মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ - (৩)

Joynal Bin TofajjalVerified member

Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
344
Comments
475
Reactions
5,344

মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ - (৩)

-আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম


৪. মুখের আমল : যেসব আমল মুখ দ্বারা সম্পন্ন হয় বা যেসব আমল মুখ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা সম্পন্ন করা যায় না, সেগুলো মুখের আমলের অন্তর্ভুক্ত। যেমন, কুরআন তেলাওয়াত, দু‘আ-ইসতিগফার, যিকর-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّ عَلَانِیَۃً یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ

‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, ছালাত ক্বায়েম করে এবং আমরা তাদেরকে যে রিযিক্ব দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যাতে কখনই লোকসান হবে না’ (সূরা ফাত্বির : ২৯)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ اصۡبِرۡ نَفۡسَکَ مَعَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَدٰوۃِ وَ الۡعَشِیِّ یُرِیۡدُوۡنَ وَجۡہَہٗ وَ لَا تَعۡدُ عَیۡنٰکَ عَنۡہُمۡ ۚ تُرِیۡدُ زِیۡنَۃَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَ لَا تُطِعۡ مَنۡ اَغۡفَلۡنَا قَلۡبَہٗ عَنۡ ذِکۡرِنَا وَ اتَّبَعَ ہَوٰىہُ وَ کَانَ اَمۡرُہٗ فُرُطًا

‘আর আপনি নিজেকে ধৈর্যশীল রাখুন তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে। আপনার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ঐ ব্যক্তির আনুগত্য করবেন না, যার অন্তরকে আমরা আমাদের যিকির থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে’ (সূরা আল-কাহ্ফ : ২৮)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا-وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

‘হে মুমিনগণ! তোমরা অধিক পরিমাণ আল্লাহর যিকর কর। আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা (তাসবীহ) ঘোষণা কর’ (সূরা আল-আহযাব : ৪১-৪২)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِنَ وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُوْنَ وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ

‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পরে ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ এবং ১০০ পূর্ণ করতে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্্দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর’ পড়ে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়- যদিও সেগুলো সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়’।[১]

শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাইয়েদুল ইস্তেগফার বা ‘ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ দু‘আ হল- তোমার এরূপ বলা-

اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لَاۤ إِلٰہَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰی عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ

‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা, আমি আমার সাধ্যানুযায়ী আপনার চুক্তি ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার কৃতকর্মের মন্দ পরিণাম হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার প্রতি আপনার অনুগ্রহকে আমি স্বীকার করি এবং আমার অপরাধকে স্বীকার করি। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা আপনি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি এ দু‘আর প্রতি বিশ্বাস রেখে দিনে বলবে আর সন্ধ্যার আগে মারা যাবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে আন্তরিক বিশ্বাস করে রাতে বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।[২]

৫. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল : যেসব আমল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা সম্পন্ন হয় বা যেসব আমল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা সম্পন্ন করা যায় না, সেগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলের অন্তর্ভুক্ত। যেমন : রুকূ করা, সিজদা করা, হজ্জ-ওমরাহ করা, জিহাদ করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ارۡکَعُوۡا وَ اسۡجُدُوۡا وَ اعۡبُدُوۡا رَبَّکُمۡ وَ افۡعَلُوا الۡخَیۡرَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ - وَ جَاہِدُوۡا فِی اللّٰہِ حَقَّ جِہَادِہٖ

‘হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদত কর এবং ভালো কাজ কর; আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হতে পারবে। আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর, যেভাবে জিহাদ করা উচিত’ (সূরা আল-হাজ্জ : ৭৭-৭৮)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ ہَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَہُمُ الۡجٰہِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا - وَ الَّذِیۡنَ یَبِیۡتُوۡنَ لِرَبِّہِمۡ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا

‘আর-রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা বলে ‘সালাম’। আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দণ্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ৬৩-৬৪)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَتِمُّوا الۡحَجَّ وَالۡعُمۡرَۃَ لِلّٰہِ ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও ওমরাহ যথাযথভাবে সম্পূর্ণ কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৯৬)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ کَانَتۡ لَہُمۡ جَنّٰتُ الۡفِرۡدَوۡسِ نُزُلًا ‘নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের অভ্যর্থনার জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস’ (সূরা আল-কাহ্ফ ১০৭)।

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

اَلْإِيْمَانُ بِضْعٌ وَّسَبْعُوْنَ أَوْ بِضْعٌ وَسِتُّوْنَ شُعْبَةً فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيْقِ

‘ঈমানের সত্তরের অধিক অথবা ষাটের অধিক শাখা রয়েছে। এর সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে, ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই’ বলা এবং সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে, ‘রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা’।[৩]

অতএব ‘ঈমান হল স্বীকারোক্তি ও আমলের নাম। অন্তরের স্বীকৃতি, মুখের স্বীকৃতি, অন্তরের আমল, মুখের আমল এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল’।[৪] যেমন-ছালাত। কেউ অন্তরে বিশ্বাস করল যে, ছালাত আদায় করা ফরয ইবাদত। কারণ এটা আল্লাহ তা‘আলা আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। কিন্তু বিশ্বাসকারী মৌখিক স্বীকৃতি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে আমলে বাস্তবায়ন করল না। তাহলে সে কি ঈমানদার হতে পারবে? কখনোই না। আবার মৌখিক স্বীকৃতি দিল এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে আমলও করল। কিন্তু এটা আল্লাহর বিধান বলে অন্তরে স্বীকৃতি দিল না। সেও কি ঈমানদার হতে পারবে? অবশ্যই না। আবার কেউ আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য যোহরের ছালাতে দাঁড়াল। কিন্তু অন্তরে আছরের ছালাতের নিয়ত করল। অন্তরের স্বীকৃতি, মুখের স্বীকৃতি, মুখের আমল এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলও করল। কিন্তু অন্তরের আমল তথা নিয়ত করল আছরের। তাহলে কি তার ছালাত পূর্ণ হবে? অবশ্যই না। অথবা যোহরের ছালাতেরই নিয়ত করল, মুখের আমল করল। কিন্তু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল তথা রুকূ, সিজদা, বৈঠক করল না। তাহলে কি ছালাত পরিপূর্ণ হবে? না, হবে না। ইমাম আজুর্রী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

أَنَّ الْإِيْمَانَ تَصْدِيْقٌ بِالْقَلْبِ وَإِقْرَارٌ بِاللِّسَانِ وَعَمَلٌ بِالْجَوَارِحِ لَا يَكُوْنُ مُؤْمِنًا إِلَّا أَنْ تَجْتَمِعَ فِيْهِ هَذِهِ الْخِصَالُ الثَّلَاثُ

‘ঈমান অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা কাজের নাম। কেউ ততক্ষণ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না তার মধ্যে এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটবে’।[৫] এরপর তিনি বলেন,

ثُمَّ اعْلَمُوْا أَنَّهُ لَا تُجْزِئُ الْمَعْرِفَةُ بِالْقَلْبِ وَالتَّصْدِيْق إِلَّا أَنْ يَكُوْنَ مَعَهُ الْإِيْمَانُ بِاللِّسَانِ نُطْقًا وَلَا تُجْزِيءُ مَعْرِفَةٌ بِالْقَلْبِ، وَنُطْقٌ بِاللِّسَانِ، حَتَّى يَكُوْنَ عَمَلٌ بِالْجَوَارِحِ، فَإِذَا كَمُلَتْ فِيْهِ هَذِهِ الثَّلَاثُ الْخِصَالِ كَانَ مُؤْمِنًا دَلَّ عَلَى ذَلِكَ الْقُرْآنُ، وَالسُّنَّةُ، وَقَوْلُ عُلَمَاءُ الْمُسْلِمِيْنَ

‘অতঃপর জেনে রাখুন, শুধু অন্তরের বিশ্বাস যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ না এর সাথে মৌখিক স্বীকৃতি থাকবে। অনুরূপভাবে অন্তরের বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ না এর সাথে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল থাকবে। অতএব কোন ব্যক্তির মাঝে এই তিনটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলে সে-ই ‘মুমিন’ হিসাবে গণ্য হবে। কুরআন, হাদীছ এবং ওলামায়ে মুসলিমীনের বক্তব্য একথারই প্রমাণ বহন করে’।[৬]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬; মিশকাত, হা/৯৬৭।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৬১৭; নাসাঈ, হা/৫৫২২; মিশকাত, হা/২৩৩৫।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫; আবূ দাঊদ, হা/৪৬৭৬; ইবনু মাজাহ, হা/৫৭; নাসাঈ, হা/৫০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩৫০; শব্দ ছহীহ মুসলিমের।
[৪]. ইবনু তাইমিয়াহ, আক্বীদাহ আল-ওয়াসিত্বিয়া, পৃ. ২৪; ইবনু তাইমিয়াহ, ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৪১; ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৫১; ছালিহ আল-ফাওযান আল-ফাওযান, শারহুল আক্বীদাহ আল-ওয়াসিত্বিয়া, পৃ. ১৩৪।
[৫]. আবূ বকর আল-আজুর্রী, আশ-শারী‘আহ (রিয়াদ : দারুল ওয়াত্বান, ২য় প্রকাশ, ১৪২০ হি./১৯৯৯ খৃ.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৬১১; উছূলুদ দ্বীন ঈনদাল ইমাম আবী হানীফা, পৃ. ৩৮৭।
[৬]. আশ-শারী‘আহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬১১; উছূলুদ দ্বীন ঈনদাল ইমাম আবী হানীফা, পৃ. ৩৮৭।
 
Last edited:
Similar threads Most view View more
Back
Top