উত্তর: অনভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করলে যদি আশঙ্কা থাকে যে, সে হয়তো রোগীর কোন ক্ষতি করে ফেলবে বা রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা হবে না এবং এর বিকল্প কোন অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে কোন অভিজ্ঞ পুরুষ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করা জায়েজ আছে ইনশাআল্লাহ। কারণ এটা অপারগ অবস্থা।
তবে চিকিৎসা গ্রহণের সময় তার সাথে স্বামী বা কোন মাহরাম পুরুষ থাকবে। মহিলা রোগীকে নি:সঙ্গভাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে আলাদা কক্ষে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না। কেননা এতে ফেতনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত: ইসলামের দৃষ্টিতে কোন পুরুষের সাথে কোন পরনারীর নির্জনে থাকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«ألا لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ»
“সাবধান! কোন পুরুষ কোনও মহিলার সাথে একান্তে নির্জনে গেলেই তাদের সাথে তৃতীয় জন হবে শয়তান।” (সহিহুল জামে ২৫৪৬-আলবানী)
তিনি আরও বলেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জন না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে।” (সহিহুত তারগীব: ১৯০৯-আলবানী)
মোটকথা, একান্ত জরুরি অবস্থা না হলে পর পুরুষ ডাক্তারের নিকট কোন মুসলিম মহিলার জন্য এমন চিকিৎসা করা বৈধ নয়, যেই চিকিৎসা করার জন্য পর্দা লঙ্ঘিত হয়।
আল্লাহু আলাম
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
তবে চিকিৎসা গ্রহণের সময় তার সাথে স্বামী বা কোন মাহরাম পুরুষ থাকবে। মহিলা রোগীকে নি:সঙ্গভাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে আলাদা কক্ষে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না। কেননা এতে ফেতনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত: ইসলামের দৃষ্টিতে কোন পুরুষের সাথে কোন পরনারীর নির্জনে থাকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«ألا لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ»
“সাবধান! কোন পুরুষ কোনও মহিলার সাথে একান্তে নির্জনে গেলেই তাদের সাথে তৃতীয় জন হবে শয়তান।” (সহিহুল জামে ২৫৪৬-আলবানী)
তিনি আরও বলেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জন না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে।” (সহিহুত তারগীব: ১৯০৯-আলবানী)
মোটকথা, একান্ত জরুরি অবস্থা না হলে পর পুরুষ ডাক্তারের নিকট কোন মুসলিম মহিলার জন্য এমন চিকিৎসা করা বৈধ নয়, যেই চিকিৎসা করার জন্য পর্দা লঙ্ঘিত হয়।
আল্লাহু আলাম
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Last edited by a moderator: