‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

দাওয়াহ বিদায়ের আগে রেখে যাও কিছু পদচিহ্ন (৫ম কিস্তি)

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা

৯. মানুষের অভাব মিটানো, তাদের কাজ করে দেওয়া এবং তাদের বিপদাপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া :


মানবসেবা ও দুর্বল-অসহায়দের সহযোগিতা করা ব্যক্তিবিশেষের চরিত্রের উৎকর্ষ, বংশের নির্মলতা, অন্তরের পরিশুদ্ধতা এবং সুন্দর স্বভাবের প্রমাণ বহন করে। আল্লাহ তা‘আলা তার দয়ালু বান্দাদের উপর দয়া করেন। আল্লাহর জন্য নিবেদিত এমন অনেক দল ও জাতি রয়েছে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষভাবে (জ্ঞান, বুদ্ধি, অর্থকড়ি, দৈহিক বল, লোকবল ইত্যাদি নানা প্রকার) নে‘মত দান করেন, আর তারা সে নে‘মত পেয়ে আল্লাহর বান্দাদের উপকারে তা ব্যয় করে। আর কোন ব্যক্তির ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট-ক্লেশ দূর করার ফলে আখেরাতে ঐ ব্যক্তিরও অনেক ব্যথা-বেদনা, কষ্ট-ক্লেশ ও দুঃখ-দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهُ، وَلَا يُسْلِمُهُ، وَمَنْ كَانَ فِيْ حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِيْ حَاجَتِهِ، وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-​

‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, সে তার উপর যুলুম করবে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে যাবে না। যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিনে তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন’।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে,

وَمَنْ مَشَى مَعَ مَظْلُومٍ يُعِينُهُ ثَبَّتَ اللهُ قَدَمَيْهِ يَوْمَ تَزِلُّ الْأَقْدَامُ،​

‘আর যে ব্যক্তি কোন মযলূমের সাহায্যার্থে তার সঙ্গে হেঁটে যাবে আল্লাহ তা‘আলা সেদিন তার দু’টি পা দৃঢ়ভাবে স্থির রাখবেন, যেদিন বহু পা পিছলে যাবে’।[2]

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللهُ عَلَيْهِ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللهُ فِىْ عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِىْ عَوْنِ أَخِيهِ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيْقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللهُ لَهُ بِهِ طَرِيْقًا إِلَى الْجَنَّةِ-​

‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনের দুনিয়ার একটি কষ্ট দূর করে দিবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন সংকটাপন্ন লোকের সংকট লাঘব করে দিবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার সবকিছু সহজ করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ ঢেকে রাখবেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে। আর যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণে পথ চলে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন’।[3]

ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন, এটি একটি মহৎ হাদীস। এতে নানাবিধ বিদ্যা, সূত্র ও শিষ্টাচার উল্লেখ করা হয়েছে। আর (نفس الكربة) অর্থ ‘কষ্ট দূর করা’। হাদীসটিতে বর্ণিত হয়েছে মুসলিমদের অভাব ও প্রয়োজন পূরণের ফযীলত। এতে আরো বর্ণিত হয়েছে বিদ্যা, বিত্ত কিংবা সহযোগিতার মতো যা জোটে অথবা সুযোগ-সুবিধা কিংবা নছীহতের প্রতি নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে মুসলিমদের কল্যাণ সাধনের ফযীলত।[4]

সৎকাজ ও পরোপকারের ফলে ভালো মৃত্যু জোটে এবং মন্দ মৃত্যু থেকে সুরক্ষা মেলে। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

صَنَائِعُ الْمَعْرُوفِ تَقِي مَصَارِعَ السُّوءِ، وَصَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ، وَصِلَةُ الرَّحِمِ تَزِيدُ فِي الْعُمُرِ-​

