- Views: 39
- Replies: 2
মসজিদ কেন্দ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।
আব্দুর রাকিব নাদভী
সহ সভাপতি জেলা জমিয়তে আহলে হাদীস উত্তর দিনাজপুর।
শিক্ষা সমাজের মেরুদন্ড। শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া মানুষ অন্ধ।পৃথিবীর কোনায় কোনায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া বর্তমান যুগের আবশ্যিক করণীয়। পৃথিবীর সকল ধর্মের শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, যার প্রথম আদেশই হচ্ছে শিক্ষা ও বিদ্যা সম্পর্কে। বিশ্ব সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
اقرَأ بِاسمِ رَبِّكَ الَّذى خَلَقَ،خَلَقَ الإِنسٰنَ مِن عَلَقٍ،اقرَأ وَرَبُّكَ الأَكرَمُ،الَّذى عَلَّمَ بِالقَلَمِ،عَلَّمَ الإِنسٰنَ ما لَم يَعلَم
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু,যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (সুরা আলাক আয়াত নং ১-৫)
ভারত বর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা খুব সচনীয়। আজকে শিক্ষা ব্যাবসায় পরিনত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক ধরনের ব্যবসার কেন্দ্র। শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের চেয়ে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে। লজ্জাজনক ও দুঃখের বিষয় যে জাতির ধর্ম গ্রন্থে সর্ব প্রথম আদেশ হল শিক্ষা, আজ সেই জাতি বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের চেয়ে পিছিয়ে। বিশেষ করে ধর্মীয় চেতনা মুসলিমদের মধ্য থেকে ক্রমে ক্রমে দূর হতে চলেছে। আজ মুসলিম জাতি পার্থিব শিক্ষার সাথে সাথে ধর্মীয় শিক্ষা ক্ষেত্রেও অবহেলিত। আজ প্রয়োজন রয়েছে মসজিদ কেন্দ্রীক ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করা। নচিৎ দ্বীনি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অনিহা ও অবহেলা সৃষ্টি হয়েছে, তা নতুন প্রজন্মকে ধর্মের ব্যাপারে ধ্বংস করবে। মুসলিম দায়িত্বশীলদের এই বিষয়ে বিশেষ আকারে ভাবা দরকার। মসজিদ শুধু এবাদতের কেন্দ্র নয়, ইসলামী সমাজের সকল কর্ম পরিচালিত হবে মসজিদ থেকে। শিক্ষা থেকে বিবাহ, বিচার ব্যবস্থা ও সকল সামাজিক কর্মকাণ্ড। বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মসজিদ ছিল ইসলামের সকল কর্মের কেন্দ্রস্থল। মসজিদ ছিল এবাদতের জায়গা, শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র, আদালত, যুদ্ধ প্রশিক্ষণ স্থান, মিটিং হল, বিবাহ ও বিচার কেন্দ্র ইত্যাদি। মুসলিম সমাজের মসজিদ ব্যাবস্থা যদি শক্তিশালী হয়ে যায়, তবে সমাজ সংস্কারক অনিবার্য। একটি মসজিদ একটি ইউনিভার্সিটির চেয়ে বড় কার্যকর, সমাজ সংস্কারক ও উন্নতির বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের উচিত মসজিদ কেন্দ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করা। আর মসজিদ থেকেই সমাজ পরিচালনা করা। সমাজের প্রত্যেকটি মসজিদে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। বিশেষ করে যারা মসজিদের দায়িত্বশীল এই বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য তাদের নিকট অনুরোধ থাকলো। মসজিদ দায়িত্বশীলের অর্থ এই নয় যে, তারা শুধু নির্মাণের দায়িত্বশীল। মসজিদের দায়িত্বশীল সঠিক অর্থে সমাজের দায়িত্বশীল, দায়িত্বশীলদের উচিত নিজ দায়িত্ব পালন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ـ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ ـ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي مَالِ أَبِيهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ".
তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) জিজ্ঞাস করা হবে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাঁকে তাঁর অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবার বর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। নারী তার স্বামী-গৃহের কর্ত্রী, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। খাদিম তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইব্নু ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয়, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ পুত্র তার পিতার ধন-সম্পদের রক্ষক এবং এগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং সবাইকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। (সহীহ আল বুখারী হাদীস নং ৮৯৩)।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকলকে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকে, সঠিক আকারে দায়িত্ব পালন করার তৌফিক দান কর। আমীন।
আব্দুর রাকিব নাদভী
সহ সভাপতি জেলা জমিয়তে আহলে হাদীস উত্তর দিনাজপুর।
শিক্ষা সমাজের মেরুদন্ড। শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া মানুষ অন্ধ।পৃথিবীর কোনায় কোনায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া বর্তমান যুগের আবশ্যিক করণীয়। পৃথিবীর সকল ধর্মের শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, যার প্রথম আদেশই হচ্ছে শিক্ষা ও বিদ্যা সম্পর্কে। বিশ্ব সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
اقرَأ بِاسمِ رَبِّكَ الَّذى خَلَقَ،خَلَقَ الإِنسٰنَ مِن عَلَقٍ،اقرَأ وَرَبُّكَ الأَكرَمُ،الَّذى عَلَّمَ بِالقَلَمِ،عَلَّمَ الإِنسٰنَ ما لَم يَعلَم
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু,যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (সুরা আলাক আয়াত নং ১-৫)
ভারত বর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা খুব সচনীয়। আজকে শিক্ষা ব্যাবসায় পরিনত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক ধরনের ব্যবসার কেন্দ্র। শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের চেয়ে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে। লজ্জাজনক ও দুঃখের বিষয় যে জাতির ধর্ম গ্রন্থে সর্ব প্রথম আদেশ হল শিক্ষা, আজ সেই জাতি বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের চেয়ে পিছিয়ে। বিশেষ করে ধর্মীয় চেতনা মুসলিমদের মধ্য থেকে ক্রমে ক্রমে দূর হতে চলেছে। আজ মুসলিম জাতি পার্থিব শিক্ষার সাথে সাথে ধর্মীয় শিক্ষা ক্ষেত্রেও অবহেলিত। আজ প্রয়োজন রয়েছে মসজিদ কেন্দ্রীক ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করা। নচিৎ দ্বীনি শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অনিহা ও অবহেলা সৃষ্টি হয়েছে, তা নতুন প্রজন্মকে ধর্মের ব্যাপারে ধ্বংস করবে। মুসলিম দায়িত্বশীলদের এই বিষয়ে বিশেষ আকারে ভাবা দরকার। মসজিদ শুধু এবাদতের কেন্দ্র নয়, ইসলামী সমাজের সকল কর্ম পরিচালিত হবে মসজিদ থেকে। শিক্ষা থেকে বিবাহ, বিচার ব্যবস্থা ও সকল সামাজিক কর্মকাণ্ড। বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মসজিদ ছিল ইসলামের সকল কর্মের কেন্দ্রস্থল। মসজিদ ছিল এবাদতের জায়গা, শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র, আদালত, যুদ্ধ প্রশিক্ষণ স্থান, মিটিং হল, বিবাহ ও বিচার কেন্দ্র ইত্যাদি। মুসলিম সমাজের মসজিদ ব্যাবস্থা যদি শক্তিশালী হয়ে যায়, তবে সমাজ সংস্কারক অনিবার্য। একটি মসজিদ একটি ইউনিভার্সিটির চেয়ে বড় কার্যকর, সমাজ সংস্কারক ও উন্নতির বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের উচিত মসজিদ কেন্দ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করা। আর মসজিদ থেকেই সমাজ পরিচালনা করা। সমাজের প্রত্যেকটি মসজিদে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। বিশেষ করে যারা মসজিদের দায়িত্বশীল এই বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য তাদের নিকট অনুরোধ থাকলো। মসজিদ দায়িত্বশীলের অর্থ এই নয় যে, তারা শুধু নির্মাণের দায়িত্বশীল। মসজিদের দায়িত্বশীল সঠিক অর্থে সমাজের দায়িত্বশীল, দায়িত্বশীলদের উচিত নিজ দায়িত্ব পালন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ـ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ ـ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي مَالِ أَبِيهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ".
তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) জিজ্ঞাস করা হবে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাঁকে তাঁর অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবার বর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। নারী তার স্বামী-গৃহের কর্ত্রী, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। খাদিম তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইব্নু ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয়, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ পুত্র তার পিতার ধন-সম্পদের রক্ষক এবং এগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং সবাইকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। (সহীহ আল বুখারী হাদীস নং ৮৯৩)।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকলকে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকে, সঠিক আকারে দায়িত্ব পালন করার তৌফিক দান কর। আমীন।