১। সহীহ আক্বীদা গ্রহণের জন্য কুরআন ও সুনড়বাহর দিকে ফিরে আসা: যেমন সালফে সালিহীনগণ এ দু’স্থান হতে তাদের আক্বীদা গ্রহণ করতেন। এ উম্মাতের প্রথম যুগের লোকেরা যা দিয়ে কল্যাণ লাভ করেছেন তা ব্যতীত শেষ যুগের লোকদেরও কল্যাণ লাভ হতে পারে না। সে সাথে পদস্খলিত দলসমূহের আক্বীদা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে। প্রতিবাদ ও পদস্খলন থেকে বাঁচার জন্য এসকল দলের সংশয়গুলো জানতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি মন্দ সম্পর্কে জানে না সে ব্যক্তি মন্দের শিকার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
২। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সহীহ আক্বীদা তথা সালফে সালিহীনগণের আক্বীদা শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি শ্রেণীতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আক্বীদার পাঠদান রাখতে হবে। পরীক্ষার সময়েও এ বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
৩। পাঠ্যসূচি নির্ধারণ: নির্ভরযোগ্য সালাফী আলিমগণের বিশুদ্ধ কিতাবগুলোকে পাঠ্যসূচি হিসাবে গ্রহণ করা। আর সূফী, বিদ‘আতী,
জাহমিয়া, মু'তাযিলা, আশা‘ইরা,
মাতুরিদীয়্যাহ ও অন্যান্য পদস্খলিত দলসমূহের কিতাবাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে তাদের কিতাবসমূহে যে বাতিল আক্বীদা ও আমল রয়েছে তা জেনে তার প্রতিবাদ করা ও তা থেকে বেঁচে থাকার জন্য এ সকল বাতিলপন্থীদের কিতাবাদি পড়াতে কোন অসুবিধা নেই।
৪। দাঈ (আল্লাহর পথে আহব্বানকারী) নিয়োগ: কিছু ন্যায়পরায়ণ দাঈগণকে মানুষের সামনে সালাফগণের আক্বীদা তুলে ধরার জন্য কাজ করতে হবে। সে সাথে তারা সহীহ আক্বীদা হতে বিচ্যুত দলগুলোর ভ্রষ্টতাকে দূর করবেন।