বিলম্বে যাকাত প্রদানের বিধান:
মৌলিকভাবে যাকাত আদায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করার অনুমতি নেই। তবে যদি অধিক কল্যাণের জন্য কিছুটা বিলম্ব করার প্রয়োজন হয় কিংবা যাকাত পাওয়ার অধিক হকদার ব্যক্তিকে যাকাত দিতে কিছুটা বিলম্ব হয় অথবা নিজ এলাকায় যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত কেউ না থাকায় অন্য এলাকায় পৌঁছে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়, সেক্ষেত্রে যাকাত আদায়ে কিছুটা বিলম্ব করার অনুমতি রয়েছে। অতএব অধিক কল্যাণ, প্রয়োজন কিংবা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্বে যাকাত দেওয়া জায়েয। এটা শাফে'ঈ ও হাম্বলী মযহাবের ফকীহদের অভিমত এবং এ অভিমতকে গ্রহণ করেছেন আবূ ‘উবায়েদ আল-কাসিম ইবন সাল্লাম ও শাইখ উসাইমীন। তারা শর্তসাপেক্ষে যাকাত
আদায়ে বিলম্ব করা জায়েয হওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যে,
১. যেহেতু সাধারণ ঋণ কিছুটা বিলম্বে পরিশোধ করা জায়েয, সেহেতু যাকাত আদায়ে বিলম্ব করার প্রয়োজন দেখা দিলে তা জায়েয হওয়াই সঙ্গত। অন্যথায় তাড়াহুড়োর কারণে যেনতেন জায়গায় যাকাত দেওয়া হতে পারে।
২. সাধারণভাবে নিজ এলাকায় যাকাত দেওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত লোক না থাকার কারণে যেমন অন্য এলাকায় যাকাত দেওয়া জায়েয, তেমনি যখন যাকাত ফরয হয়েছে, তখনই যাকাত আদায়ের বিধান থাকলেও যদি কিছুকাল অতিবাহিত হওয়ার পর যাকাত দেওয়া অধিক কল্যাণকর হয়, তাহলে তা জায়েয হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কেউ যদি যাকাত আদায়ে কিছুকাল বিলম্ব করে এবং ইতোমধ্যে তার সম্পদ বেড়ে যায়, তবুও তাকে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী যাকাত দিতে হবে; নতুন সম্পদের যাকাত দিতে হবে না। যেমন- কেউ রমাদান মাসে হিসাব করে দেখল যে, তার যাকাতযোগ্য মোট অর্থের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা, সে হিসাবে তার মোট সম্পদের ২.৫% তথা যাকাতের পরিমাণ নির্ধারিত হলো ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু যাকাত আদায় না করে দুই মাস বিলম্ব করার পর দেখা গেল তার মোট অর্থের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ১২ লাখ টাকায় পৌঁছে গেছে, সে হিসাবে তার মোট সম্পদের ২.৫% যদিও ৩০ হাজার টাকা, কিন্তু তাকে যাকাত দিতে হবে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা। কেননা নতুন সম্পদের উপর এখনও এক বছর অতিবাহিত হয়নি, ফলে নতুন সম্পদের উপর যাকাত ফরয হয়নি।
মৌলিকভাবে যাকাত আদায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করার অনুমতি নেই। তবে যদি অধিক কল্যাণের জন্য কিছুটা বিলম্ব করার প্রয়োজন হয় কিংবা যাকাত পাওয়ার অধিক হকদার ব্যক্তিকে যাকাত দিতে কিছুটা বিলম্ব হয় অথবা নিজ এলাকায় যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত কেউ না থাকায় অন্য এলাকায় পৌঁছে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়, সেক্ষেত্রে যাকাত আদায়ে কিছুটা বিলম্ব করার অনুমতি রয়েছে। অতএব অধিক কল্যাণ, প্রয়োজন কিংবা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্বে যাকাত দেওয়া জায়েয। এটা শাফে'ঈ ও হাম্বলী মযহাবের ফকীহদের অভিমত এবং এ অভিমতকে গ্রহণ করেছেন আবূ ‘উবায়েদ আল-কাসিম ইবন সাল্লাম ও শাইখ উসাইমীন। তারা শর্তসাপেক্ষে যাকাত
আদায়ে বিলম্ব করা জায়েয হওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যে,
১. যেহেতু সাধারণ ঋণ কিছুটা বিলম্বে পরিশোধ করা জায়েয, সেহেতু যাকাত আদায়ে বিলম্ব করার প্রয়োজন দেখা দিলে তা জায়েয হওয়াই সঙ্গত। অন্যথায় তাড়াহুড়োর কারণে যেনতেন জায়গায় যাকাত দেওয়া হতে পারে।
২. সাধারণভাবে নিজ এলাকায় যাকাত দেওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত লোক না থাকার কারণে যেমন অন্য এলাকায় যাকাত দেওয়া জায়েয, তেমনি যখন যাকাত ফরয হয়েছে, তখনই যাকাত আদায়ের বিধান থাকলেও যদি কিছুকাল অতিবাহিত হওয়ার পর যাকাত দেওয়া অধিক কল্যাণকর হয়, তাহলে তা জায়েয হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কেউ যদি যাকাত আদায়ে কিছুকাল বিলম্ব করে এবং ইতোমধ্যে তার সম্পদ বেড়ে যায়, তবুও তাকে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী যাকাত দিতে হবে; নতুন সম্পদের যাকাত দিতে হবে না। যেমন- কেউ রমাদান মাসে হিসাব করে দেখল যে, তার যাকাতযোগ্য মোট অর্থের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা, সে হিসাবে তার মোট সম্পদের ২.৫% তথা যাকাতের পরিমাণ নির্ধারিত হলো ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু যাকাত আদায় না করে দুই মাস বিলম্ব করার পর দেখা গেল তার মোট অর্থের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ১২ লাখ টাকায় পৌঁছে গেছে, সে হিসাবে তার মোট সম্পদের ২.৫% যদিও ৩০ হাজার টাকা, কিন্তু তাকে যাকাত দিতে হবে পূর্বের হিসাব অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা। কেননা নতুন সম্পদের উপর এখনও এক বছর অতিবাহিত হয়নি, ফলে নতুন সম্পদের উপর যাকাত ফরয হয়নি।
সূত্র: 'Amar Zakat' ওয়েবসাইট, লেখক: শাইখ ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
Salafi Forum
Salafi Forum