সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Joynal Bin Tofajjal

প্রশ্নোত্তর মূর্খদের সাথে বিতর্ক : শরীআত কী বলে?

Joynal Bin Tofajjal

Student Of Knowledge

Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Threads
344
Comments
479
Solutions
1
Reactions
4,816
Credits
3,279
মূর্খদের সাথে বিতর্ক সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন,
﴿وَإِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ﴾
‘তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শুনে তখন তা উপেক্ষা করে, তা থেকে বিরত থাকে আর বলে, আমাদের আমলের ফল আমরা পাব, তোমাদের আমলের ফল তোমরা পাবে, তোমাদের প্রতি সালাম, অজ্ঞ বা মূর্খদের সাথে আমাদের বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই’ (আল-ক্বাছাছ, ২৮/৫৫)। এই আয়াত থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, মূর্খদের সাথে তর্কে না জড়ানোই ভালো।

মূর্খদের সাথে তর্ক করতে গেলে অযথাই আমাদের সময় নষ্ট হবে, তর্কের ফলাফল হবে আমাদের পরিশ্রান্ত হয়ে পড়া, এমনকি মাঝে মধ্যে তা রূপ নিতে পারে চরম বিশৃঙ্খলায়।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি-আমি দলীল চাইলে সে পাল্টা প্রশ্ন করে বসবে দলীল কী? আর তার ভুলটা ধরিয়ে দিতে চাইলে সে জানতে চাইবে আপনি সঠিকটা করেন তো? সহীহহাদীছ থেকে বললে যদি তা তার পূর্বের জানা বিষয়ের বিরুদ্ধে যায় তবে সে আপনাকে-আমাকেই মূর্খ টাইটেল দিবে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরকে কাফের-ইয়াহূদীদের দালাল সাব্যস্ত করতেও সময় নিবে না।

কাজেই মূর্খদের সাথে কোনো বিতর্ক নয়। আমাদের কাজ হলো তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া, বিতর্ক করা নয়। তারপরও যদি তারা বিতর্ক করতে চায়, তখন কুরআনের ভাষায় বলতে হবে ‘সালাম’। আর তারপরই তাদের থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে পড়তে হবে। আশা করি বিষয়টি আপনাদের বোধগম্য হয়েছে।[1] অর্থাৎ তাদের একটি উৎকৃষ্ট চরিত্র এই যে, তারা কোনো অজ্ঞ শত্রুর কাছ থেকে নিজেদের সম্পর্কে যখন অর্থহীন ও বাজে কথাবার্তা শোনে, তখন তার জওয়াব দেওয়ার পরিবর্তে একথা বলে দেয়, আমার সালাম গ্রহণ করো, আমি অজ্ঞদের সাথে তর্কে জড়াতে চাই না। ইমাম জাসসাস বলেন, সালাম দুই প্রকার :

(১) মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত অভিবাদনমূলক সালাম।

(২) সন্ধি ও বর্জনামূলক সালাম। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে বলে দেওয়া যে, আমি তোমার অসার আচরণের প্রতিশোধ নেব না।

এখানে এ অর্থই বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا﴾

‘আর রহমানের বান্দা তারাই, যারা যমীনে অত্যন্ত নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করলে তারা বলে, ‘সালাম বা শান্তি’ (আল-ফুরকান, ২৫/৬৩)। অর্থাৎ তারা পৃথিবীতে নম্রতা সহকারে চলাফেরা করে।

هَوْن শব্দের অর্থ এখানে স্থিরতা, গাম্ভীর্য, বিনয় অর্থাৎ গর্বভরে না চলা, অহংকারীর ন্যায় পা না ফেলা, অহংকারের সাথে বুক ফুলিয়ে না চলা, গর্বিত স্বৈরাচারী ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারীর মতো চলার মাধ্যমে নিজের শক্তি প্রকাশ করার চেষ্টা না করা। বরং তাদের চালচলন হয় একজন ভদ্র, মার্জিত ও সৎ স্বভাবসম্পন্ন ব্যক্তির মতো। তবে খুব ধীরে চলা উদ্দেশ্য নয়। কেননা, বিনা প্রয়োজনে ধীরে চলা সুন্নাত বিরোধী। হাদীছ থেকে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) খুব ধীরে চলতেন না; বরং কিছুটা দ্রুত গতিতে চলতেন। হাদীছের ভাষা এরূপ, كَأَنَّ الْأَرْضَ تُطْوَى لَهُ অর্থাৎ ‘চলার সময় পথ যেন তার জন্য সংকুচিত হতো’।[2] এ কারণেই পূর্ববর্তী মনীষীগণ ইচ্ছাকৃতভাবেই রোগীদের ন্যায় ধীরে চলাকে অহংকার ও কৃত্রিমতার আলামত হওয়ার কারণে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। উমার (রাযিআল্লাহু আনহুমা) জনৈক যুবককে খুব ধীরে চলতে দেখে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি অসুস্থ? সে বলল, না। তিনি তার প্রতি চাবুক উঠালেন এবং শক্তি সহকারে চলার আদেশ দিলেন।[3]

হাসান বসরী(রাহিমাহুল্লাহ)

﴿وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا﴾

আয়াতের তাফসীরে বলেন, খাঁটি মুমিনদের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চক্ষু, কান, হাত, পা আল্লাহর সামনে হীন ও অক্ষম হয়ে থাকে। অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে দেখে অপারগ ও পঙ্গু মনে করে, অথচ তারা রুগ্নও নয় এবং পঙ্গুও নয়; বরং সুস্থ ও সবল। তবে তাদের উপর আল্লহভীতি প্রবল, যা অন্যদের উপর নেই। পার্থিব কাজকর্ম তাদেরকে আখেরাতের চিন্তা থেকে নিবৃত্ত রাখে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে না এবং তার সমস্ত চিন্তা দুনিয়ার কাজেই ব্যাপৃত, সে সর্বদা দুঃখই ভোগ করে। কারণ সে তো দুনিয়া পুরোপুরি পায় না এবং আখেরাতের কাজেও অংশগ্রহণ করে না। যে ব্যক্তি পানাহারের বস্তুর মধ্যেই আল্লাহর নেয়ামত সীমিত মনে করে এবং উত্তম চরিত্রের প্রতি লক্ষ্য করে না, তার জ্ঞান খুবই অল্প এবং তার জন্য শাস্তি তৈরি রয়েছে।[4]

আর যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদের সাথে কথা বলে, তখন তারা বলে, ‘সালাম’। এখানে جَاهِلُون শব্দের অর্থ বিদ্যাহীন ব্যক্তি নয়; বরং যারা মূর্খতার কাজ করে ও মূর্খতাপ্রসূত কথাবার্তা বলে, যদিও বাস্তবে তারা বিদ্বান বটে। মূর্খ মানে অশিক্ষিত বা লেখাপড়া না জানা লোক নয়; বরং এমন লোক যারা জাহেলী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এবং কোনো ভদ্রলোকের সাথে অশালীন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। রহমানের বান্দাদের পদ্ধতি হচ্ছে, তারা গালির জবাবে গালি এবং দোষারোপের জবাবে দোষারোপ করে না।[5] যেমনভাবে কুরআনের অন্য জায়গায় বলা হয়েছে,

﴿وَإِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ﴾

‘আর যখন তারা কোনো বেহুদা কথা শোনে, তা উপেক্ষা করে যায়। আর বলে, আমাদের কাজের ফল আমরা পাব এবং তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে। সালাম তোমাদের উপর, আমরা জাহেলদের সাথে কথা বলি না’ (আল-ক্বাছাছ, ২৮/৫৫)

মানুষের সাথে কথা বলার দিকনির্দেশনা :

মানুষের সাথে একজন মুসলিম কীভাবে কথা বলবেন, সে বিষয়ে ইসলাম কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম-পদ্ধতি প্রণয়ন করে দিয়েছে। সর্বাবস্থায় একজন মুসলিমকে অটুট বিশ্বাস নিয়ে মনে রাখতে হবে যে, তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি যদি উত্তম কিছু বলেন, তিনি পুরস্কৃত হবেন। আর তিনি যদি মন্দ কিছু বলেন, তবে সেই মন্দ কথার জন্য তাকে অবধারিতভাবেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ﴿مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ﴾ ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণের জন্য তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী রয়েছে’ (ক্বাফ, ৫০/১৮)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছেন যে, মুখের কথা খুবই বিপজ্জনক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘বান্দা অনেক সময় এমন কথা বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। ফলে আল্লাহ তাআলা এর দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। পক্ষান্তরে, বান্দা অনেক সময় এমন কথাও বলে যাতে সে গুরুত্ব দেয় না অথচ সেই কথা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে। ফলে সে কথাই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে’।[6]

কাজেই মূর্খের কথা বিপদের কারণ হতে পারে। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামের সীমারেখার মধ্যে থেকে আমাদেরকে কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মুখের কথা নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা :

(১) কথা বলার উদ্দেশ্য হতে হবে উত্তম এবং কল্যাণকর। যদি উত্তম কথা বলার উদ্দেশ্য বজায় রাখতে না পারেন, তবে চুপ থাকাই আপনার জন্য উত্তম এবং চুপ থাকাটাও একটি উত্তম কাজ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে, নয়তো চুপ থাকে’।[7]

(২) কথাবার্তায় সত্যবাদী হোন এবং মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকুন। কারণ মুমিন ব্যক্তি সর্বদায় সত্যবাদী যিনি কৌতুক করেও মিথ্যা বলেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই সত্য কথা বলবে। কারণ সত্য কল্যাণের দিকে এবং কল্যাণ জান্নাতের পথে চালিত করে। যে সর্বদা সত্য কথা বলে এবং সত্যকে গুরুত্ব দেয়, আল্লাহর নিকট তার নাম সত্যবাদীদের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। কারণ মিথ্যা পাপের দিকে এবং পাপ জাহান্নামের আগুনের দিকে চালিত করে। যে অনবরত মিথ্যা বলে এবং মিথ্যা বলার ইচ্ছা রাখে, আল্লাহর নিকট তার নাম মিথ্যাবাদীদের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়’।[8]

(৩) কথাবার্তার মাধ্যমে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না, তা ক্রীড়াচ্ছলেই হোক অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই হোক। কারণ আল্লাহ অবাধ্য ও মন্দভাষীকে ঘৃণা করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন এমন প্রতিটি শব্দের মাধ্যমেই কুফরী করা হয়। যেমন- অশ্লীল ও অশিষ্ট শব্দ ব্যবহার করা, মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ইত্যাদি। এ সম্পর্কে সহীহসূত্রে বর্ণিত একটি হাদীস নবী (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মুমিনগণ কখনো অভিযোগ করে না, অন্যের প্রতি খারাপ ভাষা ব্যবহার করে না, আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে না এবং নোংরা ভাষায় কথা বলে না’।[9] অন্য একটি সহীহ হাদীস রয়েছে, মুসলিমের জন্য গালিগালাজ করাই হলো কুফরী। জীবিত কোনো মানুষকে গালিগালাজ করা যেমন নিষিদ্ধ, মৃত ব্যক্তিকে গালিগালাজ করাও তেমনিভাবে নিষিদ্ধ। হাদীস এসেছে, ‘মৃত ব্যক্তিদের গালমন্দ করবে না; তারা তাদের প্রতিদান পেয়ে গেছে’।[10]

(৪) কথা বলার সময় গীবত তথা পরচর্চা থেকে বেঁচে থাকুন। গীবত হলো কোনো মুসলিমের অসাক্ষাতে তার সম্পর্কে অন্য কারো কাছে এমন কিছু বলা যা শুনলে সে কষ্ট পেত। অতএব, পরচর্চা করবেন না। নামীমা থেকেও বেঁচে থাকুন। নামীমা হলো লোকজনের মধ্যে এমন তথ্য ছড়ানো যা তাদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণার সৃষ্টি করে। সহীহসূত্রে বর্ণিত একটি হাদীস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘চোগলখোর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না’। যারা নামীমা চর্চা করে তাদেরকে গোপনে নিষেধ করুন এবং সেগুলো শোনা থেকেও দূরে থাকুন। অন্যথা শুধু শোনার জন্যও আপনি সেই পাপের অংশীদার হবেন।

(৫) কথায় কথায় কসম খাওয়া থেকে বেঁচে থাকুন। এই মর্মে সূরা আল-বাক্বারাতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,﴿وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِأَيْمَانِكُمْ﴾ ‘আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ো না’ (আল-বাক্বারা, ২/২২৪)

(৬) নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিসীমার মধ্যে থেকে কথা বলুন। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে মতামত প্রকাশ করবেন না। সূরা আল-ইসরাতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,﴿وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ﴾ ‘যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ের পিছে পড়ো না’ (আল-ইসরা, ১৭/৩৬)

(৭) তদন্ত করে নিশ্চিত না হয়ে শুধু শোনা কথা নিয়ে মানুষের সাথে আলাপ করা যাবে না। কারণ আপনি এমন কিছু শুনতে পারেন, যেটা সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যা কিংবা সন্দেহজনকও হতে পারে। যা শুনবেন তাই প্রচার করলে আপনিও পাপের অংশীদার হবেন। একটি সহীহ হাদীস এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সতর্ক করে বলেছেন, ‘একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে (যাচায় ব্যতীত) তাই প্রচার করে বেড়ায়’।[11]



অধ্যাপক ওবায়দুল বারী বিন সিরাজউদ্দীন
পিএইচডি গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


[1]. বি.দ্র. এখানে মূর্খ বলতে একাডেমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেনি তাদেরকে বোঝানো হয়নি। একাডেমিক পর্যায়ে না পড়লেও শিক্ষিত হওয়া যায়। আবার অনেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পরেও মূর্খই রয়ে যায়।
[2]. ইবনু হিব্বান, হা/৬৩০৯, সনদ ছহীহ।
[3]. ইবনু কাসীর, ৬/১১০।
[4]. ইবনু কাসীর, ৬/১১০
[5]. ফাতহুল ক্বাদীর, কুরতুবী, বাদাইউত তাফসীর।
[6]. সহীহ বুখারী, হা/৬৪৭৭, ৬৪৭৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৯৮৮।
[7]. সহীহ বুখারী, হা/৬১৩৬, ৬৪৭৫।
[8]. সহীহ বুখারী, হা/৬০৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/২৬০৭।
[9]. তিরমিযী, হা/১৯৭৭, হাদীছ ছহীহ।
[10]. সহীহ বুখারী, হা/১৩৯৩, ৬৫১৬।
[11]. সহীহ মুসলিম, হা/৫; আবূ দাঊদ, হা/৪৯৯২।
 
Last edited:
COMMENTS ARE BELOW
Top