‘সৎকাজ করার ফলে মন্দ মৃত্যু থেকে সুরক্ষা মেলে; গোপনে কৃত দান রবের ক্রোধ নিভিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষায় আয়ু বৃদ্ধি পায়’।[5] মহান আল্লাহ তাঁর কোন বান্দাকে সুযোগ-সুবিধা এবং অভাব পূরণের ক্ষমতার মতো নে‘মত দান করেন। অতঃপর যখন সে ঐ নে‘মত প্রাপ্ত হয়ে স্বীয় দায়িত্ব পালন না করে তখন আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে সেসব নে‘মত উঠিয়ে নেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

إِنَّ لِلَّهِ عَبَّادًا اخْتَصَّهُمْ بِالنِّعَمِ لِمَنَافِعِ الْعِبَادِ، يُقِرُّهُمْ فِيْهَا مَا بَذَلُوْهَا، فَإِذَا مَنَعُوْهَا نَزَعَهَا مِنْهُمْ، فَحَوَّلَهَا إِلَى غَيْرِهِمْ-​

‘নিশ্চয়ই আল্লাহর জন্য নিবেদিত এমন অনেক বান্দা আছে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের উপকার করার জন্য স্পেশাল অনেক নে‘মত দান করেন। যতক্ষণ তারা সেগুলো মানবকল্যাণে ব্যয় করে ততক্ষণ তিনি তাদেরকে সেসব নে‘মতের মাঝে বিদ্যমান রাখেন। কিন্তু যখন তারা সে উপকার করা বন্ধ করে দেয় তখন তিনি তাদের থেকে নে‘মত ছিনিয়ে নিয়ে অন্যদের দিয়ে দেন’।[6]

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,

مَنْ مَشَى بِحَقِّ أَخِيهِ إِلَيْهِ لِيَقْضِيَهُ، فَلَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ صَدَقَةٌ-​

‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের কোন স্বার্থ পূরণের জন্য পায়ে হেঁটে যায়, তখন তার প্রতি পদক্ষেপে একটি করে ছওয়াব হয়’।[7]

আমাদের পূর্বসূরীরা অভাবী ও প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী লোকেদের থেকে নিজেদের কখনই বেশী দামী বা মর্যাদাশালী ভাবতেন না। বরং তাদের কাছে আগত সেই অভাবী ও প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী লোককেই তারা বেশী মর্যাদাবান মনে করতেন; যেন অভাবী ও প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী লোকটাই তাদের উপকারকারী।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,

ثَلَاثَةٌ لَا أُكَافِئُهُمْ: رَجُلٌ بَدَأَنِيْ بِالسَّلَامِ، وَرَجُلٌ أَوْسَعَ لِي فِي الْمَجْلِسِ، وَرَجُلٌ اغبرت قدماهُ في المشي إِلَيَّ إِرَادَةَ التَّسْلِيمِ عَلِيَّ، فَأَمَّا الرَّابِعُ: فَلَا يُكَافِئُهُ عَنِّي إِلَّا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ. قِيلَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: رَجُلٌ نَزَلَ بِهِ أَمْرٌ فَبَاتَ لَيْلَتَهُ يُفَكِّرُ بِمَنْ يُنْزِلُهُ، ثُمَّ رَآنِي أَهْلًا لِحَاجَتِهِ؛ فَأَنْزَلَهَا بِي-​

‘তিন ব্যক্তির প্রতিদান আমি দিতে পারব না। এক- ঐ ব্যক্তি, যে আমাকে প্রথমে সালাম দেয়। দুই- ঐ ব্যক্তি, যে আমার জন্য মজলিসে বসার জায়গা করে দেয়। তিন- ঐ ব্যক্তি, যে আমাকে সালাম দেওয়ার ইচ্ছায় হেঁটে আসতে তার পা দু’টি ধূলিধূসরিত হয়। আর চতুর্থজনের প্রতিদান আমার পক্ষ থেকে কেবল আল্লাহই দিতে পারেন। জিজ্ঞেস করা হ’ল, সে কে? তিনি বললেন, সমস্যাগ্রস্ত ঐ ব্যক্তি, যে কোথায় রাত কাটাবে তা নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত। তারপর আমাকে দেখে তার মনে হয়েছে, এই লোকটা আমার প্রয়োজন পূরণের যোগ্য, তারপর সে আমার কাছে তা তুলে ধরে’।[8]

ফুযাইল বিন আইয়ায (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা একটা ঘটনা বলাবলি করছিল যে, একজন তার প্রয়োজন পূরণার্থে অন্য এক ব্যক্তির কাছে গেল। তাকে পেয়ে ঐ ব্যক্তিই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল এবং বলল, তুমি তোমার অভাব পূরণে আমাকে সুযোগ দিয়েছ এজন্য আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

আবূ আকীল বালিগকে বলা হ’ল, মারওয়ান বিন হাকামের কাছে অভাব মিটানোর আরয করলে তাকে আপনি কেমন আচরণ করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, আমি দেখেছি, কৃতজ্ঞতা লাভের আগ্রহের তুলনায় তার বখশিশ ও দানের আগ্রহ বেশী। আর অভাব পূরণের প্রয়োজন যেন অভাবী লোকটার প্রয়োজনের তুলনায় তারই বেশী। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহ.) তার শিক্ষক ইবনু তায়মিয়ার গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, শায়খুল ইসলাম মানুষের অভাব ও প্রয়োজন মিটাতে ভীষণ রকম চেষ্টা করতেন।

লোকেদের প্রয়োজন পূরণে যাদের সামর্থ্য আছে অথচ লোকেরা তাদের কাছে যায় না, সৎ সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা এটিকে মুছীবত বলেই গণ্য করেন। হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) বলেন, যেদিন আমি ভোরে উঠে আমার দরজায় কোন প্রয়োজন মুখাপেক্ষী অভাবী মানুষ না পাই, সেদিনটিকে আমি মুছীবত বলে মনে করি।[9]

আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা যার হাতে দিয়েছেন অথবা যার নেতৃত্বে কিংবা যার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন পূরণ হ’তে পারে সে যদি তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা না নেয় তবে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

مَا مِنْ عَبْدٍ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِ نِعْمَةً فَأَسْبَغَهَا عَلَيْهِ، ثُمَّ جَعَلَ مِنْ حَوَائِجِ النَّاسِ إِلَيْهِ، فَتَبَرَّمَ، فَقَدْ عَرَّضَ تِلْكَ النِّعْمَةَ لِلزَّوَالِ-​

‘আল্লাহ তা‘আলা তার যে বান্দাকে কোন নে‘মত পরিপূর্ণরূপে দান করেন এবং তারপর লোকদের প্রয়োজন তার দিকে যোগ করে দেন কিন্তু সে তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার এহেন আচরণের ফলশ্রুতিতে সে প্রকৃতপক্ষে ঐ নে‘মত হাতছাড়ার ব্যবস্থা করে’।[10]

‘তাবাররুম’ শব্দের অর্থ বেদনার্ত হয়ে ‘আহ’ ‘উহ’ করা, বিরক্ত হওয়া, অস্বস্তি বোধ করা, ভীষণ কষ্ট পাওয়া, মানসিক সংকীর্ণতা ইত্যাদি।

হাদীসে বিরক্ত ও অস্বস্তিবোধকারী ব্যক্তি বলতে নে‘মতের অধিকারী সেসকল ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে, প্রাপ্ত নে‘মতের কারণে লোকেরা যাদের কাছে ধর্ণা দেয়, কিন্তু তারা এরূপ ধর্ণা দেওয়াতে বিরক্তি ও অস্বস্তি প্রকাশ করে। কোন আলেম, মুফতী, দাঈ, মুরববী, শাসক, বিচারক, পদাধিকারী, চিকিৎসক, এডভোকেট, ব্যবসায়ী, ধনাঢ্যজন এবং সমাজস্থ আরো অন্যান্য যেসব লোককে আল্লাহ নানা নে‘মতে ভূষিত করেছেন তাদের যে কেউ এমন লোক হ’তে পারে।

