- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 756
- Comments
- 903
- Reactions
- 7,997
- Thread Author
- #1
ইয়াহইয়া ইবন মুআয (রাহিমাহুল্লাহ) মুমিনের চরিত্রের গুণাবলী নিয়ে একটি রচনা লিখেন।
তিনি লিখেন, মুমিনের চরিত্রে এসব বিষয় থাকবে :
অধিক লজ্জাশীলতা, কারো জন্য ক্ষতিকর না হওয়া, ভালোর প্রাচুর্য থাকা। থাকবে না কোনো দূর্নীতির ছোঁয়া। জিহ্বা থাকবে সত্যবাণীতে তরতাজা, কথা হবে কম আর কাজ হবে বেশি, ভুলভ্রান্তি হবে কম, মাত্রাতিরিক্ত হবে না। আত্মীয়দের প্রতি থাকবে সদয় এবং এই সম্পর্ক উন্নতিতে থাকবে সদা তৎপর। থাকবে শ্রদ্ধাশীল ও কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তায়ালা যতটুকু রিজক দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে।
ভাইদের প্রতি থাকবে সহনশীল ও বন্ধুসুলভ। থাকবে দয়া ও মার্জিত আচরণ। মুমিন অভিশাপ দেবে না, বেহুদা কসম খাবে না, কাউকে অপমান করবে না, কারো গীবত ও সমালোচনা করবে না। মুমিন হঠকারী হবে না, পরশ্রীকাতর হবে না, ঘৃণা করবে না, উদ্ধত হবে না, নিরর্থক কোনো কাজে জড়াবে না। দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে যাবে না, দুনিয়ার চাওয়া-পাওয়া নিয়ে হা-হুতাশ করবে না। মুমিন খুব বেশি ঘুমাবে না। অন্যমনস্ক থাকবে না, থাকবে না লোক দেখানো আমল কিংবা ভণ্ডামি। সে স্বার্থপর হবে না। সে কোমল ও প্রফুল্ল থাকবে, মেরুদন্ডহীন হবে না। সে আল্লাহর জন্যই কেবল ভালোবাসবে, তাঁর জন্যই আনন্দিত হবে, তাঁর জন্য গোস্বা করবে। তার রিজক হবে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। সে পরকালের জিন্দেগী নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে। তার বন্ধু হবে এমন যে তাকে আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। তার প্রিয়জন হবে তার হিফাযতকারী, তার মনিব আল্লাহ। তার সংগ্রাম হবে আখিরাত কেন্দ্রিক।
— তামবীহুল মুগতাররীন, পৃ. ৭৭
তিনি লিখেন, মুমিনের চরিত্রে এসব বিষয় থাকবে :
অধিক লজ্জাশীলতা, কারো জন্য ক্ষতিকর না হওয়া, ভালোর প্রাচুর্য থাকা। থাকবে না কোনো দূর্নীতির ছোঁয়া। জিহ্বা থাকবে সত্যবাণীতে তরতাজা, কথা হবে কম আর কাজ হবে বেশি, ভুলভ্রান্তি হবে কম, মাত্রাতিরিক্ত হবে না। আত্মীয়দের প্রতি থাকবে সদয় এবং এই সম্পর্ক উন্নতিতে থাকবে সদা তৎপর। থাকবে শ্রদ্ধাশীল ও কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তায়ালা যতটুকু রিজক দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে।
ভাইদের প্রতি থাকবে সহনশীল ও বন্ধুসুলভ। থাকবে দয়া ও মার্জিত আচরণ। মুমিন অভিশাপ দেবে না, বেহুদা কসম খাবে না, কাউকে অপমান করবে না, কারো গীবত ও সমালোচনা করবে না। মুমিন হঠকারী হবে না, পরশ্রীকাতর হবে না, ঘৃণা করবে না, উদ্ধত হবে না, নিরর্থক কোনো কাজে জড়াবে না। দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে যাবে না, দুনিয়ার চাওয়া-পাওয়া নিয়ে হা-হুতাশ করবে না। মুমিন খুব বেশি ঘুমাবে না। অন্যমনস্ক থাকবে না, থাকবে না লোক দেখানো আমল কিংবা ভণ্ডামি। সে স্বার্থপর হবে না। সে কোমল ও প্রফুল্ল থাকবে, মেরুদন্ডহীন হবে না। সে আল্লাহর জন্যই কেবল ভালোবাসবে, তাঁর জন্যই আনন্দিত হবে, তাঁর জন্য গোস্বা করবে। তার রিজক হবে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। সে পরকালের জিন্দেগী নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে। তার বন্ধু হবে এমন যে তাকে আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। তার প্রিয়জন হবে তার হিফাযতকারী, তার মনিব আল্লাহ। তার সংগ্রাম হবে আখিরাত কেন্দ্রিক।
— তামবীহুল মুগতাররীন, পৃ. ৭৭