If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ফরযে আইন বা প্রত্যেকের জন্য যেসব জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশ্যক
দ্বীনের যেসকল জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন তথা সকল মহিলার ওপর ফরয, তার কিছু বর্ণনা আমরা ইতঃপূর্বে দিয়েছি। মহিলারা তাদের প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেসব ফরয জ্ঞান অর্জন করবে এবং যা জানা আবশ্যক তা জানবে।
যেসব জ্ঞান ফরযে আইন বা প্রত্যেক মহিলার ওপর অর্জন করা অত্যাবশ্যক তা হলো, পবিত্রতা অর্জন, হায়েয ও অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ফরয গোসল, অজু, তায়াম্মুম, অজু ভঙ্গের কারণ, তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা।
অনুরূপভাবে সালাত, সালাত আদায়ের পদ্ধতি, সালাতের সময়, ফরয সালাত-পরবর্তী সুন্নাত এবং সফর ও মুকিম অবস্থার সালাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করাও ফরযে আইন।
একইভাবে ফরযে আইনের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, সিয়াম, সিয়ামের বিধান, ফরয ও নফল সিয়াম, কখন সিয়াম বর্জন করা আবশ্যক, কখন কাযা আদায় করতে হয়, সিয়াম ভঙ্গের কাফফারা এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসআলা-মাসাইলের জ্ঞান।
অনুরূপভাবে সম্পদ থাকলে যাকাত, যাকাত বের করার শর্ত, পদ্ধতি, কাকে যাকাত দিতে হবে ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞানও সকলের থাকা অত্যাবশ্যক।
হজ্জ সম্পাদন করার মতো সম্পদ থাকলে হজ্জের বিষয়াদি সম্পর্কে জানবে। এ জ্ঞান অর্জন করাও অত্যাবশ্যক।
আকীদা বিষয়ক যেসব জ্ঞানার্জন করা ফরযে আইন তা নিয়ে সামনে আলোচনা করা হবে। তাই এখানে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।
স্বামীর অধিকার, স্বামীর ওপর স্ত্রীর অধিকার, কোনো পাপ কর্মের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বামীকে মান্য করা, তার বিনা অনুমতিতে কোনো কিছু খরচ না করা, তার উপস্থিতিতে নফল সিয়াম পালন না করা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সন্তানদের কীভাবে সৎ-নিষ্ঠাবান করে গড়ে তোলা যায়, উত্তম আদর্শ শেখানো যায়, তা ভালোভাবে জানতে হবে।
ফরযে কিফায়া[1] জ্ঞান
ফরযে কিফায়া জ্ঞান হলো, অতীব জরুরি নয় ফিকহের এমনসব বিষয়ের জ্ঞান, আকীদা বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জ্ঞান, ফিকহের মূলনীতি শাস্ত্রের জ্ঞান, তাফসীর শাস্ত্রের জ্ঞান, হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান, হাদীস বর্ণনার নীতিশাস্ত্রের জ্ঞান। এ ছাড়া যেসব জ্ঞান তাদের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নয় সেসব জ্ঞান অর্জন তাদের ওপর ওয়াজিব নয়। তবে কেউ যদি এমন জ্ঞান অর্জন করে, তাহলে এ জন্য সে নেকি পাবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, এসব অর্জন করতে গিয়ে কোনো ফরয বিধান লঙ্ঘন করা যাবে না, যেমন—স্বামীর অধিকার ক্ষুণ্ণ করে শিক্ষালাভে সময় ব্যয় করা অথবা স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বের হওয়া অথবা এসব অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জন করার জন্য বাইরে বের হলে কোনো ফিতনা কিংবা বড়ো কোনো বিপদের সম্ভাবনা থাকা।
তবে হ্যাঁ, মুসলিম নারীদের মাঝে অনেক সংখ্যক আলিমা ছিলেন। যেমন:
* উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দীকা বিনতে আবূ বাকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহুমা। শুধু তিনিই নন, বরং রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল স্ত্রী আলিমা ছিলেন।
* তাবিয়ীদের মাঝে ছিলেন আমরাহ বিনত আবদুর রহমান রাহিমাহাল্লাহ। তিনি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।
* একইভাবে মুআযা আল-আদাবিয়্যা।
* তাবিয়ী-যুগ পরবর্তীদের মাঝে ছিলেন ফাতিমা আল-জাওযদানিয়্যা। তিনি ছিলেন তৎকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসা ও হাফিযা।
* আজিবা আল-বাকদারিয়্যা। তার মাধ্যমে এমন কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা তার যুগে কেবল তিনি একাই বর্ণনা করতেন। এমন সৌভাগ্য অনেক পুরুষ মুহাদ্দিসের কপালেও জুটেনি।[2]
[1] ফরযে কিফায়াহ বলতে বোঝায়, যা পালন করা প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয় বরং কিছু লোক তা পালন করলে সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যায় কিন্তু কেউ পালন না করলে সবাই গুনাহগার হবে। যেমন, কেউ মারা গেলে তার জানাযা পড়া প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং কিছু লোক তার জানাযা পড়লে সবাই সবার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে, সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ না পড়লে এলাকার সবাই গুনাহগার হবে।—সম্পাদক
[2] সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১৯/১১৭৪, ২৩/২৩২
