উত্তরঃ মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা জায়েয। শর্ত হলো: একই বৈঠকে প্রদান ও গ্রহণ সম্পাদিত হতে হবে। ডলারের বিনিময়ে ইউরো বিক্রি করা জায়েয; শর্ত হলো একই বৈঠকে গ্রহণ ও প্রদান সংঘটিত হতে হবে। আর যদি একই মুদ্রার বিনিময় হয়; যেমন এক ডলারের বিনিময়ে দুই ডলার তাহলে সেটা জায়েয নয়। যেহেতু এটি রিবাল ফাদল (বৃদ্ধিগত সুদ)। তাই যদি একই মুদ্রার বিনিময় হয় তাহলে উভয়টি সমান সমান হওয়া ও একই মজলিসে আদান-প্রদান সম্পাদিত হওয়া আবশ্যক। এর দলিল হচ্ছে উবাদা বিন সামেত (রাঃ) এর হাদিস; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, লবণের বিনিময়ে লবণ সমান সমান ও হাতে হাতে হওয়া। আর যদি শ্রেণীগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয় তাহলে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বিক্রি করতে পার; যদি হাতে হাতে হয়।”[সহিহ মুসলিম (১৫৮৭)]
শাইখ বিন বাযের ফতোয়াসমগ্রতে (১৯/১৭১-১৭৪) এসেছে: “মুদ্রাগুলোর মধ্যে বেচাকেনার লেনদেন জায়েয। কিন্তু শর্ত হলো আদান-প্রদান হাতে হাতে সম্পাদিত হওয়া; যদি মুদ্রাগুলো আলাদাশ্রেণীর হয়। তাই কেউ যদি লিবিয়ান মুদ্রার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা বিক্রি করে কিংবা মিসরী মুদ্রা বা অন্য কোন মুদ্রার বিপরীতে বিক্রি করে এবং হাতে হাতে বিনিময় হয় তাহলে কোন অসুবিধা নাই। যেমন কেউ লিবিয়ান মুদ্রা দিয়ে নগদে কিছু ডলার কিনল। একই মজলিসে সে এটি গ্রহণ করল এবং অন্যজন অন্যটি গ্রহণ করল। কিংবা মিসরী মুদ্রা কিংবা ইংল্যাণ্ডের মুদ্রা কিংবা অন্যকোন মুদ্রা লিবিয়ান মুদ্রার বিনিময়ে খরিদ করল হাতে হাতে; এতেও কোন অসুবিধা নাই। আর যদি বাকীতে খরিদ করে তাহলে জায়েয হবে না। অনুরূপভাবে একই মজলিসেও যদি একহাতে দেয়া অন্য হাতে নেয়া সংঘটিত না হয় তাহলেও জায়েয হবে না। কেননা সেটি এক প্রকার সুদী কারবার। তাই অবশ্যই একই মজলিসে হাতে হাতে সংঘটিত হতে হবে; যদি মুদ্রাগুলো ভিন্ন শ্রেণীর হয়। আর যদি এক শ্রেণীর হয় তাহলে দুটো শর্ত পূর্ণ হতে হবে: সমান সমান হওয়া এবং একই মজলিসে এক হাতে নেওয়া অন্য হাতে দেওয়া। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস: “স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য...”।
মুদ্রা ব্যবসার হুকুম যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি আলাদা শ্রেণীর হয় তাহলে একই মজলিসে হাতে হাতে আদান-প্রদানের সাথে বেশি বা কমে বিনিময় করা জায়েয। আর যদি একই শ্রেণীর হয় যেমন- ডলারের বিনিময়ে ডলার কিংবা দিনারের বিনিময়ে দিনার সেক্ষেত্রে একই মজলিসে এক হাতে আদান ও অন্য হাতে প্রদান এবং সমান সমান হওয়া শর্ত। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।"
ফতোয়া সূত্রঃ Islamqa.info, Fatwa No. 72210
শাইখ বিন বাযের ফতোয়াসমগ্রতে (১৯/১৭১-১৭৪) এসেছে: “মুদ্রাগুলোর মধ্যে বেচাকেনার লেনদেন জায়েয। কিন্তু শর্ত হলো আদান-প্রদান হাতে হাতে সম্পাদিত হওয়া; যদি মুদ্রাগুলো আলাদাশ্রেণীর হয়। তাই কেউ যদি লিবিয়ান মুদ্রার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা বিক্রি করে কিংবা মিসরী মুদ্রা বা অন্য কোন মুদ্রার বিপরীতে বিক্রি করে এবং হাতে হাতে বিনিময় হয় তাহলে কোন অসুবিধা নাই। যেমন কেউ লিবিয়ান মুদ্রা দিয়ে নগদে কিছু ডলার কিনল। একই মজলিসে সে এটি গ্রহণ করল এবং অন্যজন অন্যটি গ্রহণ করল। কিংবা মিসরী মুদ্রা কিংবা ইংল্যাণ্ডের মুদ্রা কিংবা অন্যকোন মুদ্রা লিবিয়ান মুদ্রার বিনিময়ে খরিদ করল হাতে হাতে; এতেও কোন অসুবিধা নাই। আর যদি বাকীতে খরিদ করে তাহলে জায়েয হবে না। অনুরূপভাবে একই মজলিসেও যদি একহাতে দেয়া অন্য হাতে নেয়া সংঘটিত না হয় তাহলেও জায়েয হবে না। কেননা সেটি এক প্রকার সুদী কারবার। তাই অবশ্যই একই মজলিসে হাতে হাতে সংঘটিত হতে হবে; যদি মুদ্রাগুলো ভিন্ন শ্রেণীর হয়। আর যদি এক শ্রেণীর হয় তাহলে দুটো শর্ত পূর্ণ হতে হবে: সমান সমান হওয়া এবং একই মজলিসে এক হাতে নেওয়া অন্য হাতে দেওয়া। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস: “স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য...”।
মুদ্রা ব্যবসার হুকুম যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি আলাদা শ্রেণীর হয় তাহলে একই মজলিসে হাতে হাতে আদান-প্রদানের সাথে বেশি বা কমে বিনিময় করা জায়েয। আর যদি একই শ্রেণীর হয় যেমন- ডলারের বিনিময়ে ডলার কিংবা দিনারের বিনিময়ে দিনার সেক্ষেত্রে একই মজলিসে এক হাতে আদান ও অন্য হাতে প্রদান এবং সমান সমান হওয়া শর্ত। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।"
ফতোয়া সূত্রঃ Islamqa.info, Fatwa No. 72210