আগেই পৃথিবী থেকে চলে গেছেন কিন্তু তাদের ইলমের মাধ্যমে আজও আমাদের মধ্যে বিচরন করছেন।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) (৮০ হিজরি/৬৯৯ খ্রিস্টাব্দ --১৫০ হিজরি / ৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মালিক ইবন আনাস (রহ.)(৯৩ হিজরি / ৭১১ খ্রিস্টাব্দ--১৭৯ হিজরি / ৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইদরিস আশ-শাফেয়ী (রহ.)(১৫০ হিজরি / ৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ--২০৪ হিজরি / ৮২০ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) (১৬৪ হিজরি / ৭৮০ খ্রিস্টাব্দ--২৪১ হিজরি / ৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল আল-বুখারি (রহ.) (১৯৪ হিজরি / ৮১০ খ্রিস্টাব্দ -- ২৫৬ হিজরি / ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (রহ.) (২০৬ হিজরি / ৮২১ খ্রিস্টাব্দ -- ২৬১ হিজরি / ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম আবু দাউদ আস-সিজিস্তানী (রহ.) (২০২ হিজরি / ৮১৭ খ্রিস্টাব্দ --২৭৫ হিজরি / ৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম তিরমিজি (রহ.) (২০৯ হিজরি / ৮২৪ খ্রিস্টাব্দ --২৭৯ হিজরি / ৮৯২ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম নাসাঈ (রহ.) (২১৪ হিজরি / ৮২৯ খ্রিস্টাব্দ--৩০৩ হিজরি / ৯১৫ খ্রিস্টাব্দ)
ইমাম ইবন মাজাহ (রহ.) (২০৯ হিজরি / ৮২৪ খ্রিস্টাব্দ -- ২৭৩ হিজরি / ৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদের উপর রহম করুন এবং আমাদেরকেও উপকারী ইলম দান করুন আমিন।
পরিশেষে নেককার সন্তান যারা তার জন্য দোয়া করবে।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে তাঁর কোন নেক বান্দার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। এ অবস্থা দেখে সে (নেক বান্দা) বলবে, হে আমার রব! আমার এ মর্যাদা কিভাবে বৃদ্ধি হলো? তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তোমার সন্তান-সন্ততি তোমার জন্য মাগফিরাত কামনা করার কারণে। ( ইবনু মাজাহ ৩৬৬০, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৭৪০, আহমাদ ১০৬১০, সহীহাহ্ ১৫৯৮, সহীহ আল জামি‘ ১৬১৭, মিশকাত-২৩৫৪। মান: সহীহ)
অতএব নিজের সন্তানদের আখিরাতের বিশাল সম্পদে পরিণত করুন। তাদের দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের কাজে নিয়োজিত করুন যেন তারা সৎকর্মশীল হয়।
সুতরাং পৃথীবির ক্ষুদ্র হায়াত কে বর্ধিত করতে নিজের সম্পদ আখিরাতে কল্যাণের আসায় সদক্বাহ জারিয়াহর কাজে ব্যয় করুন। ইলম অর্জনের পিছনে নিজের মহামূল্যবান সময় খরচ করুন এবং তা প্রচার ও প্রসার করুন। এবং নিজের সন্তানদের মহা-সফলতার রাস্তা পরিচালনার মাধ্যমে নিজেও সফলতা অর্জন করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আমাদের প্রতেক কে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
শেষ করবো একটি আশ্চর্যজনক হাদিস দিয়ে।
আবূ কাবশাহ্ আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছেন, [রাসূল (স.) বলেছেন] এমন তিনটি বিষয় আছে যার (সত্যতার) উপর আমি শপথ করতে পারি এবং আমি তোমাদের সম্মুখে অপর একটি হাদীস বর্ণনা করব, তাকেও ভালোভাবে স্মরণ রাখবে। আর যে ব্যাপারে আমি শপথ করছি তা হলোঃ-
(ক) দান-খয়রাতের কারণে কোন বান্দার সম্পদে হ্রাস হয় না, (খ) যে নির্যাতিত বান্দা নির্যাতনের শিকার হয়ে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, (গ) আর যে বান্দা ভিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে, আল্লাহ তা’আলা তার অভাব ও নিঃস্বতার দরজা খুলে দেন। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন : আমি যে হাদীসটি তোমাদেরকে বলব, তাকে খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করো। তা হলো প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবন হলো চার শ্রেণির লোকের জন্য। যথা-
১. এমন বান্দা- আল্লাহ যাকে সম্পদ ও বিদ্যা উভয়টি দান করেছেন, তবে সে তা খরচ করতে আপন প্রভুকে ভয় করে (হারাম পথে ব্যয় করে না); আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সম্পদের হক মোতাবেক ’আমল করে (খরচ করে)। এ ব্যক্তির মর্যাদা সর্বোত্তম।
২. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ বিদ্যা দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দান করেননি। তবে সে এ সত্য এবং সঠিক নিয়্যাতে বলে, যদি আমার ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুকের মতো পুণ্যের পথে খরচ করতাম। এ দু’ ব্যক্তির সাওয়াব একই সমান।
৩. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যা দান করেননি। তার বিদ্যা না থাকার কারণে সে নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে, এতে সে আল্লাহকে ভয় করে না। আত্মীয়স্বজনদের সাথে আর্থিক সদাচরণ করে না এবং নিজ সম্পদ হক পথে খরচ করে না। এ ব্যক্তি হলো সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পর্যায়ের।
৪. এমন বান্দা- যার কাছে সম্পদও নেই বিদ্যাও নেই। সে আকাঙ্ক্ষা করে বলে, যদি আমার কাছে সম্পদ থাকত, তাহলে আমি তা অমুক ব্যক্তির মতো খরচ করতাম। এ বান্দাও তার এ মন্দ নিয়্যাতের কারণে গুনাহের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির সমান। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা। করেছেন এবং তিনি বলেছেন : এ হাদীসটি সহীহ] তিরমিযী ২৩২৫, ইবনু মাজাহ ৪২২৮, সহীহুল জামি ৩০২৪, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৬, আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৮২৯৮। মিসকাতুল মাসাবিহ -৫২৮৭, হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
অনার্স ফাইনাল ইয়ার (অধ্যয়নরত)
নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, নেত্রকোনা।
Attachments