সমাজে যাদের একটা অবস্থান ও ক্ষমতা তৈরি হয়েছে এমন লোকদের থেকে অন্যদের মাঝে উপকার সঞ্চারিত হওয়া সম্ভব। কিন্তু তাদের কাছে জনগণ কোন আবেদন নিয়ে গেলে তারা যদি বিরক্ত হয় এবং সংকীর্ণ বোধ করে, অহংকার করে, মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তাদের কোন পাত্তা না দেয়, আর তাতে আগন্তুক লোকেরা ব্যথিত হয় বা মনে কষ্ট পায় সেক্ষেত্রে তারা নিজেরা ঐ নে‘মত থেকে নিজেদের বঞ্চিত করার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটালো, যেমনটা পূর্বের হাদীসে বলা হয়েছে।

পূর্বের হাদীসগুলোতে উচ্চারিত সতর্কবাণী আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীর মধ্যেও সাধারণভাবে শামিল রয়েছে। যেমন তিনি বলেন,

ذَلِكَ بِأَنَّ اللهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِعْمَةً أَنْعَمَهَا عَلَى قَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَأَنَّ اللهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ-​

‘এটা এজন্য যে, আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের উপর কোন নে‘মত দান করলে তার পরিবর্তন ঘটান না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা সেটা পরিবর্তন করে। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’ (আনফাল ৮/৫৩)
তিনি আরো বলেন,

إِنَّ اللهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُمْ مِنْ دُوْنِهِ مِنْ وَالٍ،​

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে। আর আল্লাহ যখন কোন জাতির প্রতি মন্দ ইচ্ছা করেন, তখন তাকে রদ করার কেউ নেই। আর আল্লাহ ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক নেই’ (রা‘দ ১৩/১১)

প্রথম আয়াতের তাফসীরে ইমাম বাগাভী (রহ.) বলেছেন, আল্লাহ কোন জাতিকে যে নে‘মত দান করেন তারা শোকর পরিহার ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে তা বদলে না ফেলা পর্যন্ত তিনি নিজে তা বদলে দেন না। যখন তারা অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত হয় তখন আল্লাহ তাদের অবস্থা বদলে দেন এবং তাদের থেকে নে‘মত ছিনিয়ে নেন।[11]

আল্লাহ বলেন,

وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَكُمْ-​

‘এক্ষণে যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহ’লে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তারা তোমাদের মত হবে না’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৮)

ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন, উক্ত আয়াতে যাদের হাতে কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব ও শাসন ভার রয়েছে কিন্তু তারা অধীনস্থদের সাথে সুবিচার করেন না অথবা যারা আলেম কিন্তু নিজেদের ইলম অনুযায়ী আমল করেন না এবং লোকেদের নছীহত করেন না, সেই সকল শ্রেণীর লোককে এ মর্মে ভয় দেখানো ও সতর্ক করা হয়েছে যে, তাদের সুযোগ-সুবিধা হাতছাড়া করে তাদের স্থলে অন্যদের বসানো হবে। আর আল্লাহ সে বিষয়ে খুবই ক্ষমতাবান।[12]

এ মর্মে বর্ণিত সকল হাদীসে যারা আল্লাহর নে‘মতপ্রাপ্ত, বিশেষত যারা সমাজ-রাষ্ট্রে বস্ত্তগত কিংবা অবস্ত্তগত পদ ও প্রতিপত্তির অধিকারী এবং সেই পদ ও প্রতিপত্তি দিয়ে তারা যেমনটা আল্লাহ ভালবাসেন ও পসন্দ করেন সেভাবে মানুষের প্রয়োজন পূরণ করতে পারতেন কিন্তু করেন না, তাদের প্রত্যেককেই একই সঙ্গে উপদেশ প্রদান ও সতর্ক করা হয়েছে।

যারা তাদের পদ ও প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের উপকার করতে এবং তাদের অভাব মিটাতে চান তাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য।

প্রথমতঃ তাদের জানতে হবে যে, যে নে‘মত, পদ, বিদ্যা ও অবস্থান আল্লাহ তাদের দিয়েছেন তা পরীক্ষা স্বরূপ তাদের দিয়েছেন। তারা এসব দিয়ে কী করে তাই বাস্তবে নিশ্চিত করা মহান আল্লাহর অভিপ্রায়। দুনিয়া একটি পরীক্ষাগার। আল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন,

إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ نُطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا- إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا-​

‘আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি (পিতা-মাতার) মিশ্রিত জনন কোষ হ’তে তাকে পরীক্ষা করার জন্য। অতঃপর আমরা তাকে করেছি শ্রবণশক্তি সম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন। আমরা তাকে সুপথ প্রদর্শন করেছি। এক্ষণে সে কৃতজ্ঞ হৌক অথবা অকৃতজ্ঞ হৌক’ (দাহর ৭৬/২-৩)। অর্থাৎ আল্লাহর দেখানো বিধি-বিধান মেনে হয় তারা তাদের উপর আল্লাহর প্রতি আবশ্যক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবে।

দ্বিতীয়তঃ মানুষ যতই পদ-মর্যাদার অধিকারী বা উঁচুতে উঠুক না কেন মূলতঃ নিজে সে একা। বরং তার ভাইদের নিয়েই সে অনেক। কিন্তু সে যদি বিরক্ত হয়ে তার ভাইদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহ’লে সে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে দিবে এবং লোকেদের অন্তরে ঘৃণা ও হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দিবে। এ আচরণের ত্বরিৎ ও বিলম্বিত ক্ষতি যে কত বড় ও বেশী তা কোন লুকোছাপা বিষয় নয়। কেননা মুহূর্তেই সে তার কাজের খারাপ ও নেতিবাচক আচরণের প্রতিক্রিয়ায় আল্লাহর দেওয়া নে‘মত হস্তচ্যুতির শঙ্কায় পতিত হবে এবং একই সঙ্গে সে তার চারপাশের মানুষকে শত্রুতে পরিণত করবে, যারা তার বিপদে হাসবে।

তৃতীয়তঃ প্রতিদান দিবসে তারা আল্লাহর নিকট তাদের পরোপকারের পুরস্কারের আশা রাখবে। রাসূল (ﷺ) যেমন করে অপব্যবহারের ফলে নে‘মত থেকে বঞ্চিত হওয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন, তেমনি মানুষের অভাব মিটালে এবং সেজন্য প্রচেষ্টা চালালে যে কী ফযীলত ও মাহাত্ম্য লাভ করা যাবে, সে সম্পর্কেও উৎসাহিত করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনের একটি কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামত দিবসের সামগ্রিক কষ্ট থেকে তার একটি কষ্ট দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন সংকটাপন্ন লোকের সংকট লাঘব করবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার সব কিছু সহজ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ ঢেকে রাখবেন। আর আল্লাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে। আর যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের জন্য পথ চলে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন’।[13]

জনৈক কবি বলেন,

وأفضَل النَّاسِ ما بين الورَى رجلٌ + تُقضَى على يدهِ للناسِ حاجاتُ

لا تمنَعن يد المعروفِ عن أحَدٍ + ما دمت مقتَدِراً فالسعدُ تاراتُ

واشكر فضائِلَ صنع الله إذا جُعِلتْ + إليك لَا لكَ عند الناسِ حاجاتُ

قَد ماتَ قومٌ ومَا ماتَت مكارمهم + وعاشَ قومٌ وهم في الناس أمواتُ​

‘সৃষ্টির মাঝে সেই তো সেরা, যার হাত দিয়ে মানুষের প্রয়োজন হয় পুরা। কারো থেকে তোমার উপকারী হাতকে কদাচ গুটিয়ে রেখ না, যতক্ষণ তুমি উপকার করতে সমর্থ হবে। দেখবে তোমার সৌভাগ্য বারে বারে দেখা দিবে। মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব কাজের সুযোগ আল্লাহ তোমাকে দান করেছেন অথচ যেগুলোর মালিক তুমি নও, সেগুলোর সুযোগ লাভের জন্য আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করো। কত মানুষ মারা গেছে কিন্তু তাদের সৎকর্ম ও সুকীর্তি মরেনি। অপরদিকে মানব সমাজে কত মানুষ যে আজ বেঁচে আছে, যারা আসলে মৃত’।

