Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
প্রশ্নঃ কোনো সালাফীর যদি আত্মীয়দের ভিতরে কেউ বিদ'আতী থাকে, যেমন- ভাই, চাচা, জামাই বা এই ধরনের আত্মীয়রা বিদ'আতী হলে তাদের সাথে সালাফী ব্যক্তি কেমন আচরণ করবে?
উত্তরঃ নিঃসন্দেহে এই ধরনের পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।
এমন অনেক পরিবার আছে, যেটাতে সালাফী শুধুমাত্র একজন -সেটা পুরুষ হোক বা নারী-, বাকি সবাই বিদ'আতী।
এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই উত্তম আচরণ করতে হবে, তাদেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করবে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়বে, উৎকৃষ্ট ব্যবহারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, সত্যটাকে অত্যন্ত মিষ্টিমধুর করে উপস্থাপন করবে।
সিংহ তার শিকারের উপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেভাবে সে তার পরিবারের উপর তীর্যক কথা বলবে না; অথবা সে তাদেরকে পথভ্রষ্ট আখ্যা দিয়ে নিজেকেই সত্য ও সঠিক পথের পথিক হিসেবে প্রকাশ করবে না।
বরং সে আত্মীয়তার সম্পর্কের সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের সামনে সত্যটাকে স্পষ্ট করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দিচ্ছেন। (হেদায়েত পাওয়ার আগ পর্যন্ত) তার দায়িত্ব হলো, সওয়াবের আশা করে ধৈর্য্য ধারণ করা, তাড়াহুড়ো না করা -বিদ'আতে মুফাস্সিকা থাকা পর্যন্ত-।(১)
তার জন্য আবশ্যক হলো:
-সওয়াবের আশায় ধৈর্য্য ধারণ করা,
-সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং
-আল্লাহর কাছে তাদের জন্য হেদায়েত ও সুন্নাহর পথে ফিরে আসার জন্য দোয়া করা।
আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমরা দেখেছি: মানুষ আলেম হোক আর সাধারণ, সবার সাথেই হিকমাহ ও উত্তম আচরণের রীতি ফলদায়ক হয়। কিন্তু একগুঁয়ে কেউ হলে তার সাথে নিজ শক্তি সামর্থ্য অনুযায়ী আচরণ করা হবে।
উত্তর প্রদানেঃ শায়খ উবায়দ আল-জাবিরী রহিমাহুল্লাহ।
মাজমূ'আতুর রসাইলিল জাবিরিয়্যাহ ফী মাসাইল ইলমিয়্যাহ, ১৬০-১৬১ পৃষ্ঠা।
সোর্সঃ আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ
টীকা:
১. বিদ'আত দুই ধরনের:
ক- বিদ'আতে মুফাসসিকা। যেটা করলে গুনাহ হয়, কিন্তু ইসলাম থেকে বের হয় না। যেমন, ফরয নামাযের পর সবাই মিলে হাত তুলে দোয়া করা, ইত্যাদি।
খ- বিদ'আতে মুকাফফিরা। যেটা করলে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। যেমন: রাফেযী শীয়াদের বিদ'আত, ইত্যাদি।
উত্তরঃ নিঃসন্দেহে এই ধরনের পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।
এমন অনেক পরিবার আছে, যেটাতে সালাফী শুধুমাত্র একজন -সেটা পুরুষ হোক বা নারী-, বাকি সবাই বিদ'আতী।
এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই উত্তম আচরণ করতে হবে, তাদেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করবে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়বে, উৎকৃষ্ট ব্যবহারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, সত্যটাকে অত্যন্ত মিষ্টিমধুর করে উপস্থাপন করবে।
সিংহ তার শিকারের উপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেভাবে সে তার পরিবারের উপর তীর্যক কথা বলবে না; অথবা সে তাদেরকে পথভ্রষ্ট আখ্যা দিয়ে নিজেকেই সত্য ও সঠিক পথের পথিক হিসেবে প্রকাশ করবে না।
বরং সে আত্মীয়তার সম্পর্কের সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের সামনে সত্যটাকে স্পষ্ট করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দিচ্ছেন। (হেদায়েত পাওয়ার আগ পর্যন্ত) তার দায়িত্ব হলো, সওয়াবের আশা করে ধৈর্য্য ধারণ করা, তাড়াহুড়ো না করা -বিদ'আতে মুফাস্সিকা থাকা পর্যন্ত-।(১)
তার জন্য আবশ্যক হলো:
-সওয়াবের আশায় ধৈর্য্য ধারণ করা,
-সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং
-আল্লাহর কাছে তাদের জন্য হেদায়েত ও সুন্নাহর পথে ফিরে আসার জন্য দোয়া করা।
আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমরা দেখেছি: মানুষ আলেম হোক আর সাধারণ, সবার সাথেই হিকমাহ ও উত্তম আচরণের রীতি ফলদায়ক হয়। কিন্তু একগুঁয়ে কেউ হলে তার সাথে নিজ শক্তি সামর্থ্য অনুযায়ী আচরণ করা হবে।
উত্তর প্রদানেঃ শায়খ উবায়দ আল-জাবিরী রহিমাহুল্লাহ।
মাজমূ'আতুর রসাইলিল জাবিরিয়্যাহ ফী মাসাইল ইলমিয়্যাহ, ১৬০-১৬১ পৃষ্ঠা।
সোর্সঃ আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ
টীকা:
১. বিদ'আত দুই ধরনের:
ক- বিদ'আতে মুফাসসিকা। যেটা করলে গুনাহ হয়, কিন্তু ইসলাম থেকে বের হয় না। যেমন, ফরয নামাযের পর সবাই মিলে হাত তুলে দোয়া করা, ইত্যাদি।
খ- বিদ'আতে মুকাফফিরা। যেটা করলে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। যেমন: রাফেযী শীয়াদের বিদ'আত, ইত্যাদি।