দ্বীনের যেসকল জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন তথা সকল মহিলার ওপর ফরয, তার কিছু বর্ণনা আমরা ইতঃপূর্বে দিয়েছি। মহিলারা তাদের প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেসব ফরয জ্ঞান অর্জন করবে এবং যা জানা আবশ্যক তা জানবে।
যেসব জ্ঞান ফরযে আইন বা প্রত্যেক মহিলার ওপর অর্জন করা অত্যাবশ্যক তা হলো, পবিত্রতা অর্জন, হায়েয ও অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ফরয গোসল, অজু, তায়াম্মুম, অজু ভঙ্গের কারণ, তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা।
অনুরূপভাবে সালাত, সালাত আদায়ের পদ্ধতি, সালাতের সময়, ফরয সালাত-পরবর্তী সুন্নাত এবং সফর ও মুকিম অবস্থার সালাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করাও ফরযে আইন।
একইভাবে ফরযে আইনের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, সিয়াম, সিয়ামের বিধান, ফরয ও নফল সিয়াম, কখন সিয়াম বর্জন করা আবশ্যক, কখন কাযা আদায় করতে হয়, সিয়াম ভঙ্গের কাফফারা এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসআলা-মাসাইলের জ্ঞান।
অনুরূপভাবে সম্পদ থাকলে যাকাত, যাকাত বের করার শর্ত, পদ্ধতি, কাকে যাকাত দিতে হবে ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞানও সকলের থাকা অত্যাবশ্যক।
হজ্জ সম্পাদন করার মতো সম্পদ থাকলে হজ্জের বিষয়াদি সম্পর্কে জানবে। এ জ্ঞান অর্জন করাও অত্যাবশ্যক।
আকীদা বিষয়ক যেসব জ্ঞানার্জন করা ফরযে আইন তা নিয়ে সামনে আলোচনা করা হবে। তাই এখানে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।
স্বামীর অধিকার, স্বামীর ওপর স্ত্রীর অধিকার, কোনো পাপ কর্মের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বামীকে মান্য করা, তার বিনা অনুমতিতে কোনো কিছু খরচ না করা, তার উপস্থিতিতে নফল সিয়াম পালন না করা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সন্তানদের কীভাবে সৎ-নিষ্ঠাবান করে গড়ে তোলা যায়, উত্তম আদর্শ শেখানো যায়, তা ভালোভাবে জানতে হবে।
ফরযে কিফায়া[1] জ্ঞান
ফরযে কিফায়া জ্ঞান হলো, অতীব জরুরি নয় ফিকহের এমনসব বিষয়ের জ্ঞান, আকীদা বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জ্ঞান, ফিকহের মূলনীতি শাস্ত্রের জ্ঞান, তাফসীর শাস্ত্রের জ্ঞান, হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান, হাদীস বর্ণনার নীতিশাস্ত্রের জ্ঞান। এ ছাড়া যেসব জ্ঞান তাদের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নয় সেসব জ্ঞান অর্জন তাদের ওপর ওয়াজিব নয়। তবে কেউ যদি এমন জ্ঞান অর্জন করে, তাহলে এ জন্য সে নেকি পাবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, এসব অর্জন করতে গিয়ে কোনো ফরয বিধান লঙ্ঘন করা যাবে না, যেমন—স্বামীর অধিকার ক্ষুণ্ণ করে শিক্ষালাভে সময় ব্যয় করা অথবা স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বের হওয়া অথবা এসব অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জন করার জন্য বাইরে বের হলে কোনো ফিতনা কিংবা বড়ো কোনো বিপদের সম্ভাবনা থাকা।
তবে হ্যাঁ, মুসলিম নারীদের মাঝে অনেক সংখ্যক আলিমা ছিলেন। যেমন:
* উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দীকা বিনতে আবূ বাকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহুমা। শুধু তিনিই নন, বরং রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল স্ত্রী আলিমা ছিলেন।
* তাবিয়ীদের মাঝে ছিলেন আমরাহ বিনত আবদুর রহমান রাহিমাহাল্লাহ। তিনি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।
* একইভাবে মুআযা আল-আদাবিয়্যা।
* তাবিয়ী-যুগ পরবর্তীদের মাঝে ছিলেন ফাতিমা আল-জাওযদানিয়্যা। তিনি ছিলেন তৎকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসা ও হাফিযা।
* আজিবা আল-বাকদারিয়্যা। তার মাধ্যমে এমন কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা তার যুগে কেবল তিনি একাই বর্ণনা করতেন। এমন সৌভাগ্য অনেক পুরুষ মুহাদ্দিসের কপালেও জুটেনি।[2]
মুসলিম নারীর পূর্ণাঙ্গ মাসাইল
• মূল: আল্লামা মুহাদ্দিস আমর আবদুল মুনঈম সালিম
• অনুবাদ ও সম্পাদনা : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
• মূল: আল্লামা মুহাদ্দিস আমর আবদুল মুনঈম সালিম
• অনুবাদ ও সম্পাদনা : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
[1] ফরযে কিফায়াহ বলতে বোঝায়, যা পালন করা প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয় বরং কিছু লোক তা পালন করলে সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যায় কিন্তু কেউ পালন না করলে সবাই গুনাহগার হবে। যেমন, কেউ মারা গেলে তার জানাযা পড়া প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং কিছু লোক তার জানাযা পড়লে সবাই সবার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে, সবাই গুনাহ মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ না পড়লে এলাকার সবাই গুনাহগার হবে।—সম্পাদক
[2] সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১৯/১১৭৪, ২৩/২৩২