আল্লাহর নে‘মতরাজি পাওয়ার ফলে অন্যদের আবেদনের কারণে বিরক্ত হওয়ার চেয়ে বান্দার জন্য ক্ষতিকর দ্বিতীয় আর কিছু নেই। কারণ সে তো ঐ নে‘মতকে আল্লাহর দেওয়া নে‘মত বলে মনে করে না। তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। সেজন্য আনন্দিতও হয় না। বরং সে নে‘মত পেয়ে অন্যকে দেওয়ার চিন্তায় অসন্তুষ্ট হয়, অভিযোগ করে এবং তাকে মুছীবত গণ্য করে। অথচ হয়তো এটাই তার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বড় নে‘মত। হিসাব করতে গেলে এভাবে অধিকাংশ মানুষ তাদের হাতে পাওয়া আল্লাহর নে‘মতের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। তারা বুঝতেই পারে না আল্লাহ তাদের জন্য নে‘মতের কি যে দ্বার খুলে দিয়েছেন! তারা অজ্ঞতা ও যুলুমবশতঃ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে সেই নে‘মতকে প্রতিহত ও বিরোধিতা করতে জোর চেষ্টা করে। কতজনের দ্বারে গিয়ে নে‘মত ধাক্কা দেয় অথচ সে সর্বশক্তি দিয়ে তাকে রোধ করতে চেষ্টা করে। অনেকের হাতে নে‘মত পৌঁছে যায়, কিন্তু তারা না বুঝে যুলুম-অত্যাচার করে সেই নে‘মত হাতছাড়া করে। নে‘মতের যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে শোকর আদায় না করলে আল্লাহ ও রাসূলের বাণী অনুসারে সে নে‘মত তো হাতছাড়া হওয়ারই কথা। তাই নে‘মতের সাথে খোদ বান্দার থেকে বেশী শত্রুতাকারী আর কেউ নেই। সে তার শত্রুর সাথে নিজের বিরুদ্ধে নিজেকেও শত্রুতায় লাগায়। তার শত্রু তার নে‘মতের উপর আগুন ঢেলে দেয়, আর সে ঐ আগুনে ফুঁ দেয়। সেই মূলতঃ নে‘মতে আগুন ঢালার সুযোগ তৈরি করে দেয়, তারপর আবার তাতে ফুঁ দিতেও সাহায্য করে। তারপর আগুন যখন কঠিন রূপ নেয় তখন নিজেকেই আবার জ্বলন্ত মানুষ হিসাবে বাঁচাতে ফরিয়াদ করে। চূড়ান্ত পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত সে ভাগ্যকে দোষারোপ করতে থাকে।

কবি বলেন,

وعاجز الرأى مضياع لفرصته + حتى إذا فات أمر عاتب القدر​

‘চিন্তা-ভাবনায় অক্ষম লোক নিজের ফুরসতকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে। এমনকি যখন কোন কাজ তার হাতছাড়া হয়ে যায় তখন সে তাকদীরকে দোষারোপ করতে থাকে’।[14]

সুতরাং আমরা যেন সময় হারিয়ে যাওয়ার আগে নে‘মতের কদর করি। সে কদর আমরা করতে পারি তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি, নেক আমল ও সদাচরণের মাধ্যমে; আবার আল্লাহর হক, বান্দার হক, পরিবারের হক, ভাই-বোনের হক, আত্মীয়-প্রতিবেশীর হক ইত্যাদি যা আমরা তছরূপ করেছি তা পূরণের মাধ্যমে; আবার অহংকারবশত তাদের প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা থেকে সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে। অহংকার তো একমাত্র মহান স্রষ্টারই সাজে। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ বলেন,

الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي، وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي، فَمَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا، قَذَفْتُهُ فِي النَّارِ-​

‘অহংকার আমার চাদর, মহিমা আমার লুঙ্গি। যে এ দু’টির কোন একটি আমার থেকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করবে আমি তাকে আগুনে (জাহান্নামে) নিক্ষেপ করব’।[15]

