‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর মুবাহালার বিধান কী? এটা কি শুধু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাছ ছিল?

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
মুবাহালা শরী‘আত অনুমোদিত একটি বিষয়। এটা শুধু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাছ নয়। বরং উম্মতে মুহাম্মাদীর সকলের জন্য বৈধ। অনেক সাহাবী মুবাহালার আহ্বান করেছেন। যেমন ইবনু মাসঊদ, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রভৃতি (ফাতাওয়া আশ-শাবাকাতুল ইসলামিয়্যাহ, প্রশ্ন নং- ১৫০৯৮, ৪২০১৪)।

এ ব্যাপারে সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেছেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খ্রিষ্টানদের সাথে যে মুবাহালা করেছিলেন সেটা শুধু তাঁর জন্যই খাছ ছিল না। বরং খ্রিষ্টান এবং অন্যদের সাথে মুবাহালা করার এ হুকুম তাঁর এবং তাঁর উম্মতের জন্য সর্বজনীন।

যদিও নাজরানের খ্রিস্টানদের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে যে মুবাহালা হয়েছিল তা আয়াতের আংশিক উদাহরণ হলেও এর অর্থ এই নয় যে, এই মুবাহালা কেবল খ্রিস্টানদের সাথেই প্রযোজ্য’ (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২০৩-২০৪)।

ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বাতিলপন্থীদের সাথে বিতর্কের ক্ষেত্রে সুন্নাত হল, যদি তাদের উপর আল্লাহর হুজ্জত (স্পষ্ট ও অকাট্য দলীল) প্রতিষ্ঠিত হয় কিন্তু তারা (তাদের বাতিল মতবাদ থেকে) ফিরে না এসে গোঁড়ামির উপর স্থির থাকে, তাহলে তাদেরকে মুবাহালায় আহ্বান করা। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ কথা বলেননি যে, তোমার পরে তোমার উম্মতের জন্য তা করার অনুমতি নেই’ (যাদুল মা‘আদ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৬৪৩)।



সূত্র: আল-ইখলাছ।​
 
Last edited:

Share this page