কুরআন ও সুন্নাহর দলীল থেকে যেটা স্পষ্ট হয় তা হচ্ছে, কারিন জ্বীন মানুষটিকে কেবল কুমন্ত্রণা দেয়, পথভ্রষ্ট করে, অশ্লীল ও গর্হিত কাজের নির্দেশ দেয় এবং সৎকাজ থেকে বাধা প্রদান করে। এ ছাড়া সে মানুষের আর কোন ক্ষতি করতে পারে না। তার থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে, সকাল-সন্ধ্যায় সূরা আল-ইখলাছ, আল-ফালাক্ব, আন-নাস, আয়াতুল কুরসী এবং সূরা আল-বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা। সকাল-সন্ধ্যার দু‘আগুলোর প্রতি যত্মবান হওয়া এবং বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা। সর্বোপরি আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় চেয়ে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করতে হবে। এ ব্যাপারে সর্বোত্তম দু‘আ হচ্ছে (আল্লাহ তা‘আলা বলেন),
رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ ہَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ - وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ
‘হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে; হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট ওদের (শয়তানদের) উপস্থিতি হতে’ (সূরা আল-মুমিনুন : ৯৭-৯৮)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।