If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
যে জিনিসের কথা অধিক পরিমাণ স্মরণ করা সুন্নাহ, তা হলো মৃত্যু। মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। দুনিয়ার ভালোবাসা হৃদয় থেকে বিদায় হয়। পরকালমুখী হওয়া যায়। এ কারণে বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী উপদেশ ও নসীহত হচ্ছে, মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। অথচ আজকাল মানুষ মৃত্যুর মতো এমন ধ্রুবসত্য বিষয়ের কথাও স্মরণ করে না। মানুষের অবস্থা দেখে মনে হয়, তাদের যেন মৃত্যু স্পর্শ করতে পারবে না। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকহারে মৃত্যুর কথা স্মরণ করার আদেশ দিয়েছেন। আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বেশি পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারীর অর্থাৎ মৃত্যুর কথা স্মরণ করো।[1]
আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো। কারণ, যে-ব্যক্তি কোনো সঙ্কটে তা স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সে সঙ্কট সহজ হয়ে যাবে এবং যে-ব্যক্তি তা কোনো সুখের সময়ে স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সুখ তিক্ত হয়ে উঠবে।[2]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে অধিক পরিমাণ মৃত্যুর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর সাহাবীদের স্মরণ করিয়ে দিতেন। উবাই ইবন কাব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের দুই-তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে দাঁড়িয়ে বলতেন, হে মানবগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো। কম্পনসৃষ্টিকারী প্রথম শিঙাধ্বনি এসে পড়েছে এবং এর পরপর আসবে পরবর্তী শিঙাধ্বনি। মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।[3]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআয ইবন জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো যেন তাঁকে দেখছো। তুমি নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত রাখো। প্রত্যেক পাথর ও গাছের কাছে আল্লাহকে স্মরণ করো। কোনো পাপকাজ করলে তার সঙ্গে সঙ্গে নেকির কাজ করো: গোপন পাপ হলে গোপন নেকি এবং প্রকাশ্য পাপ হলে প্রকাশ্য নেকি।’[4]
[1] সুনানুত তিরমিযী, ২৩০৭; সুনান ইবন মাজাহ, ৪২৫৮; সহীহুল জামি, ১২১০; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[2] বাইহাকী, ১০০৭৬; সহীহ ইবন হিব্বান, ২৯৯৩; সহীহুল জামি, ১২১১; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন
[3] সুনানুত তিরমিযী, ২৪৫৭; সহীহুল জামি, ৭৮৬৩; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন,
[4] মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ, ৩৪৩২৫; তাবারানী, ৩৭৩; সহীহুত তারগীব, ২৮৭০; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো। কারণ, যে-ব্যক্তি কোনো সঙ্কটে তা স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সে সঙ্কট সহজ হয়ে যাবে এবং যে-ব্যক্তি তা কোনো সুখের সময়ে স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সুখ তিক্ত হয়ে উঠবে।[2]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে অধিক পরিমাণ মৃত্যুর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর সাহাবীদের স্মরণ করিয়ে দিতেন। উবাই ইবন কাব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের দুই-তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে দাঁড়িয়ে বলতেন, হে মানবগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো। কম্পনসৃষ্টিকারী প্রথম শিঙাধ্বনি এসে পড়েছে এবং এর পরপর আসবে পরবর্তী শিঙাধ্বনি। মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।[3]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআয ইবন জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো যেন তাঁকে দেখছো। তুমি নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত রাখো। প্রত্যেক পাথর ও গাছের কাছে আল্লাহকে স্মরণ করো। কোনো পাপকাজ করলে তার সঙ্গে সঙ্গে নেকির কাজ করো: গোপন পাপ হলে গোপন নেকি এবং প্রকাশ্য পাপ হলে প্রকাশ্য নেকি।’[4]
[1] সুনানুত তিরমিযী, ২৩০৭; সুনান ইবন মাজাহ, ৪২৫৮; সহীহুল জামি, ১২১০; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
[2] বাইহাকী, ১০০৭৬; সহীহ ইবন হিব্বান, ২৯৯৩; সহীহুল জামি, ১২১১; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন
[3] সুনানুত তিরমিযী, ২৪৫৭; সহীহুল জামি, ৭৮৬৩; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন,
[4] মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ, ৩৪৩২৫; তাবারানী, ৩৭৩; সহীহুত তারগীব, ২৮৭০; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন