If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
তাশবীহ বা সাদৃশ্য অস্বীকারকারী সম্প্রদায়, আল্লাহ তা'আলার জন্য যারাই কোনো নাম বা গুণ সাব্যস্ত করে তাদেরকেই ‘মুশাব্বিহা’ নামে অভিহিত করে। ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন, জাহম ইবন সাফওয়ান মনে করেছে, যে কেউ আল্লাহ তা'আলাকে সেসব গুণে গুণান্বিত করে যা দিয়ে তিনি নিজেকে তার কিতাবে গুণান্বিত করেছেন অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলো দিয়ে হাদীসে তাকে গুণান্বিত করেছেন, সে কাফের হয়ে যাবে, আর সে মুশাব্বিহা হয়ে যাবে। দেখুন, ইমাম আহমাদ, আর-রাদ্দু আলায যানাদিকাতি ওয়াল জাহমিয়্যাহ, পৃ. ২০৬।
অনুরূপভাবে ‘জাহম' ইবন সাফওয়ানের পরে যত সিফাত অস্বীকারকারী এসেছে সকলেই এ কাজটি করেছে। যারাই আল্লাহ তা'আলার সিফাত সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই তারা ‘মুশাব্বিহা’ বা দেহবাদী বলেছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত সিফাত অস্বীকারকারীদের একটি চিহ্নে পরিণত হয়েছে তারা এর মাধ্যমে পরিচিতি পেতে থাকে। এজন্য ইমাম ইসহাক্ব ইবন রাহওয়িয়াহ বলেন, ‘জাহম ও তার অনুসারীদের আলামত হচ্ছে তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের ওপর মিথ্যাচার করে বলে, এরা মুশাব্বিহা।
যারা এভাবে আহলুস সুন্নাহকে মুশাব্বিহা বলত, তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আবুল মা'আলী আল-জুওয়াইনী। তিনি বলেন, ‘জেনে রাখ, হক্ব মতবাদ হচ্ছে, মহান রব্ব সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যেকোনো হাইয়্যে্য বা স্থানে হওয়া থেকে পবিত্র, অনুরূপ কোনো দিক দ্বারা বিশেষিত হওয়া থেকে পবিত্র। আর যারা মুশাব্বিহা তারা বলে, নিশ্চয় মহান আল্লাহ উপরের দিক দ্বারা বিশেষিত।' আশ- শামিল, পৃ. ৫১১। উল্লেখ্য, এখানে তিনি হক্ব মতবাদ বলে আশ'আরীদের বুঝিয়েছেন।
অনুরূপ কাজটি শাহরাস্তানীও করেছে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী একটি গোষ্ঠী সালাফে সালেহীন যা বলেছে তার ওপর বাড়তি করেছে, তারা বলেছে, এসব আয়াত ও হাদীসকে তার প্রকাশ্য অর্থে নিতে হবে, এভাবে তারা কেবল তাশবীহ বা সাদৃশ্য প্রদানেই নিপতিত হয়েছে, যা সালাফদের বিশ্বাসের বিপরীত।' আল-মিলাল ওয়ান নিহাল ( ১/১৪৬০।
বরং কোনো কোনো কালামশাস্ত্রবিদ হাম্বলীদের দিকে তাশবীহ এর দোষ যুক্ত করতো; কারণ ফিকহী মাযহাবের অনুসারীদের মাঝে তারাই অধিক পরিমাণে আল্লাহ তা'আলার সিফাত সাব্যস্তকরণে বিখ্যাত ছিল। ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ এর সাথে যারা বিতর্ক করে বলেছিল, ‘আহমাদ এর দিকে বেশ কিছু হাশাওয়িয়্যাহ (অক্ষরবাদী) ও মুশাব্বিহা গোষ্ঠী নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে নিয়েছে', একথার জবাবে শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ তিনি তাদের দাবি খণ্ডন করে বলেছিলেন, ইমাম আহমাদের সাথীদের ছাড়া অন্যদের মধ্যে মুশাব্বিহা ও মুজাসসিমাদের সংখ্যা অনেক বেশি।
এই যে কুর্দীরা তারা সবাই শাফেয়ী মাযহাবভুক্ত, তাদের মধ্যে যত তাশবীহ আর তাজসীম পাওয়া যায় তা অন্য কোনো প্রজাতির মধ্যে পাওয়া যায় না। জীলানের অধিবাসীরা তাদের মধ্যে শাফে'য়ী ও হাম্বলী। একান্ত হাম্বলী যারা তাদের মাঝে এসব কিছু নেই যা অন্যদের মধ্যে আছে। এই যে কাররামিয়্যাহ মুজাসসিমাহ, এরা সবাই হানাফী'। মাজমূ' ফাতাওয়া (৩/১৯৭); হিকায়াতু মুনাযারাতিল ওয়াসেত্বয়্যিাহ।
ইবন আবিল ইয্য আল-হানাফী রাহিমাহুল্লাহ ইমাম ইসহাক্ব ইবন রাহওয়িয়াহ'র পূর্বোক্ত বক্তব্য বর্ণনার পরে বলেন, 'অনুরূপভাবে সালাফগণের অনেক ইমাম বলেছেন, জাহমিয়্যাদের আলামত হচ্ছে তারা আহলুস সুন্নাহকে মুশাব্বিহা (সাদৃশ্যবাদী) বলে; কারণ আল্লাহর নাম ও গুণ অস্বীকারকারী প্রতিটি সম্প্রদায় যারা নাম ও গুণ সাব্যস্ত করে তাদেরকে মুশাব্বিহা বলতো। এজন্য সিফাত অস্বীকারকারী জাহমিয়্যাহ, মু'তাযিলা, রাফেযী প্রমুখ লোকদের কিতাবসমূহ, যারা আল্লাহর জন্য সিফাত সাব্যস্ত করে তাদেরকে, মুশাব্বিহা ও মুজাসসিমা নামক অপবাদে ভরপুর।' ইবন আবিল ইয্য আল-হানাফী, শারহুল আকীদাতিত ত্বাহাওয়িয়্যাহ (১/১৭৯)।
অনুরূপভাবে ‘জাহম' ইবন সাফওয়ানের পরে যত সিফাত অস্বীকারকারী এসেছে সকলেই এ কাজটি করেছে। যারাই আল্লাহ তা'আলার সিফাত সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই তারা ‘মুশাব্বিহা’ বা দেহবাদী বলেছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত সিফাত অস্বীকারকারীদের একটি চিহ্নে পরিণত হয়েছে তারা এর মাধ্যমে পরিচিতি পেতে থাকে। এজন্য ইমাম ইসহাক্ব ইবন রাহওয়িয়াহ বলেন, ‘জাহম ও তার অনুসারীদের আলামত হচ্ছে তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের ওপর মিথ্যাচার করে বলে, এরা মুশাব্বিহা।
যারা এভাবে আহলুস সুন্নাহকে মুশাব্বিহা বলত, তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আবুল মা'আলী আল-জুওয়াইনী। তিনি বলেন, ‘জেনে রাখ, হক্ব মতবাদ হচ্ছে, মহান রব্ব সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যেকোনো হাইয়্যে্য বা স্থানে হওয়া থেকে পবিত্র, অনুরূপ কোনো দিক দ্বারা বিশেষিত হওয়া থেকে পবিত্র। আর যারা মুশাব্বিহা তারা বলে, নিশ্চয় মহান আল্লাহ উপরের দিক দ্বারা বিশেষিত।' আশ- শামিল, পৃ. ৫১১। উল্লেখ্য, এখানে তিনি হক্ব মতবাদ বলে আশ'আরীদের বুঝিয়েছেন।
অনুরূপ কাজটি শাহরাস্তানীও করেছে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী একটি গোষ্ঠী সালাফে সালেহীন যা বলেছে তার ওপর বাড়তি করেছে, তারা বলেছে, এসব আয়াত ও হাদীসকে তার প্রকাশ্য অর্থে নিতে হবে, এভাবে তারা কেবল তাশবীহ বা সাদৃশ্য প্রদানেই নিপতিত হয়েছে, যা সালাফদের বিশ্বাসের বিপরীত।' আল-মিলাল ওয়ান নিহাল ( ১/১৪৬০।
বরং কোনো কোনো কালামশাস্ত্রবিদ হাম্বলীদের দিকে তাশবীহ এর দোষ যুক্ত করতো; কারণ ফিকহী মাযহাবের অনুসারীদের মাঝে তারাই অধিক পরিমাণে আল্লাহ তা'আলার সিফাত সাব্যস্তকরণে বিখ্যাত ছিল। ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ এর সাথে যারা বিতর্ক করে বলেছিল, ‘আহমাদ এর দিকে বেশ কিছু হাশাওয়িয়্যাহ (অক্ষরবাদী) ও মুশাব্বিহা গোষ্ঠী নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে নিয়েছে', একথার জবাবে শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ তিনি তাদের দাবি খণ্ডন করে বলেছিলেন, ইমাম আহমাদের সাথীদের ছাড়া অন্যদের মধ্যে মুশাব্বিহা ও মুজাসসিমাদের সংখ্যা অনেক বেশি।
এই যে কুর্দীরা তারা সবাই শাফেয়ী মাযহাবভুক্ত, তাদের মধ্যে যত তাশবীহ আর তাজসীম পাওয়া যায় তা অন্য কোনো প্রজাতির মধ্যে পাওয়া যায় না। জীলানের অধিবাসীরা তাদের মধ্যে শাফে'য়ী ও হাম্বলী। একান্ত হাম্বলী যারা তাদের মাঝে এসব কিছু নেই যা অন্যদের মধ্যে আছে। এই যে কাররামিয়্যাহ মুজাসসিমাহ, এরা সবাই হানাফী'। মাজমূ' ফাতাওয়া (৩/১৯৭); হিকায়াতু মুনাযারাতিল ওয়াসেত্বয়্যিাহ।
ইবন আবিল ইয্য আল-হানাফী রাহিমাহুল্লাহ ইমাম ইসহাক্ব ইবন রাহওয়িয়াহ'র পূর্বোক্ত বক্তব্য বর্ণনার পরে বলেন, 'অনুরূপভাবে সালাফগণের অনেক ইমাম বলেছেন, জাহমিয়্যাদের আলামত হচ্ছে তারা আহলুস সুন্নাহকে মুশাব্বিহা (সাদৃশ্যবাদী) বলে; কারণ আল্লাহর নাম ও গুণ অস্বীকারকারী প্রতিটি সম্প্রদায় যারা নাম ও গুণ সাব্যস্ত করে তাদেরকে মুশাব্বিহা বলতো। এজন্য সিফাত অস্বীকারকারী জাহমিয়্যাহ, মু'তাযিলা, রাফেযী প্রমুখ লোকদের কিতাবসমূহ, যারা আল্লাহর জন্য সিফাত সাব্যস্ত করে তাদেরকে, মুশাব্বিহা ও মুজাসসিমা নামক অপবাদে ভরপুর।' ইবন আবিল ইয্য আল-হানাফী, শারহুল আকীদাতিত ত্বাহাওয়িয়্যাহ (১/১৭৯)।