এক প্রশ্নোত্তর পর্বে শায়খ বিন বাযকে জিজ্ঞেস করা হয়- বেসিনে গরম পানি ঢাললে কি জীনদের সমস্যা হয়?
উত্তরে বিন বায (রহ:) বলেন- "হ্যাঁ, বেসিনে কিংবা মাটিতে গরম পানি ফেলার আগে যেন 'বিসমিল্লাহ' পড়ি। এতে করে সেখানে কোনো বসবাসকারী থেকে থাকলে তারা সরে যাবে। আমি একবার এক আছরগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছিলাম, তার ওপর সওয়ার হওয়া জ্বীনের কাছে জানতে চাওয়া হলো- কেন তুমি একে কষ্ট দিচ্ছো? জ্বীন জানালো- সে গরম পানি ঢেলে বেসিনের পাইপে থাকা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে তাই। আমরা বললাম- সে তো জানতো না, সেখানে কেউ ছিল। জ্বীন বললো- সে কেন 'বিসমিল্লাহ' পড়েনি? (বিসমিল্লাহ) পড়লে আমরা সতর্ক হয়ে স্থানান্তর হয়ে যেতে পারি।"
(ফতোয়ায়ে বিন বায)
তাই বেসিনে বা অন্য কোথাও গরম পানি ঢালার আগে অবশ্যই উচ্চ শব্দে 'বিসমিল্লাহ' পড়ে নিন।
তবে শায়েখআব্দুল্লাহিলহাদী নিম্নটুকু সংজোযন করেছনে।
"শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন তা ঠিক।
কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন যে, হাদিসে কেবল গরম পানি ফেলার ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ পাঠ করার কথা আলাদাভাবে আসেনি।বরং যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠের কথা এসেছে।
আর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, টয়লেটে প্রবেশ করার সময় যদি কেউ বিসমিল্লাহ (অত:পর টয়লেটে প্রবেশের দুআ) বলে প্রবেশ করে তাহলে সেখান থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে, বিসমিল্লাহ শয়তানকে বিতাড়িত করে।
সে হিসেবে বলা যায়, গরম পানি ফেলার আগেও যদি বিসমিল্লাহ বলা হয় তাহলে সেখানে শয়তান থাকলে পলায়ন করবে। অন্যথায় গরম পানি পড়ে শয়তান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে মানুষের ক্ষতি করতে পারে।"
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তরে বিন বায (রহ:) বলেন- "হ্যাঁ, বেসিনে কিংবা মাটিতে গরম পানি ফেলার আগে যেন 'বিসমিল্লাহ' পড়ি। এতে করে সেখানে কোনো বসবাসকারী থেকে থাকলে তারা সরে যাবে। আমি একবার এক আছরগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছিলাম, তার ওপর সওয়ার হওয়া জ্বীনের কাছে জানতে চাওয়া হলো- কেন তুমি একে কষ্ট দিচ্ছো? জ্বীন জানালো- সে গরম পানি ঢেলে বেসিনের পাইপে থাকা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে তাই। আমরা বললাম- সে তো জানতো না, সেখানে কেউ ছিল। জ্বীন বললো- সে কেন 'বিসমিল্লাহ' পড়েনি? (বিসমিল্লাহ) পড়লে আমরা সতর্ক হয়ে স্থানান্তর হয়ে যেতে পারি।"
(ফতোয়ায়ে বিন বায)
তাই বেসিনে বা অন্য কোথাও গরম পানি ঢালার আগে অবশ্যই উচ্চ শব্দে 'বিসমিল্লাহ' পড়ে নিন।
তবে শায়েখআব্দুল্লাহিলহাদী নিম্নটুকু সংজোযন করেছনে।
"শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন তা ঠিক।
কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন যে, হাদিসে কেবল গরম পানি ফেলার ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ পাঠ করার কথা আলাদাভাবে আসেনি।বরং যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠের কথা এসেছে।
আর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, টয়লেটে প্রবেশ করার সময় যদি কেউ বিসমিল্লাহ (অত:পর টয়লেটে প্রবেশের দুআ) বলে প্রবেশ করে তাহলে সেখান থেকে শয়তান পালিয়ে যায়।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে, বিসমিল্লাহ শয়তানকে বিতাড়িত করে।
সে হিসেবে বলা যায়, গরম পানি ফেলার আগেও যদি বিসমিল্লাহ বলা হয় তাহলে সেখানে শয়তান থাকলে পলায়ন করবে। অন্যথায় গরম পানি পড়ে শয়তান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে মানুষের ক্ষতি করতে পারে।"
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল