If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
পিতার শুক্রাণু যখন মায়ের ডিম্বাণুতে পৌঁছে, তখন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নব্য শিশুর অসংখ্য বৈশিষ্ট্য আলপিনের অগ্রভাগের মত সূক্ষ্ম ডিম্বের মধ্যে স্থিরীকৃত হয়ে যায়। এদু’টি কোষ যখন একত্রিত হয়, তখন সম্পূর্ণ নতুন একটা মানুষ সৃষ্টির জন্য জন্মগত DNA-এর মধ্যে পরিকল্পনা তৈরী করে নেওয়া হয়। আর এটা হয় মাত্র কয়েক মিনিট সময়ের মধ্যে। এই জটিল দেহ ব্যবস্থার বিষয়ে ক্রমবিকাশবাদীরা সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে সক্ষম নন।ক্রমবিকাশবাদী Sir James Gray কথাটি অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘গোটা প্রক্রিয়ায় মনে হয় এক আপেক্ষিক সরল পদ্ধতি থেকে গড়ে ওঠা সুসংবদ্ধ কাঠামোর উন্নয়ন। যা কিছুটা ইটের বাড়ী নির্মাণের প্রক্রিয়া সদৃশ। যেখানে কাঠ ও কাঁচ পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী সাজানো হয়’। তিনি বলেন, There seems to be some directive principle at work. ‘মনে হবে সেখানে কতক চালিকা নীতি কাজ করছে’ (Science today pp 25-26). (১৩৫-৩৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি’। ‘অতঃপর আমরা তাকে (পিতা-মাতার মিশ্রিত) শুক্রবিন্দুরূপে (মায়ের গর্ভে) নিরাপদ আধারে সংরক্ষণ করি’। ‘অতঃপর আমরা শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট রক্তে। তারপর জমাট রক্তকে পরিণত করি গোশতপিণ্ডে। অতঃপর গোশতপিণ্ডকে পরিণত করি অস্থিতে। অতঃপর অস্থিসমূহকে ঢেকে দেই গোশত দিয়ে। অতঃপর আমরা ওকে একটি নতুন সৃষ্টিরূপে পয়দা করি। অতএব বরকতময় আল্লাহ কতই না সুন্দর সৃষ্টিকর্তা!’ (মুমিনূন ২৩/১২-১৪)।
আল্লাহ বলেন, ‘আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি (পিতা-মাতার) মিশ্রিত শুক্রবিন্দু হ’তে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। অতঃপর আমরা তাকে করেছি শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (দাহর ৭৬/২)।
স্বামী ও স্ত্রীর সংমিশ্রিত বীর্যের মাধ্যমে সন্তান সৃষ্টি হওয়ার এ তথ্য সর্বপ্রথমকুরআনই বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞান এটি জানতে পেরেছে মাত্র ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে বিজ্ঞানী হার্টিগ (ঐধৎঃরিম)-এর মাধ্যমে। অতঃপর ১৮৮৩ সালে বিজ্ঞানী ভ্যান বোডেন এটা প্রমাণ করেন যে, সন্তান উৎপাদনে উভয়ের বীর্য সমানভাবে ভূমিকা রাখে। অতঃপর ১৯১২ সালে বিজ্ঞানী মোরজন সন্তানের উত্তরাধিকার নির্ণয়ে ভ্রুণ সমূহের ভূমিকা প্রমাণ করেন যে, স্বামীর শুক্রকীট স্ত্রী ডিম্বে প্রবেশ করেই এই ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। অথচ এর পূর্বে এরিষ্টটলের মত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে, পুরুষের বীর্যের কোন কার্যকারিতা নেই’।৮
উল্লেখ্য যে, শুধু মানুষ নয়, উদ্ভিদরাজি, জীবজন্তু ও প্রাণীকুলের সৃষ্টি হয়েছে মাটি থেকে। আর মাটি সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে। পানিই হ’ল সকল বস্তুর মূল (আম্বিয়া ২১/৩০)। আর বীর্যের মূল হ’ল পানি। মাতৃগর্ভের তিন তিনটি গাঢ় অন্ধকার পর্দার অন্তরালে এইভাবে দীর্ঘ নয় মাস ধরে বেড়ে ওঠা প্রথমতঃ একটি পূর্ণ জীবন সত্তার সৃষ্টি, অতঃপর একটি জীবন্ত প্রাণবন্ত ও প্রতিভাবান শিশু হিসাবে দুনিয়াতে ভূমিষ্ট হওয়া কতই না বিষ্ময়কর ব্যাপার। কোন মানুষের পক্ষে এই অনন্য-অকল্পনীয় সৃষ্টিকর্ম আদৌ সম্ভব কী? মাতৃগর্ভের ঐ অন্ধকার গৃহে মানবশিশু সৃষ্টির সেই মহান কারিগর কে? কে সেই মহান আর্কিটেক্ট, যিনি ঐ গোপন কুঠরীতে পিতার ২৩টি ক্রোমোজম ও মাতার ২৩টি ক্রোমোজম একত্রিত করে সংমিশ্রিত বীর্য প্রস্তুত করেন? কে সেই মহান শিল্পী, যিনি রক্তপিণ্ড আকারের জীবন টুকরাটিকে মাতৃগর্ভে পুষ্ট করেন? অতঃপর ১২০ দিন পরে তাতে রূহ সঞ্চার করে তাকে জীবন্ত মানব শিশুতে পরিণত করেন এবং পূর্ণ-পরিণত হওয়ার পরে সেখান থেকে বাইরে ঠেলে দেন (‘আবাসা ৮০/১৮-২০)। বাপ-মায়ের স্বপ্নের ফসল হিসাবে নয়নের পুত্তলি হিসাবে? মায়ের গর্ভে মানুষ তৈরীর সেই বিষ্ময়কর যন্ত্রের দক্ষ কারিগর ও সেই মহান শিল্পী আর কেউ নন, তিনি আল্লাহ! সুবহানাল্লাহি ওয়া বেহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম!!
চলবে...
৮. মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, স্রষ্টা ও সৃষ্টিতত্ত্ব (ঢাকা : ইফাবা ১ম প্রকাশ ২০০৩) ৪২১ পৃ.।
আল্লাহ বলেন, ‘আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি (পিতা-মাতার) মিশ্রিত শুক্রবিন্দু হ’তে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। অতঃপর আমরা তাকে করেছি শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (দাহর ৭৬/২)।
স্বামী ও স্ত্রীর সংমিশ্রিত বীর্যের মাধ্যমে সন্তান সৃষ্টি হওয়ার এ তথ্য সর্বপ্রথমকুরআনই বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞান এটি জানতে পেরেছে মাত্র ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে বিজ্ঞানী হার্টিগ (ঐধৎঃরিম)-এর মাধ্যমে। অতঃপর ১৮৮৩ সালে বিজ্ঞানী ভ্যান বোডেন এটা প্রমাণ করেন যে, সন্তান উৎপাদনে উভয়ের বীর্য সমানভাবে ভূমিকা রাখে। অতঃপর ১৯১২ সালে বিজ্ঞানী মোরজন সন্তানের উত্তরাধিকার নির্ণয়ে ভ্রুণ সমূহের ভূমিকা প্রমাণ করেন যে, স্বামীর শুক্রকীট স্ত্রী ডিম্বে প্রবেশ করেই এই ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। অথচ এর পূর্বে এরিষ্টটলের মত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে, পুরুষের বীর্যের কোন কার্যকারিতা নেই’।৮
উল্লেখ্য যে, শুধু মানুষ নয়, উদ্ভিদরাজি, জীবজন্তু ও প্রাণীকুলের সৃষ্টি হয়েছে মাটি থেকে। আর মাটি সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে। পানিই হ’ল সকল বস্তুর মূল (আম্বিয়া ২১/৩০)। আর বীর্যের মূল হ’ল পানি। মাতৃগর্ভের তিন তিনটি গাঢ় অন্ধকার পর্দার অন্তরালে এইভাবে দীর্ঘ নয় মাস ধরে বেড়ে ওঠা প্রথমতঃ একটি পূর্ণ জীবন সত্তার সৃষ্টি, অতঃপর একটি জীবন্ত প্রাণবন্ত ও প্রতিভাবান শিশু হিসাবে দুনিয়াতে ভূমিষ্ট হওয়া কতই না বিষ্ময়কর ব্যাপার। কোন মানুষের পক্ষে এই অনন্য-অকল্পনীয় সৃষ্টিকর্ম আদৌ সম্ভব কী? মাতৃগর্ভের ঐ অন্ধকার গৃহে মানবশিশু সৃষ্টির সেই মহান কারিগর কে? কে সেই মহান আর্কিটেক্ট, যিনি ঐ গোপন কুঠরীতে পিতার ২৩টি ক্রোমোজম ও মাতার ২৩টি ক্রোমোজম একত্রিত করে সংমিশ্রিত বীর্য প্রস্তুত করেন? কে সেই মহান শিল্পী, যিনি রক্তপিণ্ড আকারের জীবন টুকরাটিকে মাতৃগর্ভে পুষ্ট করেন? অতঃপর ১২০ দিন পরে তাতে রূহ সঞ্চার করে তাকে জীবন্ত মানব শিশুতে পরিণত করেন এবং পূর্ণ-পরিণত হওয়ার পরে সেখান থেকে বাইরে ঠেলে দেন (‘আবাসা ৮০/১৮-২০)। বাপ-মায়ের স্বপ্নের ফসল হিসাবে নয়নের পুত্তলি হিসাবে? মায়ের গর্ভে মানুষ তৈরীর সেই বিষ্ময়কর যন্ত্রের দক্ষ কারিগর ও সেই মহান শিল্পী আর কেউ নন, তিনি আল্লাহ! সুবহানাল্লাহি ওয়া বেহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম!!
চলবে...
৮. মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, স্রষ্টা ও সৃষ্টিতত্ত্ব (ঢাকা : ইফাবা ১ম প্রকাশ ২০০৩) ৪২১ পৃ.।