মানুষের সর্বদা একই অবস্থায় থাকা একটা অসম্ভব ব্যাপার। পরিবর্তন আসবেই। উন্নতি ও অবনতির মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। তবে দ্বিতীয়টি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন কিছুই মানুষের দুই হাতের কামাইয়ের বাইরে নয়। আল্লাহ বান্দাদের উপর মোটেও যুলুমকারী নন।

আল্লাহ বলেন,

وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ-​

‘তোমাদের যেসব বিপদাপদ হয়, তা তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল। আর তিনি তোমাদের অনেক পাপই মার্জনা করে দেন’ (শূরা ৪২/৩০)

আরবরা বলে,

الدهر يومان: يوم لك ويوم عليك​

‘দুই দিন নিয়ে এক যুগ। একদিন তোমার পক্ষে, আরেকদিন তোমার বিপক্ষে’। এ কথার অর্থ, মানবজীবনে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। জীবন সর্বদা এক নিয়মে না চলাই আল্লাহর নীতি।

কবি বলেন,

ما بين غفوة عين وانتباهتها + يغير الله من حال إلى حال​

‘এই ঘুম, এই জাগরণ, এর মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন করেন’।

অন্য এক কবি বলেছেন,

هكذا الدهر حالة ثم ضد + ما لحال مع الزمان بقاء​

‘যুগ এভাবেই বদলায়। এখন এক অবস্থা তো তখন তার বিপরীত। সময় একভাবে কখনও স্থির থাকে না।

সুতরাং হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আল্লাহকে ডাক, আল্লাহর নিকট দো‘আ করো, তিনি যেন তোমার থেকে দুর্ভাগ্য তিরোহিত করেন এবং খারাপ থেকে ভালোর দিকে তোমার হাল-অবস্থা পরিবর্তন করেন। ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দো‘আয় বলতেন,

اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ-​

‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই তোমার নে‘মত হাতছাড়া হওয়া থেকে, তোমার দেওয়া নিরাপত্তা বদলে যাওয়া থেকে, হঠাৎ করে তোমার শাস্তি নেমে আসা থেকে এবং তোমার যাবতীয় ক্রোধ থেকে’।[16]


[1]. বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম হা/২৫৮০; মিশকাত হা/৪৯৫৮।
[2]. হিলয়াতুল আওলিয়া ৬/৩৪৮; সহীহুল জামে‘ হা/১৭৬।
[3]. মুসলিম হা/৭০২৮; মিশকাত হা/২০৪।
[4]. নববী, শরহ মুসলিম ১৭/২১।
[5]. তাবারাণী আওসাত্ব হা/৬০৮৬, ৬/১৬৩ পৃ.; সহীহুত তারগীব হা/৮৯০।
[6]. তাবারাণী, হা/৫১৬২; সহীহুত তারগীব হা/২৬১৭।
[7]. আবু আব্দুল্লাহ আল-মারওয়াযী, কিতাবুল বিররি ওয়াছছিলাহ হা/১৬৩।
[8]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান ৭/৪৩৬; আল-মাজালিসু ও জাওয়াহিরুল ইলম হা/৬৮১, ৩/৬৯ পৃ.।
[9]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/৫১।
[10]. তাবারাণী, আওসাত্ব হা/৭৫২৯; সহীহুত তারগীব হা/২৬১৮।
[11]. তাফসীরে বাগাভী ৩/৩৬৮।
[12]. তাফসীরে কুরতুবী ৫/৪০৯।
[13]. মুসলিম হা/২৬৯৯; মিশকাত হা/২০৪।
[14]. ছা‘আলিবী, আল-মুনতাহাল; ইবনু কুতায়বা, ‘উয়ূনুল আখবার ১/১৪।
[15]. আবুদাউদ হা/৪০৯০; সিলসিলা সহীহাহ হা/৫৪১।
[16]
. মুসলিম হা/২৭৩৯; মিশকাত হা/২৪৬১।


মূল (আরবী) : মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ

অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক​
 
Last edited:
COMMENTS ARE BELOW

Share this page